ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ত্রিদেশীয় বুড়িমারী স্থলবন্দরে চলছে হরিলুট

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১৯ এপ্রিল ২০১৭

ত্রিদেশীয় বুড়িমারী স্থলবন্দরে চলছে হরিলুট

জাহাঙ্গীর আলম শাহীন লালমনিরহাট থেকে ॥ বুড়িমারী ত্রিদেশীয় স্থলবন্দরে বছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫২ কোটি টাকা। সাত মাসে অর্জিত হয়েছে মাত্র ১৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা কম। অনিয়মই এখানে নিয়ম। চলছে হরিলুট। জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে ১৯৮৯ সালে স্থলবন্দর স্থাপিত হয়। শুরুতে শুল্ক বন্দর ছিল। বর্তমান সরকারের আমলে বুড়িমারী পরিপূর্ণ স্থলবন্দরে রূপ নিয়েছে। বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকার ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নানা উন্নয়নমূলক কর্মকা- করেছে। উত্তরাঞ্চলের একমাত্র এই বন্দরটির সঙ্গে বাংলাদেশের ত্রিদেশীয় ব্যবসা বাণিজ্য হয়ে থাকে। এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, ভুটান ও নেপালের ব্যবসা হয়। তাই বন্দরটি মূলত ত্রিদেশীয় বন্দর হিসেবে স্বীকৃত। এই বন্দর দিয়ে আমদানি হয়ে আসছে ডলোমাইন পাউডার, স্টোন বোল্ডার, ক্রাশ স্টোন, কামমেটিক, স্যান্ডেল, প্লাউড, মসল্লা, পাটবীজ, মেষতাবীজ, লাইম স্টোনলাম, ট্যালকম পাউডার, মশুরের ডাল, আপেল, কমলা, পেঁয়াজ, শুকনা মরিচ, শুটকি মাছ, ভাংড়ি লোহা, খুচরা যন্ত্রপাতি ও নানা মৌসুমি ফল প্রভৃতি। রফতানি হয়ে আসছে দেশে উৎপাদিত ঝুট কাপড়, গার্মেন্ট কাপড়, তুলা, প্লাস্টিক পণ্য, জুস, ইলেট্রনিক্স সামগ্রী, মেলামাইন সামগ্রী ও ওষুধ সামগ্রী প্রভৃতি। স্থলবন্দরটি প্রতিষ্ঠার পর হতে যখন যে, সরকার আসে তখন সেই সরকারের কিছু রাজনৈতিক নেতার যত্রছায়ায় একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে থাকে। বুড়িমারী স্থলবন্দরের কাস্টমসের কতিপয় অসাধু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, ইমিগ্রেশন, আমদানি-রফতানিকারক, সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ যোগসাজশে চলছে রাজস্ব ফাঁকির মহোৎসব। তাই দিন দিন সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। সরকারের রাজস্ব আদায়ের অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। বুড়িমারী স্থলবন্দরে ২০১৬ অর্থবছর হতে ২০১৭ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হর জুলাই মাসে তিন কোটি ৯০ লাখ টাকার বিপরীতে অর্জিত হয় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা, আগস্ট মাসে তিন কোটি ৯০ লাখ টাকার বিপরীতে অর্জিত হয় এক কোটি ৪৪ লাখ টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে তিন কোটি ৯০ লাখ টাকার বিপরীতে অর্জিত হয় এক কোটি ৬৭ লাখ টাকা, অক্টোবর মাসে চার কোটি ৬৫ লাখ টাকার বিপরীতে অর্জিত হয় দুই কোটি ৪৬ লাখ টাকা, নবেম্বর মাসে পাঁচ কোটি ২০ লাখ টাকার বিপরীতে অর্জিত হয় তিন কোটি ৮৪ লাখ টাকা, ডিসেম্বর মাসে পাঁচ কোটি ২০ লাখ টকার বিপরীতে অর্জিত হয় তিন কোটি ২৭ লাখ টাকা ও জানুয়ারি মাসে পাঁচ কোটি ২০ লাখ টাকার বিপরীতে রাজস্ব অর্জিত হয় তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সাত মাসে মোট রাজস্ব আদায় হয় মাত্র ১৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। অথচ লক্ষ্যমাত্র ছিল ৩১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ১৫টি পণ্য আমদানির ওপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করে। ব্যবসায়ীগণ দীর্ঘদিন ধরে ১৫টি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দাবি তুলে আসছে। এদিকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা ৫১টি প্রতিষ্ঠানের নিকট শুল্ক বকেয়া রয়েছে। বকেয়া শুল্ক আদায় করতে না পেরে কাস্টম কর্তৃপক্ষ ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের ওপর ব্যবসা বাণিজ্য বুড়িমারী দিয়ে করতে স্থগিত আদেশ জারি করেছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে মামলা করে মামলার সূত্র ধরে বকেয়া শুল্ক থাকার পরও ব্যবসা বাণিজ্য করছে। স্থলবন্দরে মিসডিক্লিয়ারেশন বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি কারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী, কাস্টমস ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে পণ্য আমদানির একটি নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে স্থানীয় সিএ্যান্ডএফ এজেন্টের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজেদের মাঝে ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছে। বুড়িমারী স্থলবন্দর ও ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে যৌথ শক্তিশালী আন্তঃদেশীয় একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে উভয় দেশের সিন্ডিকেট সদস্যরা আমদানি-রফতানি করে রাজস্ব ফাঁকির টাকা নিয়মিতভাবে ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছে। বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স সায়েদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ সায়েদুজ্জামান সাঈদ এবং চ্যাংড়াবন্ধা সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট উত্তম এ্যান্ড ব্রাদার্স, প্রোঃ উত্তম কুমার সরকার, দীর্ঘদিন এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। বুড়িমারী স্থলবন্দরে পণ্যের ওজন কম দেখানো প্রথমে একটি আমদানিকৃত পণ্যের ট্রাক বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রবেশের পর বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বুড়িমারী শাখার নির্ধারিত ওজন স্টেশনে নেয়া হয়। সেখানে কম্পিউটার পদ্ধতির মাধ্যমে ওজন পরীক্ষা করা হয়। সরকারী বিধিমোতাবেক ওজন স্টেশনে গুল্ক গোয়েন্দা, কাস্টমস, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও আমদানিকারকের প্রতিনিধি হিসেবে সিএ্যান্ডএফ এজেন্টের লোকজন উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সেখানে সকলের উপস্থিতিতে একটি সমঝোতার ভিত্তিতে পূর্ব-পরিকল্পনা মোতাবেক তারা আমদানি করা পণ্যের ওজন ফাঁকি দিয়ে ওজন কম দেখায়। এরপর আমদানিকৃত পণ্যের ওপর কাস্টমস কর্তৃক রাজস্ব আদায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি ও সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত বিল অব এন্ট্রির প্রস্তুত করে উপস্থাপন করে। আর অতিরিক্ত পণ্যের রাজস্ব ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। এসব অতিরিক্ত পণ্যের লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রমের চার্জ (মাশুল) স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সরকারী হিসেবে খাতায় জমা হয় না। স্পিড মানির নামে অনিয়ম আমদানি-রফতানি পণ্যের দ্রুত ছাড়পত্র নেয়া ও হয়রানি থেকে রেহাই পেতে আমদানি কারক ব্যবসায়ীরা অনেকটা বাধ্য হয়েই কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবর রহমান, ফিরোজুল আলম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শ্রী ধীমান বর্মণকে প্রতি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে অতিরিক্ত ১৫শ’ করে টাকা উৎকোচ দিচ্ছে। এই উৎকোচকে তাদের ভাষায় স্পিড মানি বলা হয়। তাছাড়া পাথরের কোয়ালিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে প্রতি মে. টন পাথরের জন্য (৩০-৬০) অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবুর রহমান। এক্ষেত্রে ইয়ার্ড থেকে ট্রান্সশিপমেন্ট করে ছাড়পত্র দেয়ার নিয়ম থাকলেও বুড়িমারী স্থলবন্দরে কোন ট্রান্সশিপমেন্ট নীতিমালা মানা হয় না। এখানে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবর রহমান ট্রান্সশিপমেন্ট ছাড়পত্র দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। জালিয়াতি করে রাজস্ব ফাঁকি পণ্য আমদানি পর এইচএস কোড জালিয়াতির করে রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়। এক্ষেত্রে ২০ থেকে ৪০ পণ্যের স্থলে মাত্র ০৮/১০ পণ্য দেখানো হয়। এভাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়। এসব ঘটনায় একাধিকবার ট্রাস্কফোর্স গঠন করা হয়ে ছিল। ট্রাস্কফোর্স এসব পণ্য আটক করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরও কাস্টমস কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে তা ধরা সম্ভব হয় না। সাধারণ ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, উচ্চ ক্ষমতার অডিট টিম গঠন করে তদন্ত করলে বুড়িমারী স্থলবন্দরের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি বেরিয়ে পড়বে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, দুর্নীতি অনিয়ম ঢাকতে স্থানীয় কতিপয় সংবাদকর্মীকে প্রতিমাসে মাসেহারা দিয়ে থাকে বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবসায়ীরা। বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ব্যবসায়ী মেসার্স সায়েদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ সায়েদুজ্জামান সাঈদ জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে এখন উচ্চ শুল্কের আমদানি-রফতানি প্রায় বন্ধ রয়েছে। ভুটান হতে শুধু পাথর শুল্কমুক্তভাবে আমদানি হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন। বুড়িমারী স্থলবন্দরের ডিডি ট্রাফিক মোঃ মনিরুল ইসলাম ওজনে কম দেখানো সম্পর্কে বলেন, বুড়িমারীতে স্বক্রীয় পদ্ধতিতে