ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়ের মৃত্যুর ২৬ বছর পর ক্ষতিপূরণ পেলেন বাবা

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৭

মেয়ের মৃত্যুর ২৬ বছর পর ক্ষতিপূরণ পেলেন বাবা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের নজির আছে! সত্যিই কম। সারাদেশে এমন ঘটনা নিতান্তই হাতেগনা। বললে বিরল। এবার ২৬ বছর আগে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ পেলেন একজন। দুই যুগ আগে বিআরটিসির বাস দুর্ঘটনায় মেয়ে নিহত হওয়ায় এ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। আদালতের রায়ের আলোকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুর্ঘটনায় নিহত নাফিয়া গাজীর বাবা কামাল আহাম্মেদ গাজীর হাতে ক্ষতিপূরণের প্রথম কিস্তির আড়াই লাখ টাকার চেক তুলে দেন। মঙ্গলবার সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ চেক হস্তান্তর করা হয়। বিআরটিসির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, ১৯৯১ সালের ২৯ মার্চ ঢাকার মৌচাক মার্কেটের সামনে বিআরটিসির বাস দুর্ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী নাজিয়া মারা যান। ওই ঘটনায় কামাল আহাম্মেদ একটি মামলা করলে আদালত ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার রায় দেয়। এরপর টাকা পাওয়া নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। কে দেবে ক্ষতিপূরণের অর্থ। বিআরটিসি নাকি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। নিয়ম অনুযায়ী বিআরটিসি কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়ার কথা থাকলেও এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে দ্বিধা দ্বন্দ দেখা দেয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, কামাল আহাম্মেদ ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় থেকে এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এ বছরের ২৯ মার্চের মধ্যে ক্ষতিপূরণের ১০ লাখ টাকা চার কিস্তিতে পরিশোধ করতে বিআরটিসি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়। প্রধানমন্ত্রী ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর নির্দেশনায় ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে চার কিস্তিতে ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়া হবে। আমরা একটা বিষয় প্রমাণ করতে চাচ্ছি বিআরটিসি সরকারী প্রতিষ্ঠান হলেও আইনের ঊর্ধে নয়, বিচার ব্যবস্থার ওপর সম্মান রেখে আমরা ক্ষতিপূরণের টাকা দেব। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক চেক হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন।
×