স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পানামা জাতীয় ফুটবল দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এ্যামিলকার হেনরিকুয়েজকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে বন্ধুদের সঙ্গে কোলনের এক ছোট্ট এলাকা সাবানিতাসে সময় কাটাচ্ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী এ্যামিলকার। সে সময় গাড়ি থেকে নেমে এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি সরাসরি গুলি চালায় সবার দিকে লক্ষ্য করে। দ্রুতই এ্যামিলকারকে কাছের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে।
নিজ শহর কোলনের ইউনাইটেড আর লীগ ক্লাবের হয়ে খেলছিলেন এ্যামিলকার। গত বুধবারেই তিনি ম্যাচ খেলেছেন পানামা ফুটবল লীগে চোরিল্লোর বিরুদ্ধে। এছাড়া কলম্বিয়ার দল ইনডিপেনডিয়েন্ট ডি মেডেলিনের হয়ে ২০১২ থেকে ২০১৪, আমেরিকা ডি কালির হয়ে ২০১৫-২০১৬, রিয়েল কার্টাগেনার হয়ে ২০১৫, এ্যাটলেটিকো হুইলার হয়ে ২০০৯-২০১২ এবং কোস্টারিকার ক্লাব সান্তাক্রুসেনার হয়ে ২০০৮ সালে খেলেন তিনি। পানামা ফুটবল দলের অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এ্যামিলকার। ২০০৪ সাল থেকে তিনি জাতীয় দলের জার্সিতে মিডফিল্ডার হিসেবে খেলছেন। সবমিলিয়ে ৭৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ঘটনার দিন শনিবার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন এ্যামিলকার। ওই সময় একটি গাড়ি থেকে নেমে বেশ কয়েকবার গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্ত। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এ্যামিলকার ছাড়াও আরও দু’জনকে ক্লিনিকে নেয়া হয়। এ্যামিলকারকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আর বাকি দু’জন এখনও চিকিৎসাধীন। পানামার প্রেসিডেন্ট জুয়ান কার্লোস ভ্যারেলা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তার টুইটার এ্যাকাউন্টে এবং কোলনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন হত্যাকারীকে দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তি প্রদানের।
ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট অনেক ব্যক্তিবর্গই এ্যামিলকারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। সম্প্রতিই জাতীয় দলের হয়ে ২০১৮ ফুটবল বিশ্বকাপ বাছাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে খেলেছেন এ্যামিলকার। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে পানামা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় এ্যামিলকার হেনরিকুয়েজের এ মৃত্যুতে আমরা নিজেদের গভীর শোক প্রকাশ করছি। ঈশ্বর তোমার আত্মা গ্রহণ করুন!’ প্রেসিডেন্ট ভ্যারেলা তার টুইটারে লিখেন, ‘আমরা এ্যামিলকারের এ হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। কোলনকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা দেব যে কোন নিরাপত্তা বাহিনী প্রদান করে। দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা হোক।’ পানামায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে এ্যামিলকারই প্রথম ফুটবলার নয়। ২০১১ সালে প্লাজা এ্যামাডোর গোলরক্ষক এরিক লুনা যখন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন তখন গুলিবিদ্ধ হন এবং মারা যান। একই বছর আবদুর চাইরি অনুশীলনে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। মাত্র কয়েক মিনিট আগে খেলা শেষ করে চোরিল্লো ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় জেভিয়ার ডি লা রোসা স্টেডিয়ামের বাইরে এসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কিত অপরাধেও জড়ানোর অভিযোগ আছে পানামার খেলোয়াড়ড়ের। সাবেক জাতীয় ফুটবলারদের মধ্যে গোলরক্ষক অস্কার ম্যাকফারলেন ও ফরোয়ার্ড জোসে লুইস গার্সেস অস্ত্রসহ আটক হন এবং ডাকাতির অপরাধে কারাদ- হয় দু’জনের।
শীর্ষ সংবাদ: