ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১৮ এপ্রিল ২০১৭

ঢাকার দিনরাত

ঢাকার তাপমাত্রা ছত্রিশের সীমা অতিক্রম করল প্রথমবারের মতো চৈত্রসংক্রান্তির দিন। ঢাকায় যে প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপ অনুভূত হচ্ছে তার কিছু কারণ রয়েছে। ঢাকা প্রায় বৃক্ষশূন্য, কয়েকটি উদ্যানেই কিছুটা গাছের সমাহার লক্ষণীয়। আর হাজারে হাজার গাড়ি এবং লাখো ফ্ল্যাটের এসি থেকে নির্গত গরম বাতাস রাজধানীকে আরও উত্তপ্ত করে তুলছে। শহরের ভেতর বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডও দায়ী এই অসহনীয় তাপ বাড়ানোর জন্য। তবে এরই মাঝে একদিন, পহেলা বৈশাখে প্রখর তাপদগ্ধ দিবসের পরের দিনই সন্ধ্যার পর রাজধানী অনেকটা শীতল হয়ে পড়েছিল সাগরে নিম্নচাপের কল্যাণে। জানালা খুললে মিলছিল হিমহিম হাওয়া। ভোরের দিকে প্রায়ই কিছুটা ঠা-া বাতাস বইছে, ভালো লাগছে। অবাক এক রবিবার রবিবারে মানে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে অফিসযাত্রার সময়টিতে ঢাকার নাভিশ্বাস ওঠার যোগাড় হয় মানুষ আর যানবাহনের চাপে। রাস্তাগুলো উপচে পড়ে যেন। গত রবিবারটি ছিল আশ্চর্যরকম ব্যতিক্রমী। সড়কে কোন যানজটই দেখলাম না, এক ঘণ্টায় চলে এলাম উত্তরা থেকে বাংলা মোটর। ব্যাপারটা কী? পরে জানা গেল ঢাকার এই ‘ছন্দ’ হারিয়ে ফেলার কারণ। রাজধানীর গণপরিবহন নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়ে থাকে। কিন্তু মানুষের দুর্দশা ঘোচে না। বিশেষ করে প্রতিটি কর্মদিবসে সন্ধ্যার আগে থেকে রাস্তার দুই ধারে বাস-মিনিবাসের জন্য অপেক্ষমাণ এবং হেঁটে চলা মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। সিটিং সার্ভিসের নামে এক ‘চিটিং‘ ব্যবসা ফেঁদে বসেছে পরিবহন ব্যবসায়ীরা। অথচ গণপরিবহনে ঢাকা শহরের ভেতরে সিটিং করার বৈধ অনুমতি নেই। কর্তৃপক্ষ বাসযাত্রীদের দুর্দশা লাঘবের জন্য বাস সার্ভিসের সিটিং পদ্ধতি উঠিয়ে দিয়েছে। রবিবার ছিল তারই নজরদারি এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযান পরিচালনার প্রথম দিন। তাই ঢাকা অমন ফাঁকা হয়ে উঠেছিল। সিটিং সার্ভিস বন্ধ, যানবাহনের বাম্পার অপসারণ ও অন্যান্য অনিয়ম বন্ধে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালায়। বাসের মধ্যে ভাড়ার কোন তালিকা না থাকায় এবং নিয়মের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় জরিমানা করেন ম্যাজিস্ট্রেট। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরে না আসা পর্যন্ত গণপরিবহনে অভিযান চলবে। দেখা যাক, চললে তো ভালোই। অথচ অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি এসবই সাময়িক, ক্ষুব্ধ যাত্রীদের ক্ষোভ কমানোর স্বল্পকালীন পদ্ধতি। ঢাকাবাসী চায় আইন মেনে ব্যবসা করুক পরিবহন ব্যবসায়ীরা। সেইসঙ্গে চায় রাস্তায় বেরুনোর পর সহনীয় সময়ের ভেতর প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাস-মিনিবাসে আরোহণ করার নিশ্চয়তা। স্বভাব-অভাবী ঢাকায় ভিক্ষাবৃত্তির ধরন বদলে যাচ্ছে। মানুষ আর আগের মতো সদয় ও দানশীল নেই। তাই ভিক্ষুকরাও বিচিত্র কৌশল অবলম্বন করে ভিক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। টাইপ করা কিছু কথা ফটোকপি করে বাসের ভেতর যাত্রীদের হাতে হাতে ধরিয়ে দিয়ে সাহায্য চাওয়ার কৌশলটি একটু