ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লা সিটি মেয়র সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, তোলপাড়

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১৯ এপ্রিল ২০১৭

কুমিল্লা সিটি মেয়র সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, তোলপাড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ১৮ এপ্রিল ॥ কুমিল্লা সিটি কর্পোশেনের নবনির্বাচিত মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি মামলায় মঙ্গলবার ঢাকার একটি আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এ খবরে কুমিল্লা মহানগরসহ জেলাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাক্কু মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর মামলার জালে আটকে যেতে পারেন এমন আশঙ্কা ও গুঞ্জন ছিল বিএনপিসহ বিভিন্ন মহলে। সাক্কু নিজেও এমন আশঙ্কা করেছিলেন। জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি কুমিল্লা পৌরসভার তৎকালীন মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও তার স্ত্রী আফরোজা জেসমিন টিকলীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে ঢাকার রমনা থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক শাহিন আরা মমতাজ বাদী হয়ে ঢাকার রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ৮ বছর তদন্ত শেষে গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক নুরুল হুদা আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। তবে এ মামলার অভিযোগের দায় থেকে সাক্কুর স্ত্রীকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা। মঙ্গলবার এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মামলার চার্জশীট আমলে নিয়ে সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এছাড়াও আদালত সাক্কুর সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দেন এবং একই সঙ্গে তার গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য আদালত আগামী ৯ মে দিন ধার্য করে রমনা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৪ কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার ৯৩৩ টাকার জ্ঞাত-আয়-বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১ কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাক্কু দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছিলেন। গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরুল হক সাক্কু জানান, আমি ওই মামলায় হাজির না হওয়ার কারণে আদালত এ আদেশ জারি করেছে। আমি ওই মামলায় সুপ্রীমকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন নিয়েছিলাম। তবে আমার আইনজীবী বিষয়টি আদালতের কাছে উল্লেখ না করায় এমন আদেশ হয়েছে। আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে বুধবার আদালতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব। তিনি আরও জানান, সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় আমি যে ১২টি মামলার বিবরণ উল্লেখ করেছিলাম তাতে দুদকের এ মামলাটি ছিল ১ নম্বর ক্রমিকে এবং যা আমলে গ্রহণের জন্য শুনানির অপেক্ষায় ছিল বলে উল্লেখ রয়েছে।
×