পণ্যের ওজন করা হয়। এখানে কম দেখানোর কোন সুযোগ নাই। বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী কর কমিশনার (এসি) মোঃ রিজভি আহম্মেদ জানান, এই বন্দর দিয়ে বর্তমানে প্রায় ৯০ ভাগ পণ্য আমদানি হচ্ছে ভুটানী পাথর। যাহা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসছে। বুড়িমারী স্থলবন্দরের অনিয়মের বিষয় সত্য নয়। তবুও বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি দাবি করেন, বুড়িমারীতে তিনি যোগদানের পর কাজ কর্মে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সৃষ্টি হয়েছে। সিএডএফ এজেন্টদের অপতৎপরতা এখানে ১০ চাকার আমদানিকৃত সুপারির অথবা অন্য যেকোন পণ্যের ট্রাক ওজন দেখানো হয় ১৫ হতে ১৮ মেট্রিক টন। অথচ উক্ত গাড়িতে ৪০/৪৫ মেট্রিক টন সুপারি বা অন্য পণ্য আমদানি করা হয়। একইভাবে পাথরসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করা হয়ে থাকে। ওজন কম দেখানোর একমাত্র কারণ হলো শুল্ক ফাঁকি। আর এসব শুল্ক ফাঁকি দেয়া অতিরিক্ত পণ্যের মূল্য হুন্ডির মাধ্যমে পরিশোধ করা হচ্ছে। এসব কাজে স্থলবন্দর, কাস্টমস, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি কারকদের সরাসরি যোগসাজশের মাধ্যমে হয়ে আসছে বলে মাঠপর্যায়ে তথ্য পাওয়া যায়। অপরদিকে স্থলবন্দরের ভেতরে একটি গাড়ি রাখা হলে প্রতিদিনের জন্য গাড়িপ্রতি ১২২ টাকা হারে বন্দর কর্তৃপক্ষ আদায় করে। কিন্তু উক্ত আদায়কৃত টাকা কখনও রাজস্ব কোষাগারে জমা দেখানো হয় না বলে জানা যায়। ইমিগ্রেশনের নামে হয়রানি বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনে আগমন-বহিঃগমনকারী ব্যক্তিদের পাসপোর্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে নানা জটিলতা দেখিয়ে পাসপোর্ট প্রতি যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তারা। আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট পরীক্ষা করার জন্য ‘ইউ-রিয়ার’ মেশিন নামে একটি যন্ত্র থাকলেও, ইমিগ্রেশনের দক্ষ জনবলের অভাবে তা ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা (এসআই) আনোয়ার ইসলামের কক্ষে পড়ে থাকে। জনৈক স্থানীয় বুলবুল আহম্মেদ সরদার (বুলবুল), পিতা-তহিদুল ইসলাম সরদার, সাং-খিয়াকাটাবাড়ী, বুড়িমারী, পাটগ্রাম, লালমনিরহাট, নামে একজন সাধারণ লোককে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়ে দীর্ঘদিন ইমিগ্রেশনের পাসপোর্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হচ্ছে। এতে অনেক সময় নকল পাসপোর্ট আসল বলে চালিয়ে দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। আবার যথাযথভাবে পাসর্পোট পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই অর্থের বিনিময়ে তা সঠিক বলে চালিয়ে দেয়া হয়। ফলে সঠিক পাসপোর্টধারীরা যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অপরদিকে পূর্ব থেকেই ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্থের বিনিময়ে অনেক ত্রুটিপূর্ণ পাসপোর্র্ট দিয়ে যে কোন অপরাধী বা দাগি আসামি ভারত, নেপাল ও ভুটানে যাচ্ছে আবার ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে সন্ধেহভাজন ব্যক্তিরা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। সিএন্ডএফ এজেন্টর বকেয়া তালিকা এদিকে ২০১৫ সালে ২৬ ডিসেম্বর হতে ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত শুধু মেসার্স উইন্ডো ইন্টারন্যাশনাল, ১০৩/১০৪, হরিনাথ ঘোষ রোড, চকবাজার, ঢাকা কর্তৃক ঘোষণার অতিরিক্ত আমদানিকৃত প্রায় ১৫১৯.৬৮ মে. টন বোল্ডার স্টোন বুড়িমারী স্থলবন্দরের ডকইয়াডে পরে রয়েছে। এসব পাথরের মাঠ ভাড়া বাবদ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পাওনা প্রায় দুই কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। অথচ কেউ এসব পাথর নিতে আসছেন না এবং এগুলো নিলাম ও হচ্ছে না। একইভাবে আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের জন্য বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বপালনকারী বুড়িমারী কাস্টমসের সহকারী কমিশনারদের কাছে আমদানিকারকরা বন্ড সুবিধায় পণ্য ছাড় করে নিয়ে যায়। কিন্তু যথা সময়ে সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারকরা সরকারী পাওনা রাজস্ব পরিশোধ করেননি। বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ব্যবসায়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমীন বাবুল জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দরে পণ্য লোড আনলোডের কাজ ড্রপ কমিউনিকেশনকে সরকার দিয়েছে। ড্রপ কমিউনিকেশনের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। ড্রপ কমিউনিকেশন এখানে পণ্য লোড আনলোডের ঠিকাদারী করে।
×