ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাওড়াঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ১৮ এপ্রিল ২০১৭

হাওড়াঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি হাওড়াঞ্চলের বাঁধ ভেঙ্গে ফসলহানির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছে কয়েকটি সংগঠন। সোমবার আন্তর্জাতিক কৃষক সংগ্রাম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতি এবং বাংলাদেশ কিষানী সভা আয়োজিত যৌথ মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে এ দাবি জানানো হয়। কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি জায়েদ ইকবাল খান, ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবল সরকার, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ হোসেন, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাহরাইনে সুলতান বাহারসহ তিন সংগঠনের নেতারা মানববন্ধনে অংশ নেন। সম্প্রতি পাহাড়ী ঢলের সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিকাংশ হাওড় প্লাবিত হয়ে কৃষকের বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এতে শুধু নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলায়ই কৃষক ২ কোটি ৫ লাখ মণ ধান হারিয়েছে বলে বেসরকারী একটি সংগঠনের পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে। হাওড়াঞ্চলের দুর্বল ও অসমাপ্ত বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবন ও ফসলহানির পেছনে বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিকে দায়ী করছেন অনেকে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের হাওড়ে ২৮টি বাঁধ নির্মাণ না করে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়ার পর ইতোমধ্যে তার অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এভাবে ফসলহানির ঘটনায় মানববন্ধনে বক্তারা হাওড়ের কৃষকদের এককালীন ক্ষতিপূরণ দেয়াসহ কয়েকটি দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে কৃষি শ্রমিকদের সারা বছর কাজের ব্যবস্থা, বালাইমুক্ত কৃষি পদ্ধতির প্রচলন এবং কৃষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি রয়েছে। শ্রমিক নেতা ও ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, খাদ্যশস্য দিয়ে জ্বালানি উৎপাদনের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। এতে বাংলাদেশসহ খাদ্য আমদানিকারক দেশগুলোকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে জোর দিতে হচ্ছে। যে কোন মূল্যে মানুষের খাদ্যশস্য দিয়ে জ্বালানি তৈরির কর্মকা- রুখতে হবে।
×