ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা

মাদারীপুরে বাড়ি ভাংচুর, লুট ॥ আহত ১৫

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৮ এপ্রিল ২০১৭

মাদারীপুরে বাড়ি ভাংচুর, লুট ॥ আহত ১৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১৭ এপ্রিল ॥ সোমবার রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ও আমগ্রাম ইউনিয়নে নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। জানা গেছে, রবিবার রাতে ও সোমবার সকালে হোসেনপুর ইউনিয়নের পূর্ব নাগরদী গ্রামে নির্বাচিত মেম্বার হরিদাস বেপারীর লোকজনের বাড়িতে দু’দফা হামলা চালায় পরাজিত মেম্বার গুরুদাস বেপারীর সমর্থকরা । এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১০ জন আহত হয় এবং বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। মারাত্মক আহত নির্মল, নিখিল, শ্যামল, প্রেম ম-ল, নিলু, গোবিন্দকে রাজৈর ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। অপরদিকে সোমবার সকালে আমগ্রাম ইউনিয়নে পরাজিত চেয়ারম্যান জমির খান ও নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান টিপুর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয়পক্ষের পাঁচজন আহত হয়। এ সময় আমগ্রাম বাজারের কয়েকটি দোকানে ভাংচুর চালায় উত্তেজিত লোকজন। মনপুরায় আহত ৭ নিজস্ব সংবাদদাতা ভোলা থেকে জানান, মনপুরা উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নে নির্বাচনপরবর্তী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতজন আহত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় মনপুরার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে মেম্বার নিকসন ও নাজিম উদ্দিন টিপু সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত মাহাবুবুল ইসলাম নিকসন মেম্বার জানান, লোকমান হাওলাদারের নেতৃত্বে তার ভাতিজা নাজিম উদ্দিন টিপুসহ সমর্থকরা তার বাড়িতে হামলা করে। এতে ছয়জন আহত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলোÑ এরশাদ, সুমন, ওসমান, বেলায়াত, রেহানা। এদের মধ্যে এরশাদ ও সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী জোবায়ার হাসান রাজিব চৌধুরীর এক কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা। তবে লোকমান হাওলাদার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাদের পারিবারিক সমস্যার কারণে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী জোবায়ের হাসানের কর্মী সাইফুল ইসলামকে মনপুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিজয়ী মেম্বার প্রার্থীর হামলা ॥ কুপিয়ে জখম নিজস্ব সংবাদদাতা কলাপাড়া থেকে জানান, বিজয়ী মেম্বারপ্রার্থী বাহাদুর ভূঁইয়ার সমর্থক মিন্টুর নেতৃত্বে ১৫-১৬ সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে পরাজিত প্রার্থী জামান হোসেনের সমর্থক রাকিবুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। কুপিয়ে রাকিবুলের দোকানের বেড়া তছনছ করা হয়। জখম হয়েছে রাকিবুল। তাকে প্রথমে কুয়াকাটা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ধুলাসার ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের আশাখালী বাজারে সোমবার বেলা ১১টার দিকে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। আহত রাকিবুল ও তার মা খাদিজা বেগম জানান, মেম্বার বাহাদুরের ভাই রিপন ভূঁইয়া দাঁড়িয়ে থেকে হামলার নির্দেশ দেন। মহিপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত আবুল খায়ের ভূঁইয়া ওরফে রিপন জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভয়ে দোকান খুলছিল না রাকিবুল। তাকে দোকান খোলার জন্য বলা হয়। দোকানের ঝাঁপ খোলার সময় পেছনে সরতে গিয়ে লোহার গুঁতায় সামান্য জখম হয় রাকিবুল। কোপানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট।
×