ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আজ সড়কমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের মিটিং

রাজধানীতে বাসের সংখ্যা কম, এখনও চলছে কিছু সিটিং সার্ভিস

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১৯ এপ্রিল ২০১৭

রাজধানীতে বাসের সংখ্যা কম, এখনও চলছে কিছু সিটিং সার্ভিস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকরের চারদিন পরও মঙ্গলবার রাজধানীতে বাসের সংখ্যা ছিল কম। কিছু পরিবহন এখনও সিটিং হয়ে চলছে। বহাল আছে চেকিং পোস্ট ও কাউন্টার। কিছু লোকাল হয়ে চললেও ভাড়া নৈরাজ্য অব্যাহত থাকার অভিযোগ যাত্রীদের। কৃত্রিম বাসের সঙ্কটে দিনভর নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা। সিটিং নৈরাজ্য বন্ধে তৃতীয় দিনের মতো পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে বিআরটিএ। পরিবহন মালিকরা বলছেন, সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্তের সঙ্গে মালিকদের সবাই একমত নন। অন্যদিকে রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতা। দুইয়ে মিলে বাস চলাচল কমেছে। ১০ ভাগ বাসেও ভাড়ার তালিকা চোখে পড়েনি। সব মিলিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী-বিআরটিএ-পরিবহন মালিক সমিতির নির্দেশ তোয়াক্কা করছে না অধিকাংশ পরিবহন কোম্পানি। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ সড়ক মন্ত্রীর সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সিটিং সার্ভিসের নামে বাড়তি ভাড়া আদায়ে নগরীর বিভিন্ন রুটের বাসে মস্তান রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। এদিকে রাজধানীর গণপরিবহনে সকল নৈরাজ্য বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নগরীর যাত্রী ভোগান্তি লাঘবে জরুরী ভিত্তিতে পরিকল্পিত ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে সিটিং সার্ভিস বন্ধের নামে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে যেসব বাস জড়িত তাদের রুট পারমিট বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। কথিত সিটিং সার্ভিসের নৈরাজ্য বন্ধের কার্যক্রমে যাত্রী ভোগান্তি পর্যবেক্ষণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবিগুলো জানান। সংগঠনের এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মহানগরে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ যাত্রী গণপরিবহন ব্যবহার করে। এখানে প্রতি ৪ হাজার ২৫০ যাত্রীর জন্য মাত্র একটি বাসের ব্যবস্থা রয়েছে। যার অধিকাংশই যাত্রী বহনের অনুপযোগী লক্কড়-ঝক্কড়। যানজট, অব্যবস্থাপনা, যততত্র রাস্তার মাঝপথে যাত্রী উঠানো নামানো, চলন্ত বাসে যাত্রী উঠানো নামানো, তীব্র পরিবহন সঙ্কটে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে বাস না পাওয়া। লোকাল বাসগুলো চলাচলের সময় প্রতিটি স্টপেজে ৫/৭ মিনিট দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাঁকডাক করে যাত্রী তোলা ইত্যাদি যাত্রী হয়রানিমূলক কারণে যাত্রীরা যখন অধৈর্য ও অস্থির এই বিষয়কে পুঁজি করে গুলিস্তান-আদমজী রুটে কোমল মিনিবাস সার্ভিস নামক একটি বাস কোম্পানি ১৯৯৮ সালে গুলিস্তান থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত ৪ টাকার ভাড়া সিটিং হিসেবে ৫ টাকা আদায়ের মধ্য দিয়ে সর্বপ্রথম এই নগরীতে সিটিং সার্ভিসের সূচনা করে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আরো বলেন, আসন বিবেচনা করে বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিটি সার্ভিসে ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ গড় বোঝাই ধরা হয়েছে। সে হিসেবে প্রতিটি ৩১ আসনের মিনিবাসে ৬টি সিট খালি নিয়ে সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় সিটিং হিসেবে যাতায়াত করার কথা। উন্নত বিশ্বে তাই হয়ে থাকে। কিন্তু নগরীতে চলাচলকারী প্রতিটি বাসে নিবন্ধনের অতিরিক্ত ১০ থেকে ১৫টি আসন সংযোজন করাই সিটিং হিসেবে চলাচল করলেও ১০ থেকে ১৫ যাত্রী এমনিতেই অতিরিক্ত বা ওভারলোড থাকে। যা আইনত নিষিদ্ধ। ২০১৫ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ বাস ভাড়া নির্ধারণ করা হয় বাস (ব-সিরিজ ৩৬ আসন) প্রতি কিলোমিটার ১ টাকা ৭০ পয়সাও মিনিবাস (জ-সিরিজ ৩১ আসন) প্রতি কিলোমিটার ১ টাকা ৬০ পয়সা। বাস সর্বনিম্ন ভাড়া ৩ কিমি পর্যন্ত ৭ টাকা মিনিবাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৩ কিমি পর্যন্ত ৫ টাকা হলেও এসব বাসে আবার নতুন করে সিটিংয়ের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও গণমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে এই সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেয়া হলেও তা বাস্তবায়নে নানা বাহানা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত দুদিন ধরে যাত্রী কল্যাণ সমিতির ৪টি পর্যবেক্ষক টিম নগরীর বিভিন্ন রুট পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে কথিত সির্টিং বাসগুলোর সিংহ ভাগ লোকাল হিসেবে অর্থাৎ অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের পরও বিভিন্ন বাস স্টপেজে ৩ থেকে ৫ মিনিট হারে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার জন্য হাঁকডাক করছে। এভাবে যাত্রী সাধারণ আগে যে গন্তব্যে ৩০ মিনিটে যাতায়াত করত সেখানে ১ ঘণ্টা, সোয়া ঘণ্টা, যেপথে ১ ঘণ্টায় যাতায়াত করত সেখানে ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগাচ্ছে। তবে আগের মতো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এসব বাসের অধিকাংশে সরকারী ভাড়ার তালিকা টানানো হয়নি। কিছু বাসে চালকের আসনে নিচে সরকারী ভাড়ার তালিকা পাওয়া গেলেও তারা এই তালিকা অনুসরণ না করে মালিকদের নির্দেশনা অনুযায়ী ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। সংগঠনের পর্যবেক্ষণ কালে প্রতীয়মান হয় যে, গত দুদিনে নগরীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যানবাহনের প্রায় ৪০ শতাংশ রাস্তায় নামানো হয়নি। পর্যবেক্ষণে আরও দেখা গেছে, নগরীতে চলাচলকারী স্বাধীন এক্সপ্রেস, হিমাচল পরিবহন, শিকড় পরিবহন, কোমল মিনিবাস সার্ভিস, মেঘলা ট্রান্সপোর্ট লিঃ, বেকার মিনিবাস সার্ভিস, শ্রাবণ ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি, শ্রাবণ সুপার, গুলিস্তান-আদমজী ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি, ভূঁইয়া পরিবহন, দিশারী পরিবহন, নূরে মক্কা, জাবালে নূর, অনাবিল সুপার, অসীম, অগ্রযাত্রা, রবরব, গ্যালাক্সি, তেঁতুলিয়া পরিবহন প্রভৃতি বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ টাকা আদায় করতে দেখা গেছে। শতাব্দী, আল মক্কা, মনজিল, মালঞ্চ, বসুমতি, গাজীপুর পরিবহন, রাইদা, সময় নিয়ন্ত্রণসহ বহু গাড়িতে সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা আদায় করতে দেখা গেছে। এছাড়াও সুপ্রভাত, শুভেচ্ছা, ওয়েলকাম, তানজিল, গুলিস্তান-গাজীপুর পরিবহন লিঃ, মেশকাত, ৭নং রুটের মিনিবাসেও সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা আদায় করতে দেখা গেছে। একদিকে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে যাত্রী সাধারণের মধ্য তীব্র ক্ষোভ ও চাপা উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রস্তাবনাবলি নিম্নরূপ: সেসব বাস সরকারী নিদের্শনা উপেক্ষা করে বন্ধ রেখেছে জরুরী ভিত্তিতে সেসব বাস চিহ্নিত করে রুট পারমিট বাতিল করা, সরকার নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী ভাড়া আদায়ে রুটভিত্তিক, কোম্পানিভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করা, প্রতিটি বাসের গায়ে লেখা সিটিং সার্ভিস, গেটলক সার্ভিস, স্পেশাল সার্ভিস, কম স্টপেজ সার্ভিস ইত্যাদি লেখা মুছে ফেলার ও স্টিকার উঠিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা, অতিরিক্ত আসন সংযোজনকারী বাসের আসন সংখ্যা কমানোর উদ্যেগ গ্রহণ, বাস চলাচলে স্টপেজ প্রথা মানা, পারমিটের শর্তানুযায়ী চলাচল নিশ্চিত করা, লক্কড়-ঝক্কড় বাস উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশের রাজধানীতে চলাচলের কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে এসব বাস রিপ্লেসমেন্ট পদ্ধতিতে উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, প্রতিটি বাস স্টপেজে কত সময় দাঁড়াবে, যাত্রী না থাকলে স্টপেজে দাঁড়ানো যাবে না, কত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছবে তা নিশ্চিত করা, অধিক যাত্রী ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাপক গণপরিবহন নামানোর জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ, গণপরিবহনের চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি বন্ধে উদ্যেগ গ্রহণ, মালিকদের গৃহীত এই কর্মসূচীতে যাত্রী স্বার্থবিরোধী যেসব বিষয় উঠে আসছে তা দ্রুত নিরসন করা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, নিরাপদ সড়ক চাই চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক হুমায়ন কবির হিরু, এফবিসিসিআইর পরিচালক ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরীফ। গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধ করুন- জাতীয় কমিটি বাস-মিনিবাসের কথিত সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে রাজধানীজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্য ও জনভোগান্তি অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। আইন লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, ভাড়া আদায় ও বাস-মিনিবাস বন্ধ রেখে কৃত্রিম পরিবহন সঙ্কট সৃষ্টিকারী মালিক-শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছে বেসরকারী এই সংগঠনটি। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের উপদেষ্টা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মনজুরুল আহসান খান এবং সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি এই আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পরামর্শে এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গত রবিবার থেকে কথিত সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু করে। কিন্তু পূর্বঘোষিত এই অভিযান শুরুর দিন সকাল থেকেই রাজধানীর সড়ক পরিবহন খাতে দেখা দেয় চরম বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য ও জনদুর্ভোগ। জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, এক শ্রেণীর মালিক-শ্রমিকের খামখেয়ালিপনায় গত তিনদিন ধরে প্রায় ৪০ শতাংশ বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিদ্যমান গণপরিবহন সঙ্কট আরও বেড়ে গেছে। অন্যদিকে সিটিং সার্ভিস বন্ধ হওয়ায় চলাচলরত বাস-মিনিবাসগুলোতে নির্ধারিত আসনের দ্বিগুণ যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এতে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধসহ কর্মজীবী নারীরা অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিবৃতিদাতারা বলেন, চলমান অভিযানের কারণে সির্টিং সার্ভিসগুলো ইতোমধ্যে লোকাল সার্ভিস হয়ে গেছে। এসব বাস-মিনিবাসে প্রতিটি স্টপেজ থেকে যাত্রী ওঠা-নামা করছে; তবে আগের সিটিং সার্ভিসের ভাড়াই নেয়া হচ্ছে। অথচ অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধ করা হচ্ছে না। এতে একদিকে সাধারণ জনগণ প্রতারণার শিকার হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বাড়তি মুনাফা অর্জন করছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, মোটরযান চলাচল অধ্যাদেশে ইচ্ছাকৃত গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখলে রুট পারমিট বাতিলসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ যেসব মালিক গত তিনদিন যানবাহন বন্ধ রেখে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিআরটিএ। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ বিধি লঙ্ঘনকারী অনেক যানবাহনের কাছ থেকে জরিমানা আদায় ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কারাদ-াদেশ দিলেও কোন পরিবহন মালিককে সরাসরি শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। সাময়িক জনদুর্ভোগ সত্ত্বেও রাজধানীসহ সারাদেশে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দেন জাতীয় কমিটির নেতারা। তবে গাড়ি বন্ধ রেখে কৃত্রিম পরিবহন সঙ্কট সৃষ্টি এবং জোরপূর্বক অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সঙ্গে জড়িত মালিক ও শ্রমিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংশ্লিষ্ট যানবাহনের রুট পারমিট বাতিলের দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) বহরে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস যুক্ত করে রাষ্ট্রীয় এ বাণিজ্যিক সংস্থাকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার আহ্বান জানান বিবৃতিদাতারা।
×