ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার সোনালি দিন

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ১৬ এপ্রিল ২০১৭

একুশ শতক ॥ প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার সোনালি দিন

॥ তৃতীয় পর্ব ॥ এখনকার দুনিয়ায় বিজয়ের ঐতিহ্যগত আসকি এনকোডিং এবং ইউনিকোড এনকোডিং উভয়টিই প্রচলিত আছে। বাংলাদেশ সরকার ইউনিকোডকে ভিত্তি করে বিডিএস ১৫২০:২০১১ নামক একটি মানকে প্রমিত করেছে। কিন্তু এই মান সরকারের কোন অফিস ব্যবহার করে না। এখন অবধি যেসব বাংলা উপাত্ত ডিজিটালাইজ করা হয়েছে তার কোনটাই এই মান অনুসরণ করে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটি করারও কোন উদ্যোগ নেই। গত ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভায় প্রসঙ্গটি আলোচনা হলেও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রস্তাবনার নামে সেটি ঝুলে গেছে। কবে যে এই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবে সেটি কেউ বলতে পারে না। তবে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ অনুষ্ঠিত বাংলা ভাষা প্রমিতকরণ কমিটির সভায় সকলকে এই মানটি অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। আগেই বলেছি সেটি কেউ মানেনি এবং তথ্যপ্রযুক্তি অধিদফতর বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কিংবা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সেদিকে কোন মনোযোগ দেয়নি। অন্যদিকে বিজয়ের নতুন সংস্করণ এই মানটিকেও সমর্থন করে। এরই মাঝে বিজয় উইন্ডোজ, ম্যাক, লিনাক্স, এন্ড্রয়েড ও আইওএস সংস্করণ প্রকাশ করেছে। গুগল, এ্যাপল, মাইক্রোসফট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানও ইউনিকোডে বাংলা লেখার ইনপুট মেথড ও ফন্ট প্রকাশ করেছে। বলে রাখা ভাল, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা প্রয়োগে ভারতের প্রচেষ্টাগুলো আমরা উপস্থাপন করতে পারিনি। ভারতে বিজয় ও অভ্রসহ বাংলাদেশী সফটওয়্যার ব্যবহৃত হলেও সেখানে নিজস্ব কীবোর্ড ও ফন্ট জন্ম নিয়েছে, যার সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের কোন সম্পর্ক নেই। একুশ শতকের প্রথম প্রান্তে যদিও আমরা তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা ও বর্ণমালা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্বের বহু ভাষার সমকক্ষতা অর্জন করেছি তথাপি বাংলার জন্য আমাদের করণীয় রয়েছে অনেক। বিশেষ করে রোমান হরফ ও তার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভাষাগুলো যেসব সক্ষমতা অর্জন করেছে সেগুলো বাংলা ভাষা ও বাংলা হরফ এখনও অর্জন করতে পারেনি। বাংলা বানান ও ব্যাকরণ শুদ্ধ করা, কথাকে লিখিত রূপদান ও লিখিত বিষয়কে কথায় রূপান্তর, ইন্টারনেটের স্ক্রিন রিড করা, প্রমিত বাংলা কীবোর্ড তৈরি করা, বাংলার করপাস তৈরি করা, অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডার তৈরি করাসহ অনেক তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা বাংলা ভাষা ও বর্ণমালায় যুক্ত করতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বাধীনতার এতদিন পরেও তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা লেখার কাজটি ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রেই আমরা তেমন সফলতা অর্জন করতে পারিনি। এমনকি আমরা সম্ভবত তেমন আন্তরিকভাবে চেষ্টাও করিনি। যেসব ছোটখাটো চেষ্টা করা হয়েছে সেগুলোও অপ্রতুল, সমন্বয়হীন ও যথাযথ ছিল না। আমাদের জানা যেসব প্রচেষ্টা তেমন ফলদায়ক হয়নি তার মাঝে রয়েছে প্রমিত কীবোর্ড ও ফন্ট উন্নয়নের প্রচেষ্টা, বাংলা ওসিআর উন্নয়ন প্রচেষ্টা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাংলা ভাষা বিষয়ক গবেষণা কর্মকা-। এসব প্রচেষ্টার প্রকৃত সফলতা পাইনি বলেই প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় বড় কিছুর আয়োজন করার। সোনালি সময়ের সামনে দাঁড়িয়ে : আমাদের সৌভাগ্য যে, ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি জননেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় ১৫৯ কোটি ২ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তরকাল তো বটেই, বাংলা ভাষা ও বর্ণমালার ইতিহাসে কোন সরকার এত বড় প্রকল্প গ্রহণ করেনি। