ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তর কোরিয়াকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি

যুক্তরাষ্ট্রের সামনে ‘বিকল্প সব পথ’ খোলা

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৮ এপ্রিল ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রের সামনে ‘বিকল্প সব পথ’ খোলা

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স গত রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী অসামরিক এলাকা (ডিএমজেড) পরিদর্শনে গিয়ে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কৌশলগত ধৈর্য ধারণের যুগের অবসান ঘটেছে। এ কথার মধ্য দিয়ে এই এলাকায় যে কোন সময় অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু হবে তার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। ৬৭ বছর আগে কমিউনিস্ট উত্তর কোরিয়া ও পুঁজিবাদী রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে তিন বছর (১৯৫০-১৯৫৩) ব্যাপী যে যুদ্ধ হয়েছিল তাতে মাইক পেন্সের পিতাও অংশগ্রহণ করেছিলেন। সে সময় যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে যে স্থানে দুদেশের মধ্যে সন্ধিপত্র স্বাক্ষরিত হয়, সেই পানমুনজম গ্রামে এসে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ‘ধৈর্যের অবসান’-এর ঘোষণা বেশ তাৎপর্যবাহী। এর আগে ট্রাম্পের শীর্ষ স্থানীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেঃ জেনারেল ম্যাক মাস্টার বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাব দিতে চীনের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের কয়েক ঘণ্টা আগেই উত্তর কোরিয়া একটি ব্যর্থ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ব্যর্থ হলেও এটি ছিল উত্তর কোরিয়ার সুস্পষ্ট উস্কানিমূলক তৎপরতা। এর আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং-এর সঙ্গে গলফ ক্লাব বীচে বৈঠকের প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশ জাপান উপকূলের খুব কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় উত্তর কোরিয়া। এসব ছাড়াও উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সব মার্কিন স্থাপনা ও ঘাঁটি এবং প্রেসিডেন্ট ভবন কয়েক মিনিটে ধূলিসাৎ করে দেয়ার হুমকি তো আছেই। এসবের প্রেক্ষিতে মাইক পেন্স দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘লৌহ দৃঢ়’ বন্ধুত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই এলাকায় মার্কিন মিত্রদের প্রতি কোন ধরনের ভুল পদক্ষেপ নেয়া উত্তর কোরিয়ার উচিত হবে না। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কোরীয় উপদ্বীপে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে নিরাপত্তা ও স্বস্তি’ ফিরিয়ে আনতে চায়। তবে যদি এই উদ্যোগ ব্যর্থ হয় তবে ‘বিকল্প সব পথ’ আমাদের সামনে খোলা আছে।’ গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও ঘোষণা করেছিলেন, চীন যদি এগিয়ে নাও আসে, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার আঞ্চলিক মিত্রদেশগুলো পিয়ং ইয়ংকে ‘শায়েস্তা’ করতে যথেষ্ট। ভাইস প্রেসিডেন্টের ‘বিকল্প পথ’ ও প্রেসিডেন্টের ‘শায়েস্তা’ শব্দ দুটির মূল সুর একটিই, আর তা হলো ‘সংঘাত’ বা যুদ্ধ। ইতোমধ্যেই ট্রাম্প সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি টমাহক ছুড়ে তা ল-ভ- করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তার নড়বড়ে অবস্থান কিছুটা সংহত করেছেন, আর আফগানিস্তানে আইএস জঙ্গীদের ওপর ৯ হাজার ৭৯৭ কেজি ওজনের মাদার অব অল বোম্বস ফেলে ঘরে-বাইরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন। অনেক সমালোচক অবশ্য এটিকে ‘মশা মারতে কামান দাগা’র মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। -ইয়াহু নিউজ
×