পুরনো হয়ে গেছে। প্রায় দু’শ’ বছর আগে লেখা কালজয়ী রুশ লেখক ফিওদর দস্তয়েভ্স্কির ‘অভাজন’ উপন্যাসে ঢাকার এ জাতীয় ভিক্ষুকদের অনুরূপ সাহায্যপ্রার্থীর সন্ধান মেলে। জীবনের সত্য যখন আমরা সাহিত্যের ভেতর পাই তখন সেটি আমাদের বেশি আন্দোলিত করে। আমরা নতুন দৃষ্টিতে জীবনের দিকে ফিরে তাকাই। পথে পথে হাত পেতে থাকা অভাবীদের বিরাট অংশই যে নিরুপায় সহায় সম্বলহীন; অন্যের দয়ার ওপরেই যে তাদের জীবনযাপন নির্ভরশীলÑ এই বোধটুকু যেন আমরা খুইয়ে না বসি। উত্তরা মতিঝিল রুটের বিআরটিসির এসি বাসে সফেদ পাজামা-পাঞ্জাবি পরা বুড়ো লোকটিকে এর আগে অনেক বার দেখেছি। দেখে কারুরই মনে হবে না যে বাসে ওঠার কিছুক্ষণ পর কাঁধের ব্যাগ থেকে অসুস্থ স্বজনের ছবিসম্বলিত আবেদনপত্র বের করে করুণ ভঙ্গিতে বাসযাত্রীদের কাছ থেকে অর্থসাহায্য চাইবেন। সত্যিই লোকটিকে দেখে তার পরিকল্পনা সম্পর্কে আগাম ধারণা পাওয়া অসম্ভব। লোকটিকে অভিজাত ঘরের বলেই মনে হবে। চেহারা ভাল, হাবেভাবে মোটেই দুস্থ মনে হয় না। একবার দেখেছিলাম বাসের সামনের দিকে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলো থেকে এক মহিলা পাশের সিটে সরে বসে লোকটির জন্য জায়গা ছেড়ে দেন যাত্রী ভেবে। তাতে মোটেই বিব্রত হননি সেই ব্যক্তি, বরং সপ্রতিভভাবে জানিয়েছিলেন যে পরে এসে বসবেন। মাঝে বেশ কিছুকাল লোকটিকে দেখিনি। সেদিন হঠাৎ দেখলাম। ব্যাগের বেল্ট হাতে বা কাঁধে না ঝুলিয়ে মাথার ওপর ঝুলিয়েছেন। ধোপদুরস্ত পোশাক, চেহারায় প্রশান্ত এক আভিজাত্য। মনে হলো যথেষ্ট পেশাদারী ভঙ্গিতেই তিনি ব্যাগ থেকে প্রচার-পত্রটি বের করে তার বক্তব্য প্রদান শুরু করলেন। অসুস্থ স্ত্রীর জন্য গভীর মমতা ঝরে পড়ল তার কথায়, অল্প সময়ের ভেতর তার চোখ অশ্রুসজলও হয়ে উঠল, কণ্ঠ গেল ভিজে। কেউ কেউ টাকা বাড়িয়ে দিলেন, কেউ কেউ নিশ্চয়ই বিরক্ত ও বিব্রত বোধ করেছেন। এমন সুফিসুফি চেহারার লোককে কেউ কটু কথা শোনান না সন্দেহ হলেও। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত স্ত্রীকে সুস্থ করে তোলার জন্য যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা বাসে-বাসে চেয়েচিন্তে যোগাড় করা যে মহাঅসম্ভব এক কাজÑ সেটি স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন একবার এক যাত্রী। যাত্রীটি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছিলেন, লোকটি একজন ভদ্র কৌশলী ভিক্ষুক। তখন আমার এমনটা মনে না হলেও এদফায় মনের ভেতর সন্দেহের মেঘ জমে উঠতে লাগল। দ্বিতীয় ঘটনা রাত এগারোটার পর বিজয় সরণি মোড়ের। ছেলেটির বয়স চৌদ্দ হতে পারে, আবার কুড়ি হওয়াও বিচিত্র নয়। তার চেহারাই এমন, এক প্রৌঢ় লোকের (সম্ভবত বাবা) কোলে চড়ে থাকে বলে তার শারীরিক আকার ঠিক বোঝা যায় না প্রথম দেখায়। ভাল করে দেখলে বোঝা যায় ছেলেটি বেশ লম্বা। নিশ্চয়ই প্রতিবন্ধী। তা না হলে কোলে কেন! ছেলেটির মুখখানি শিশুর মতো হলেও শরীরের তুলনায় মাথাটি বেশ ছোট হওয়ায় এবং গলা লম্বা হওয়ায় তাকে কিছুটা মনুষ্যসদৃশ ভিন্ন প্রাণী বলে মনে হতে পারে। তাছাড়া সে যেভাবে হাসে, চোখ ঘোরায়, মাথা বাঁকায় তাতে বানর-স্বভাবী বলেও মনে হতে পারে কারও কারও কাছে। জিপগাড়ির চালক বললেন, কোলের ছেলেটি কিন্তু হাঁটতে পারে। আমি নিজ চোখে তাকে হাঁটতে দেখেছি। চালকের কথা শুনে গাড়ির মালিক ভদ্রলোক হাসেন। চালককে