ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কের গাছ লুট

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৭

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কের গাছ লুট

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৮ এপ্রিল ॥ সদর উপজেলার আউলিয়াপুর কচুবাড়ি বাজার এলাকায় রাস্তার পাশের গাছ কেটে হরিলুট চলছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের যোগসাজশে দু’সপ্তাহ ধরে দুই শতাধিক গাছ কেটে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কচুবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ কাদেরের নেতৃত্বে বাজারের পাশের সড়কের শতাধিক গাছ কাটা হচ্ছে। গাছ কাটার টাকার ভাগ ইউপি চেয়ারম্যানও নিচ্ছেন। তাই প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকি দিচ্ছে। সরজমিনে দেখা যায়, আউলিয়াপুর কচুবাড়ি এলাকার বাজারের পূর্ব পাশের ৮-৯টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নিচ্ছেন কয়েক শ্রমিক। এ সময় শ্রমিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ওহাব ও শওকত গাছগুলো কিনে নিয়েছে। তাদের নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে। গত সপ্তাহে শতাধিক গাছ কেটেছি আমরা। গাছের ক্রেতা ওহাব ও শওকত জানান, ইউনিয়ন পরিষদের জমিতে রাস্তার পাশে কচুবাড়ি এলাকার দিনমজুর জমির আলী কয়েক বছর আগে গাছগুলো লাগিয়েছিলেন। অভাবের কারণে চেয়ারম্যানের মৌখিক নির্দেশে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ২৫টি গাছ আমাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। আর বাকি গাছগুলো ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ কাদেরের নির্দেশে কাটা হচ্ছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ কাদেরের কাছে অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা জানান, জমির আলীকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে গাছগুলো নেয়া হয়েছে। শতাধিক গাছ কর্তনের কথা জানতে চাইলে, গাছ ক্রয়কৃত ওহাবেব কাছে গাড়ির তেল খরচের টাকা নিয়ে যেতে বলেন তারা। পরে শহরে গিয়ে দেখা হবে। জমির আলী জানান, আমি গাছগুলো লাগিয়েছিলাম। অভাবের কারণে চেয়ারম্যানের কাছে কয়েকটি কাটার অনুমতি চেয়েছিলাম। আমাকে আওয়ামী লীগের নেতারা ২০ হাজার টাকা এনে দিয়ে ছিল শুধু। এখন শুনতেছি শতাধিক গাছ বিক্রি হয়ে গেছে। সদর উপজেলা আউলিয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান নজরুল জানান, জমির আলী রাস্তার ধার লিজ নিয়ে গাছ রোপণ করেছিল। কয়েক দিন আগে জমির আলী আমাকে রাস্তার পাশে হেলে পড়া দু’টি গাছ কাটার কথা বলেছিল। আমি কাটার অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু শতাধিক গাছ কাটার বিষয়টি আমি অবগত নই। বন বিভাগের অনুমতি ও টেন্ডার ছাড়া রাস্তার গাছ কর্তন করা যাবে না বলে তিনি জানান।
×