ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ॥ বড় স্বপ্নের উদ্যোগ ‘বিজ্ঞান ক্লাব’

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১৬ এপ্রিল ২০১৭

রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ॥ বড় স্বপ্নের উদ্যোগ ‘বিজ্ঞান ক্লাব’

আমাদের দেশে অবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান নিয়ে চিন্তার সুযোগ খুব কম। বলতে গেলে শূন্য। তবে অবিজ্ঞানের যে কোন বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের চর্চা ও চিন্তার বিকাশে সুযোগ করে দিয়েছে একটি বিজ্ঞান ক্লাব। ক্লাবটি রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গবেষক ও বিজ্ঞান বিভাগের বেশ কিছু উদ্যমী তরুণের সহায়তায় নিয়মিত বিজ্ঞান আড্ডা, বিজ্ঞানবিষয়ক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, স্কাই অবজারভেশন ক্যাম্প ও ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন উদ্ভাবন নিয়ে প্রতিবছর প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে। এই বিজ্ঞানের অনুষ্ঠানগুলোতে দেশী-বিদেশী বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থাকেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য সহায়তা প্রদান করে সংগঠনটি। ক্লাবের উদ্যোগে বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিভিন্ন দিবস পালন করে। বিজ্ঞানের চিন্তা সকলের মধ্যে বিকশিত হোক এই চিন্তায় ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি বিজ্ঞান ক্লাবের পথচলা শুরু। ছোট পরিসরে একটি বিজ্ঞান ক্লাবের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জহুরুল মুন। সম্প্রতি বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েট (বিএবিজি)’র পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন বিজ্ঞানবিষয়ক সংগঠন, সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। মাস্টার্স শেষ করে এখন উপকারী জীবাণু ও ড্রাগ ডিজাইন নিয়ে গবেষণা করছেন। বিজ্ঞান ক্লাবের উদ্যোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে জহুরুল মুন বলেন, বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হওয়ার পরও বিজ্ঞান নিয়ে আমাদের অনেকের ভাববার সময় নেই। আমাদের বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ভাবনার জগতে গবেষণা বা নতুন নতুন উদ্ভাবনের পরিবর্তে খালি পড়াশোনা করা, বিসিএস দেয়া এবং ব্যাংকে চাকরি করার বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি আমরা। এই চিন্তা থেকেই বিজ্ঞান ক্লাব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলাম। এখন বিশ^বিদ্যালয়ে একটি বিজ্ঞানবিষয়ক সংগঠন থাকায় স্কুল-কলেজের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা অনেক সময় বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার নিয়ে আসে। যখন দেখায় তখন ভাল লাগে। নিজেকে কিছুটা হলেও সফল বলে মনে হয়। হয়ত সম্পূর্ণটা পারিনি বা পারব না তবে কিছুটা হলেও বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করতে পেরেছি বলে মনে করতে পারি। তবে বিজ্ঞান ক্লাব প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকটা মোটেও ভাল ছিল না। ক্লাব প্রতিষ্ঠার সম্পর্কে মুন বলেন, ‘বিজ্ঞান ক্লাবে বিজ্ঞানের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিলে বিজ্ঞান চর্চা করব, নিজেদের বিজ্ঞান চিন্তা একে অপরের সঙ্গে আদান-প্রদান করব এই প্রত্যাশা নিয়ে যখন কারও কাছে গিয়েছি তখন তারা বলত কি লাভ! বিশ^বিদ্যালয়ে লাইব্রেরি আছে গবেষণার ব্যবস্থা আছে সেখানেই পড়ালেখা করবে গবেষণা করবে। এই বিষয়টিকে কখনও উৎসাহ দিত না সবাই নিরুৎসাহিত করত।’ মুনের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, বিজ্ঞানকে মানুষের কল্যাণে লাগানোর চিন্তা করেন তিনি। একজন বিজ্ঞান উদ্যোক্তা ও আন্তর্জাতিক মানের গবেষক হতে চান তিনি। সালমান শাকিল
×