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগকে। একনেক সভায় উপস্থিত মান্যবরদের সৌজন্যে জানা গেছে যে, এই প্রকল্প অনুমোদনে প্রধানমন্ত্রী যতটা আনন্দিত হয়েছেন আর কোন প্রকল্প অনুমোদনে ততটা হতে দেখা যায়নি। এটি প্রমাণ করে যে, প্রধানমন্ত্রী নিজে বাংলা ভাষার বিকাশে কতটা আন্তরিক। আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর হাতেই আমাদের আরও একটি অর্জন। তিনি নিজের হাতে ডটবাংলা ডমেইনের আবেদন করে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সেটির উদ্বোধন করেন। তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার বিকাশে এটি একটি বিরাট অর্জন ও বিরাট মাইলফলক। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদিত ১৫৯.০২ কোটি টাকার প্রকল্পটি বাংলা ভাষা ও বর্ণমালাকে নিয়ে যাবে এক উচ্চতর আসনে। আমরা ডিজিটাল যুগে বাংলা ভাষা ব্যবহারের যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি তার প্রায় সবগুলোরই সমাধান রয়েছে এই প্রকল্পে। যদি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও স্বপ্নকে আমরা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি তবে বাংলা ভাষা বিশ্বের একটি শ্রেষ্ঠতম ভাষায় পরিণত হবে। বাংলা বর্ণমালাও হবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম বর্ণমালা। তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উন্নয়ন নামক যে প্রকল্পটি সরকার অনুমোদন দিল তারও একটি লম্বা ইতিহাস রয়েছে। আমরা বছরের পর বছর ধরে বাংলা ভাষার উন্নয়নে কাজ করার জন্য সরকারের পিছু ধরনা দিয়ে আসছিলাম। আমার মনে আছে ২০১০ সালের ৩০ আগস্ট কম্পিউটারে বাংলা ভাষা প্রমিতকরণ কমিটির ৫ম সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এরকম ‘তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার ও প্রয়োগ সংক্রান্ত ৫টি গবেষণা কর্মসূচী বিসিসি গ্রহণ করবে। ওই কর্মসূচীসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানের নিমিত্ত বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হবে।’ ২০১০ সালে সেই সিদ্ধান্ত বছরের পর বছর পরিশ্রমের ফলে বাস্তবে রূপ নেয়। কম্পিউটার কাউন্সিলের সদ্যবিদায়ী নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বর্তমান পরিচালক এনামুল কবির, হাসনাত শাহরিয়ার প্রান্ত, প্রফেসর মনসুর মুসা, মুনির হাসান এবং আমি নিজে প্রচ- পরিশ্রম করে এমন একটি প্রকল্প গ্রহণ করাতে সক্ষম হই। এর সম্ভাব্যতা যাচাই করাটা কঠিনতম একটি কাজ ছিল। আমাদের জন্য এটি অত্যন্ত আনন্দের শেষ পর্যায়ে আমরা এতে সফল হই। কাকতালীয়ভাবে আমি আমার নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে কিছু স্মৃতি পেলাম। তাতে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করার প্রেক্ষিত বিষয়ক তথ্য রয়েছে। তথ্যগুলো এরকম : ‘কম্পিউটারে বাংলা ভাষার ব্যবহার সমৃদ্ধকরণের জন্য প্রকল্প গৃহীত বিজয়ের স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্ত সরকার কম্পিউটারে বাংলা ভাষার ব্যবহার সমৃদ্ধকরণ করার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ গৃহীত এই প্রকল্পের আওতায় ১) ইউনিকোড ও বাংলা বর্ণমালার কোড সেট : বিবেচনায় রেখে বাংলা সর্টিং অর্ডার নির্ধারণ, ২) বাংলা করপাস উন্নয়ন/সমৃদ্ধকরণ, ৩) বাংলা বানান ও ব্যাকরণ পরীক্ষক উন্নয়ন, ৪) বাংলা ভাষার টেক্সট টু স্পিচ ও স্পিচ টু টেক্সট সফটওয়্যার উন্নয়ন, ৫) বাংলা ফন্ট কনভার্টার উন্নয়ন, ৬) তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলার লিখিত রূপ নির্ধারণ, ৭) বাংলা মেশিন ট্রান্সলেশন, ৮) বাংলা স্ক্রিন রিডার সফটওয়্যার, ৯) প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য সফটওয়্যার, ১০) বাংলা ফন্ট এবং সফটওয়্যার অন্তর্ভুক্তিকরণ, ১১) বাংলা ওসিআর উন্নয়ন ইত্যাদিসহ মোট ১৬টি টুল উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্প গৃহীত হয়। ১১ এপ্রিল ১৬ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার প্রমিতকরণ সংক্রান্ত কমিটির এক সভায় বিষয়টি অবহিত করা হয়। সভায় কমিটির সদস্য প্রফেসর মনসুর মুসা, মোস্তাফা জব্বার, হাসনাত শাহরিয়ার প্রান্ত, এনামুল কবির