ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কপোতাক্ষ নদে বালু উত্তোলন ॥ ঋষিপল্লী বিলীন হওয়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১৭ এপ্রিল ২০১৭

কপোতাক্ষ নদে বালু উত্তোলন ॥ ঋষিপল্লী বিলীন হওয়ার আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মণিরামপুরের ডুমুরখালি এলাকার ঋষিপল্লীর পাশ দিয়ে বহমান কপোতাক্ষ নদ থেকে বালু উত্তোলন থামছে না। প্রভাবশালীচক্র প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করে দেদার ব্যবসা করছে। বাধা দিলেই ভুক্তভোগীদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয় চক্রটি। এর ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে কপোতাক্ষ নদ তীরবর্তী ঋষি পল্লী বিলীন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন দফতরে লিখিতভাবে জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। জানা যায়, ২০০০ সালের পর থেকে দেড়যুগ ধরে কপোতাক্ষ নদ শেওলাসহ নানা জলজ উদ্ভিদে পরিপূর্ণ ছিল। সম্প্রতি এলাকার মুকুল, হাসান, সুকুমারসহ অর্ধশত যুবক স্বেচ্ছাশ্রমে টানা এক মাস থেকে আগাছা উঠিয়ে নদ পরিষ্কার করেছেন। এরপরই বালু উত্তোলনে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় সেলিম মহলদার, আবু তালেব, আব্দুল মোমিন, তিতাসের। এলাকাবাসীর অভিযোগ তাদের নেতৃত্বে ডুমুরখালি, এলাকা দিয়ে বহমান কপোতাক্ষ নদ থেকে বালু উত্তোলন করে চলেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় আকবর হোসেন নামে ধনাঢ্য প্রবাসী তার পুকুর ভরাটে সেলিম হোসেন কন্ট্রাক নেন। জানতে চাইলে সেলিম মহলদার জানান, তার পুকুর ভরাটে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অন্যরা এই কাজে তাকে কেবল সহযোগিতা করছে। সূত্র জানায়, সেলিম মহলদার সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার শিরাশুনী গ্রামের টুকুর কাছ থেকে বড় ড্রেজার মেশিন ভাড়ায় এনে বালু উত্তোলন করছে। জানতে চাইলে টুকু জানান, প্রতি স্কয়ার ফুট বালু উত্তোলনে ২.৭০ টাকা চুক্তিতে তার ড্রেজার মেশিন আনা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানায়, বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিতভাবে জানালেও আজও কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা এ্যাসিল্যান্ড লিংকন বিশ্বাস জানালেন, বালু উত্তোলনকারীদের অফিসে ডাকা হয়েছে।
×