বললেন জানালার কাচ উঠিয়ে লোকটিকে জিজ্ঞেস করতে যে সে কত বছর যাবত এ ব্যবসা করছে? চালক তাই করলেন। এই লোকটিও বেশ স্মার্ট, বলল কোন ব্যবসা! কারওয়ান বাজার থেকে যারা মাল নিয়ে আরেক জায়গায় যায় তারা ব্যবসা করে। আমি করি না। কিছুক্ষণ পর ট্রাফিক সিগন্যাল পেয়ে আমাদের গাড়ি যখন চলা শুরু করল তখন পূর্ব-দক্ষিণ দিকের মোড়ে দেখি সেই বিসদৃশ ছেলেটি দিব্যি হেঁটে রাস্তা পার হচ্ছে। ছেলেটি খঞ্জ এমন ধারণা না পেলে কেউ দু’পয়সা সাহায্য করবেন না বলেই বোধকরি এমন কৌশল! ‘সংস্কৃতি’ অস্ত্রের ঝলকানি রমনার বটমূলে বর্ষবরণের আয়োজনে ড. সনজীদা খাতুন অত্যন্ত সময়োপোযোগী ও তাৎপর্যময় ভাষণ দিয়েছেন। জাতীয় বিবেচনায় অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই বক্তব্যের অন্তর্নিহিত গুরুত্ব কি আমাদের ঢাকার মিডিয়া অনুধাবনে অপারগ থেকেছে? একমাত্র জনকণ্ঠই এ নিয়ে প্রথম পাতায় বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। শিরোনামে ছায়ানট কর্ণধারের বক্তব্যের উদ্ধৃতি ছিলÑ ‘সংস্কৃতি’ অস্ত্র দিয়ে নতুন স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এসেছে। সংস্কৃতিচর্চা যারা করেন তাদের বিশেষ দায় রয়েছে। আমরাও বার বার সাংস্কৃতিক আয়োজন জোরদার করার কথা বলে থাকি। চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণ উপলক্ষে ঢাকায় সাংগঠনিকভাবে ছাড়াও ঘরোয়া নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এটিও খুব দরকারি। এতে নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা ও নবায়নের পাশাপাশি তরুণদের আগ্রহী ও উদ্বুদ্ধ করার প্রয়াস থাকে। সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে একটি অভাবনীয় দৃশ্যের কথা বলি। মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে মৌলবাদীরা হুঙ্কার দিয়েছে। ফলে প্রশাসন থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরী হয়ে ওঠে। তাই বলে মঙ্গল শোভাযাত্রার সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ থাকবেÑ এটা ভাবিনি। এটি শোভাযাত্রার শোভাই অনেকখানি নষ্ট করেছে বলে আমার ব্যক্তিগত অভিমত। ঐতিহ্য হিসেবে বিশ্বস্বীকৃতির পর এ বছর প্রথমবারের মতো শোভাযাত্রার আয়োজনটি আরও বর্ণাঢ্য, উৎসবমুখর ও ঢাকায় বসবাসকারী বিদেশীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হোকÑ এমনটাই ছিল চাওয়া। তা হয়নি। বৈশাখ আসার আগে ‘এসো হে বৈশাখ’ বলে বৈশাখকে আহ্বানই যৌক্তিক মনে হয়। বৈশাখের জন্য প্রস্তুতি, বর্ষ শেষের চৈত্রসংক্রান্তি আর বসন্তযাপনÑ এই সব মিলিয়ে নিকট বন্ধুজনদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গুরুত্বই অন্যরকম। সমমনাদের নিয়ে গড়ে তোলা ছোট্ট একটি সংগঠন আকাশ প্রদীপ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আয়োজনে যাঁরা পরিবেশন করলেন গান ও কবিতা তাঁদের সবাই পেশাজীবীÑ কেউ চিকিৎসক, কেউবা শিক্ষক কিংবা সাংবাদিক। কিন্তু সকলেই সুদূরের পিয়াসী, শিল্পমনা, সুন্দরের পূজারী। রাজধানীতে বড় বড় আয়োজনের পাশে এমন কতই না ছোটখাটো আয়োজন হয়, যাতে প্রাণের পরশের সামান্যতম ঘাটতি থাকে না। এর সাংস্কৃতিক-সামাজিক গুরুত্বও বিরাট। বাঙালী এভাবেই তার শেকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, নিজ সাহিত্য-সঙ্গীতের গুণীজনদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। আকাশ প্রদীপের এ আয়োজনটি হয়েছিল মহাখালী ডিওএইচএস-এ ব্যবসায়ী আলম সাহেবের বাসভবনে। চৈত্রসংক্রান্তির জন্য বিশেষ আপ্যায়ন ব্যবস্থা ছিল, রাতে বৈশাখী ভোজ। গোটা পঞ্চাশেক সুধীজনের এ সমাবেশে কেউ কেউ তাঁর কাছের বন্ধুটিকে নিয়ে এসেছিলেন। তিনিও পারফর্ম করেন। যেমন এসেছিলেন বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী সুমন চৌধুরী। তরুণ শিল্পী মনিরা ফেরদৌসী মহুয়ার গানও শ্রোতাদের মোহিত করে। আবার আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন কোন কোন কবি ও আবৃত্তিকার। ফলে এ আয়োজনে ধানমন্ডি থেকে ইস্কাটন, মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর, গুলশান থেকে উত্তরাÑ বিভিন্ন এলাকার সংস্কৃতিবান মানুষ এসে জড়ো হয়েছিলেন। আয়োজক গোলাম মোরশেদ, ফারুক মাহমুদ, শাহরিয়া সুলতানা পিউ, মালিহা পারভীন, ডা. কুমার প্রমুখের ধন্যবাদ প্রাপ্য। ‘নিপানজনের বৈশাখী আয়োজন’টিও উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল। নিপা ও অন্জনÑ স্বামী-স্ত্রীর ডাকনাম মিলিয়ে এই ঘরোয়া আয়োজনে কবিতা ও গানে বৈশাখকে স্বাগত জানানো হয়। তরুণ প্রজন্মের এক ঝাঁক শ্রোতাদর্শকের উপস্থিতি এতে নিশ্চিত করা হয়। এই গোছানো ও দায়িত্বশীল আসরের জন্য লেখক-দম্পতি ধন্যবাদ পাবেন। তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় ঢাকার সমস্যার শেষ নেই। এগুলোর কোন কোনটির ধীরগতি উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। তবে একটি ব্যাপারে তিন মাসের মধ্যে থার্ড থেকে সেকেন্ড হয়েছে ঢাকা। সেটি হলো ফেসবুকের ব্যবহার। সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারী হিসেবে সারা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্য ঢাকা এখন দ্বিতীয়। এখানে ২ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ সক্রিয়ভাবে ফেসবুক ব্যবহার করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া গবেষণা প্রতিষ্ঠান উই আর সোশ্যাল ও হুটস্যুট সম্প্রতি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে ঢাকা শহরের সীমানা নির্দিষ্ট করা হয়নি। অর্থাৎ, ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে। এপ্রিল মাসের তথ্য অনুযায়ী, শহর হিসেবে ফেসবুক ব্যবহারে ঢাকার ওপরে আছে কেবল ব্যাংকক। ব্যাংককে তিন কোটি মানুষ ফেসবুকে সক্রিয়। ঢাকার পরে আছে জাকার্তা ও মেক্সিকো সিটি। গত জানুয়ারিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারীর তালিকায় ঢাকা তৃতীয় অবস্থানে ছিল। এপ্রিলে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। এদিকে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে প্রায় ২ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছেন। দেশে যত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহৃত হচ্ছে, এর মধ্যে ৯৯ শতাংশই ফেসবুক। বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ১ কোটি ৭০ লাখ পুরুষ আর ৬৩ লাখ নারী। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ৯৩ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে মোবাইল ডিভাইস থেকে ২ কোটি ২৬ লাখ মানুষ ফেসবুকে ঢুকছেন। এলাহি ব্যাপার বটে! ১৬ এপ্রিল ২০১৭ [email protected]
×