ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

‘কি করে শুধবো তোমার ঋণ’ ছায়ানটে কবিতা সন্ধ্যা

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২০ এপ্রিল ২০১৭

‘কি করে শুধবো তোমার ঋণ’ ছায়ানটে কবিতা সন্ধ্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বর্ষণমুখর সন্ধ্যা। ছায়ানট মিলনায়তন কবিতামোদী দর্শকের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভর্তি। প্রচ- বৃষ্টি উপক্ষো করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের কবিতার নেশায় সবাই হাজির হয়েছেন বুধবার সন্ধ্যায়। ‘কী করে শুধবো তোমার ঋণ’ শিরোনামের এ আবৃত্তিসন্ধ্যার আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সম্মানিত অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ রহমত উল্লাহ। অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মেলক কণ্ঠে ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ড. মিজানুর রহমানের ‘কি করে শুধবো তোমার ঋণ’ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশক পলল প্রকাশনীর কর্ণধার খান মাহাবুব। এরপর মিজানুর রহমানের কাব্যগ্রন্থ নিয়ে ‘কবি ও কবিতা’ শীর্ষক আলোচনা করেন ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র ম-ল। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এটি মিজানুর রহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলেও এর লেখাটা শুরু হয়েছিল ১৯৭২ সালে। তিনি সে সময় থেকে শুরু করে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে যে কবিতা লিখেছেন, তারই সংগ্রহ হচ্ছে এই কবিতার বই। তার ৪৫ বছরের সাধনার ফসল এই গ্রন্থ। তিনি তার কবিতায় স্থান ও কালকে অতিক্রম করার চেষ্টা করেছেন। শুধুমাত্র প্রেম-বিরহের বেড়াজালে তার কবিতাকে আবদ্ধ করে রাখা যায় না। তিনি যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়তেন তখন লিখেছিলেন ‘ঈশ্বর তুমি যদি’ কবিতাটি। এ বইটি সেই কবিতা দিয়েই শুরু। সেই অষ্ঠম শ্রেণী ও এখন ষাট বা পয়ষট্টি বছরের পার্ধক্য তার কবিতায় খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি ভবিষ্যতের প্রেমিকদেরও পথ দেখিয়েছেন তার কবিতায়। ঘৃণা ও প্রেমের ছবি এখনও তিনি তার কবিতায় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। পরে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন বৃন্দ আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ড. মিজানুর রহমানও তার কাব্যগ্রন্থ থেকে আবৃত্তি করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের পর শিক্ষার্থীদের সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রনাথের গান ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ ও ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয় বুধবার সকালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ দেলোয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী। উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মনুষত্ববোধে দীক্ষিত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের শুধু একাডেমিক সার্টিফিকেট অর্জন করলেই চলবে না, সহশিক্ষা কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করতে হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে ক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
×