কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের সম্পর্ক বর্তমানে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। এই ঐতিহাসিক সফরের সুফলকে কাজে লাগাতে হবে। শুধু ভারতের কোন ইস্যু এলে এটাকে সস্তা বিতর্কের বিষয় হিসেবে তৈরি করলে আসলে সেটা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতি বলে মনে করেন বক্তারা।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর’ শীর্ষক জাতীয় প্রেসক্লাব সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা শেখ হাসিনার ভারত সফরকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের আয়োজনে এই সংলাপের সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সংলাপ সঞ্চালনা করেন ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। এতে সিনিয়র সাংবাদিকরা অংশ নেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, শুধু ভারতের কোন ইস্যু এলে এটাকে সস্তা বিতর্কের বিষয় হিসেবে তৈরি করলে আসলে সেটা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, এই সফরে আমাদের প্রস্তাবগুলোকে সেখানকার সরকার, সুশীল সমাজ, এমনকি বিরোধী দলগুলো সমর্থন করেছে। তারা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রটোকল ভেঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে শুধু স্বাগতমই জানাননি, সে দেশের মিডিয়ার সামনে বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে বেশি এগিয়ে গেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তারেক শামছুর রহমান বলেন, এবারের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নতুন একটা মাত্রা এনে দিয়েছে। এবারের সফর নয়া দিক দর্শন। ভারতে নরেন্দ্র মোদি নির্বাচিত হওয়ার পর ‘প্রতিবেশী প্রথম’ বলে যে মন্তব্য করেছেন সেটি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে যে ‘বিবিআইএন’ গঠন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ সফর উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, ভারতের জন্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী তাদের নিরাপত্তা দিলেন। এর ফলে তাদের ‘আস্থা’ বাড়ল। আর এই আস্থার কারণেই বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক বর্তমান অবস্থানে।
বাঙালীদের ‘আবেগ’ প্রবণতার কথা উল্লেখ করে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মে. জে. (অব) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক সব সময় আবেগ দিয়ে কল্পনা করা হয় কিন্তু একটি দেশের সঙ্গে আরেকটি দেশের সম্পর্ক আবেগ দিয়ে হয় না।’ আমাদের মিলিটারির সঙ্গে ভারতীয় আর্মির সহোযোগিতামূলক সম্পর্ক আগেও ছিল। তবে এবারের সফরে সেটাকে একটা ফ্রেমে নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দু’দেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: