ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবি সিনেটে বক্তারা

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ১৮ এপ্রিল ২০১৭

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের মানুষের ইতিহাস আন্দোলন-সংগ্রামের। বিভিন্ন সময় তারা অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলেছে। জঙ্গীবাদ বর্তমানে দেশের অগ্রগতির পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান। মুজিবনগর সরকার দিবস ২০১৭ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সভার আয়োজন করে। সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রহমত উল্লাহর পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা মাহববুউদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম, ঢাবি প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমেদ প্রমুখ। ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বলেন, বাঙালী অপরাজেয়। যেখানে এই দেশটি একটি দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশ ছিল সেখান থেকে আজ আমরা কতটা এগিয়ে গেছি তরুণ প্রজন্মকে সেটি মনে রাখতে হবে। তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তাদের মাথায় রাখতে হবেÑ আমরা যেই জায়গা থেকে এখানে এসেছি, তা ছিল চিন্তার বাইরে। এটিই প্রমাণ করে আমরা চাইলে পারি এবং আগামীতেও পারব। তিনি বলেন, টেক্সটবুক ভবন থেকে পাঠ্যবই রচনার দায়িত্ব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হবে। শিক্ষার একটি সুনির্দিষ্ট দর্শন থাকতে হবে। একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে আমরা কোন দর্শনে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে চাই। তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অতীতে বিভিন্ন সময় পথ দেখিয়েছি। আগামীতেও বিশ্ববিদ্যালয়টি এ ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আশা রাখছি। প্রবীণ এই আইনজীবী আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব অপরিসীম। এর মাধ্যমে সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা আরও এগিয়ে গিয়েছিল। যা পুরো বিশ্ব জেনেছিল। তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ এইচ এম কামরুজ্জামানের ছিল অসামান্য অবদান। এ নামগুলো আরও বেশি উচ্চারিত হলে বঙ্গবন্ধুকে আরও বড় বলে মনে হয়। তাই তাদের যথাযথভাবে স্মরণ করতে হবে। মাহবুবউদ্দীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একটি জনযুদ্ধের ইতিহাস। গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রামে এ দেশের সব মানুষ আমাদের সঙ্গে ছিল। যার ফলে এদেশ স্বাধীন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অতীতে যেভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি এখন জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। কোনভাবেই দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত হতে দেয়া যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনা সভা ॥ এদিকে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রহমত উল্লাহ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোঃ এনামউজ্জামান। এ সময় উপাচার্য বলেন, স্বাধীনতার সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। ঐতিহাসিক দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে অস্থায়ী সরকারের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, সেদিন এ সরকার গঠিত না হলে বাংলাদেশের বিজয় অর্জন বিলম্বিত হতো।
×