ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আরও ৬০ ইউপির ভোট ২৩ মে

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৯ এপ্রিল ২০১৭

আরও ৬০ ইউপির ভোট ২৩ মে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ২৩ মে আরও ৬০ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে রয়েছে নির্বাচন উপযোগী ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন, স্থগিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন এবং শূন্য পদে উপনির্বাচন। কমিশন জানিয়েছে, এসব ইউপিতে নির্বাচনের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবারের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। ৩০ এপ্রিল রবিবার এসব মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। এছাড়া বৈধ প্রার্থীরা ৭ মে’র মধ্যে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে পারবেন। এছাড়াও বাছাইয়ে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হবে তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করতে পারবেন। আইন অনুযায়ী ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে দলীয় ভিত্তিতে। দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে শুধুমাত্র তিনিই দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবেন। এজন্য চেয়ারম্যান পদে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়নের সুবিধার্তে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে পত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে অন্যান্য পদে নির্দলীয় নির্বাচন হওয়ায় প্রার্থী হতে দলের কোন প্রত্যয়ন লাগবে না। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোন প্রত্যয়নপত্রের প্রয়োজন নেই। কমিশন জানিয়েছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নির্বাচ উপযোগী ৯ জেলায় ১৭ ইউপিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইউপির মধ্যে রয়েছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউপি, বগুড়ার কাহালু উপজেলার দুর্গাপুর, নরসিংদীর মনোহরদীর চারমান্দালীয়, ক্ষিদিরপুর ও কৃষষ্ণপুর ইউপি, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ও ধুবইল, কুমিল্লার বরুড়ার শাকপুর ও ভাওকসার, নড়াইলের কালিয়ার পচাগ্রাম ও পেড়লী, বরিশালের হিজলার ধুলখোলা, উজিরপুরের শিকারপুর, বরগুনার তালতলীর সোনাকাটা ও লক্ষীপুরের রামগতি থানার বড়খেরী, চর আব্দুল্লাপুর চর আগলী ইউনিয়ন পরিষদ। কমিশন জানিয়েছে, মামলাসহ বিভিন্ন কারণে যেসব ইউপিতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল যে পর্যায় থেকে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল সেই পর্যায়ে থেকেই নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এ বিষয়ে কোন জটিলতা থাকলে বা আদালতের আদেশ থাকলে বা অন্য কোন ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন থাকলে তা জরুরী ভিত্তিতে কমিশনকে অবহিত করতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। তারা জানায় ৭ জেলার ৯টি স্থগিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৩টি ইউপির সকল পদেই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এর তিনটি ইউপির মধ্যে রয়েছে সিরাজগঞ্জের উল্লারপাড়ার বড়হর ইউপি ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাড়রা ইউপি এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিণের পেরুল ইউপি। এছাড়াও বাকি স্থগিত চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কমিশন জানিয়েছে ২৩ জেলার ৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন পদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মৃত্যুজনিত বা অন্য কোন কারণে শূন্য হওয়া পদে ভোট গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে ২টিতে চেয়ারম্যান পদ ছাড়াই বাকিগুলোতে সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। গত বছর জুন পর্যন্ত কয়েক দফায় সারা দেশে প্রায় ৪ হাজার ইউপিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। তবে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা মামলা ও অন্যান্য কারণে অনেক ইউপিতে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। আদালতের বাধা কেটে যাওয়ার পর এখন এসব ইউপিতে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হচ্ছে। গত ১৬ এপ্রিল এ ধরনের প্রায় দেড় শ’র বেশি ইউপিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। তবে নতুন এই কমিশনের অধীনে এর আগে বেশ কয়েকটি নির্বাচন হলেও গত ১৬ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ইউপিতে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরও বিভিন্ন ইউপিতে ভোট গ্রহণের সময় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। নতুন করে আরও ৬০ ইউপিতে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ইউপি নির্বাচনের পরপরই তারা নতুন করে আরও ৫টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু করবে। বিশেষ করে মে মাসের শেষে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বছর ডিসেম্বরনাগাদ রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া আগামী বছরের প্রথম দিকেই খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এরপর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের চিন্তাভাবনা রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের পরেই তারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করবে বলে কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে।
×