এবং বিসিএস ও মাইক্রোসফটের প্রতিনিধিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সভায় এই কমিটির বিগত সভার মিনিটসও অনুমোদিত হয়। সেই মিনিটস অনুসারে বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও জাতীয় কীবোর্ডের বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়। বিজয়ের অবদানকে স্বীকৃতি প্রদানেরও সিদ্ধান্ত হয়। স্মরণ করা যেতে পারে যে, ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট বিজয় কীবোর্ডকে জাতীয় মান হিসেবে ঘোষণা করার জন্য ইটি-১৫ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। কিন্তু তৎকালীন সরকার মোস্তাফা জব্বার প্রণীত বিজয় কীবোর্ডকে জাতীয় মান হিসেবে মানতে পারেনি। ফলে সেইদিন ইটি-১৫-এর সভাই স্থগিত করা হয়। পরে সেই কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং নতুন করে নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে কীবোর্ডসহ বাংলা ভাষা প্রমিতকরণের সকল দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সেই সুবাদে কম্পিউটার কাউন্সিলের তৎকালীন কমিটির সুপারিশে বিজয় কীবোর্ডকে নকল করে তৈরি করা হয় জাতীয় কীবোর্ড। আইন ভঙ্গ করে তার কপিরাইট নিবন্ধনও হয়। তবে কপিরাইট অফিসে প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এই কমিটির সিদ্ধান্তেই স্থগিত হয় তথাকথিত জাতীয় কীবোর্ড। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৮ আগস্ট ১৫ অনুষ্ঠিত তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার প্রমিতকরণ সংক্রান্ত কমিটির সভায় বিষয়টি আলোচিত হয়। সেই সভার মিনিটস অনুসারে আলোচনার শিরোনাম ছিল জাতীয় কীবোর্ড আধুনিকায়ন। আলোচনায় বলা হয়, কপিরাইট অফিসে বিদ্যমান জাতীয় কীবোর্ড ও বিজয় কীবোর্ড সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তিকল্পে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিজয় কীবোর্ড প্রণেতা মোস্তাফা জব্বার বিদ্যমান জাতীয় কীবোর্ডটি বিজয় কীবোর্ডের অনুসরণে প্রণীত মর্মে মত ব্যক্ত করেন। দেশের অধিকাংশ বাংলা ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় বিজয় কীবোর্ডের স্থলে জাতীয় কীবোর্ডকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে এর পরিবর্তন ও পরিমার্জন যেমন (১) চার স্তরের স্থলে দুই স্তরের, (২) কী লেআউটে বিজয় কীবোর্ডের আদলে ও এর বোতামের অবস্থান অনুরূপকরণসহ অন্যান্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ প্রদান করেন। এ সকল পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় কীবোর্ডের আধুনিকায়নের ফলে তা বিজয় কীবোর্ডের অনুরূপ হলেও দেশের স্বার্থে কোন অভিযোগ বা আপত্তি উত্থাপন করা হবে না মর্মে তিনি কমিটিকে জানান। বাংলা ব্যবহারকারীদের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে এসব পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় কীবোর্ডের আধুনিকায়ন করার পাশাপাশি বিজয় কীবোর্ড প্রণেতার অবদানের যথোপযুক্ত স্বীকৃতির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন মর্মে সভায় উপস্থিত সদস্যরা মত প্রকাশ করেন। এই সভায়ও বিজয় কীবোর্ডকে স্বীকৃতি দেয়া ও বিষয়টির নিষ্পত্তি করার জন্য সদস্যরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।’ এই প্রকল্পে মোট ১৬টি টুল উন্নয়ন করার প্রস্তাবনা রয়েছে। প্রতিটি টুল বাংলাকে বিশ্বের যে কোন ভাষার সমকক্ষতা দেয়ার জন্য ডিজাইন করা। আমরা এই টুলগুলো ও তার প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে পরিচিত হতে পারি। প্রকল্পটির বিস্তারিত পরিচিতি সহসাই সরকারের গৃহীত প্রকল্পের ভূমিকায় এর উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে: ক. কম্পিউটিং-এ বাংলাকে বিশ্ব দরবারে নেতৃত্বদানকারী ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। খ) তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহারের বিভিন্ন বিষয় প্রমিত করা। গ) বাংলা কম্পিউটিংয়ের জন্য টুলস, প্রযুক্তি ও উপাত্ত উন্নয়ন করা। ঢাকা, ১৪ এপ্রিল, ১৭ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা ও কর্মসূচীর প্রণেতা ॥ ই-মেইল : [email protected], ওয়েবপেজ : www.bijoyekushe.net
×