ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

আদালতের সই ও সিল জাল করে তৈরি হচ্ছে ভুয়া জামিননামা

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১৭ এপ্রিল ২০১৭

আদালতের সই ও সিল জাল করে তৈরি হচ্ছে ভুয়া জামিননামা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুপ্রীমকোর্টসহ বিভিন্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্বাক্ষর ও সিল জালিয়াতি করে ভুয়া জামিননামা তৈরি করা হয়। এরপর কারাগারে পাঠিয়ে বিভিন্ন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শনিবার রাতে রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকা থেকে এ রকমই একটি জালিয়াত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, এ্যাডভোকেট মোঃ আঃ সামাদ ও তার মুহুরি মোঃ বনি আমিন। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন আদালতের বিচারক ও ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেলদের সিলসহ মোট ৮১ সিল এবং জালিয়াতির মাধ্যমে জামিনে মুক্ত করে আনা ১৩টি মামলার কাগজপত্র জব্দ করা হয়ে। রবিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন এ কথা জানান। আব্দুল বাতেন জানান, এরা বিভিন্ন মামলার এজাহার, জব্দ তালিকা ও অভিযোগপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে পরিবর্তনের পর তা আদালতে উপস্থাপন করে আসামির জামিনের ব্যবস্থাও করছে। এভাবেই এই চক্রটি রাজধানীতে এ অনৈতিক কাজের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার জানান, গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জানায়, বিশেষ করে মাদক মামলার আসামিদের জামিনের ব্যবস্থা করছে তারা। তিনি জানান, গত বছরের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানায় ফজলুল করিম নামের একজনকে আসামি করে ৫ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে জালিয়াত চক্রটি ওই আসামির জামিনের জন্য সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জব্দ তালিকায় ১৮০ ইয়াবা দেখিয়ে দাখিল করে। ওই আসামি পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান। গত বছরের আগস্টে রাজধানীর মুগদা থানায় মোঃ হাসান নামে একজনকে ৬ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামির কাছে ১৮০ ইয়াবা জব্দ দেখিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত করে চক্রটি। আব্দুল বাতেন বলেন, কারও সঙ্গে শত্রুতার জেরে কারও বিরুদ্ধে ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করে থানায় পাঠানোর ঘটনাও ঘটিয়েছে চক্রটি। তারা আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে আদালত অবমাননার মতো গর্হিত কাজও করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল বাতেন জানান, গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে তারা আর কত মামলার জামিন করিয়েছেন বা এ চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
×