ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চগড় সীমান্তে দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলা

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৬ এপ্রিল ২০১৭

পঞ্চগড় সীমান্তে দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলা

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে পঞ্চগড়ের অমরখানা সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলাভাষী বাঙালীরা ব্যতিক্রমী এক মিলনমেলায় মেতে ওঠেন। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁকে উভয় দেশে বসবাসকারী বাংলাভাষীরা দীর্ঘ এক বছর পর পরস্পরের স্বজনদের কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হন। বিজিবি ও বিএসএফের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরপরই আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন হয় বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক মানুষের। ভৌগোলিক সীমারেখা অতিক্রম করতে পাসপোর্ট ও ভিসার অভাবে যারা যাতায়াত করতে পারেন না তাদের লক্ষ্য থাকে এ দিনটিকে ঘিরে। প্রতি বছর নববর্ষের দিন পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্তে সেই মানুষদের সাক্ষাতের সুযোগ হয়। দুই দেশের বাংলাভাষী আবালবৃদ্ধবনিতা স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা সীমান্তের ৭৪৪নং মেইন পিলার এলাকার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অপেক্ষায় থাকেন। বিজিবি ও বিএসএফের সবুজ সঙ্কেতে বেলা ১১টায় এ অপেক্ষার অবসান ঘটে। সবাই ছুটে যান কাঁটাতারের বেড়ার কাছে। এপাশ থেকে ওপাশে বছর ধরে দেখা না হওয়া স্বজনদের সঙ্গে নানা আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন। একে অপরের সঙ্গে করেন কুশলবিনিময়। অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। কেউ কেউ কাঁটাতারের ওপর দিয়ে ছুড়ে দেন ছোটখাটো নানা উপহারসামগ্রী। প্রায় ২০ হাজার মানুষের সমাগমে সেখানে অন্যরকম এক পরিবেশ তৈরি হয়। ইবিতে লাঠিখেলা ইবি সংবাদদাতা ॥ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা ‘লাঠিখেলা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার দ্বিতীয় দিন শনিবার বেলা এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মুঈদের পরিচালনায় লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লাঠিয়াল বাহিনী তাদের খেলা প্রদর্শন করে। খেলার মাঠে উপস্থিত থেকে পুরো খেলা উপভোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। ভোলায় ঘুড়ি উৎসব নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ১৫ এপ্রিল ॥ বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে ভোলায় শুরু হয়েছে ২ দিনব্যাপী গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব। শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার ধনিয়া তুলাতুলি মেঘনা নদীর তীরে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ভোলা কম্পিউটারের আয়োজনে নবান্ন গ্রুপের সহযোগিতায় এই ঘুড়ি শুরু হয়। উৎসবের উদ্বোধন করেন ভোলার শিল্পপতি নবান্ন গ্রুপের চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ধশতাধিক খেলোয়াড় ঘুড়ি উৎসবে অংশ নেয়।
×