ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এবার ইউজিসির মতো সংস্থা চায় কওমীরা

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২০ এপ্রিল ২০১৭

এবার ইউজিসির মতো সংস্থা চায় কওমীরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) মতো ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ নামের এই সংস্থাকে ইউজিসির সমমান করার দাবি জানিয়েছেন কওমী শিক্ষা সনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ। এই প্রতিষ্ঠানটিই কওমী মাদ্রাসার অনুমোদন ও নিয়ন্ত্রণ করবে। আর ভবিষ্যতে একটি কওমী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কওমী সনদ বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্যসচিব মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ এই দাবি জানান। কওমী শিক্ষার স্বীকৃতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি। কওমী মাদ্রাসার জন্য ছয়টি পৃথক বোর্ড থাকলেও সরকার দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর সমমান দেয়ার পর ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ নামের এই সংস্থা গঠন করে কওমীর স্বীকৃতি আদায়কারী নেতারা। এর অধীনেই আগামী ১৫ থেকে ২৫ মে অভিন্ন প্রশ্নে অনুষ্ঠিত হবে দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য সচিব মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, ‘আমরা নিচের স্তরে কোন স্বীকৃতি চাই না। প্রজ্ঞাপন জারি করে কওমী দাওরায়ে হাদিসের স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটিকে আইনে পরিণত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আমরা আশা করছি।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আমলেই কওমী শিক্ষার এক ধরনের মর্যাদা দেয়া হয়েছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিষয়টিকে বিবেচনা করে আন্তরিকতার মাধ্যমে কওমী শিক্ষার স্বীকৃতি ঘোষণা করেছেন। তবে কওমী শিক্ষাকে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করতে কওমী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেখান থেকে কোরান-হাদিসের আলোকে ডক্টরেটসহ এ শিক্ষায় সর্বোচ্চ ডিগ্রী দেয়া হবে। কওমী শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকারী কোন আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করা হবে না। দেশ-বিদেশের অনুদান দিয়ে সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’ হাইকোর্টের সামনের ভাস্কর্যের বিষয়ে এই নেতা বলেন, ‘ইসলামী মূল্যবোধের নেত্রী যাকে বলা হয় সেই খালেদা জিয়া মূর্তি সরানোর বিষয়টি কোর্টের ওপর ছেড়ে দিলেন। অথচ এক্ষেত্রে সত্যিকার ধার্মিকের পরিচয় দিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের আরেক নেতা আব্দুল আলী ফরিদী বলেন, ‘কওমী শিক্ষাকে নিয়ে বামপন্থী ও জামায়াত নেতারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এদের ভেতর পচে গেছে। তাই তারা ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়ে কুৎসা রটানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তাদের কোন কথার তোয়াক্কা আমরা করি না। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মওলানা দেলোয়ার হোসেন সাইফী, মাওলানা সরফুদ্দিন, মওলানা মাসুদুল কাদির প্রমুখ।
×