ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এসডিজি অর্জন

বিনিয়োগ বাড়াতে মাঠে নেমেছেন সচিবরা

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ১৪ এপ্রিল ২০১৭

বিনিয়োগ বাড়াতে মাঠে নেমেছেন সচিবরা

তপন বিশ্বাস ॥ এসডিজি অর্জনে বিনিয়োগ বাড়াতে দেশে ক্ষেত্র তৈরিতে নেমেছেন সরকারের সচিবগণ। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। এর আগে তিনি সচিবদের উদ্দেশে বলেন, বর্তমানে দেশে বিদেশী বিনিয়োগ রয়েছে মাত্র আড়াই হাজার বিলিয়ন ডলার। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে এই বিনিয়োগ ৩২ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে। অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান আমরা প্রথম একশ’র নিচে আনতে চাই। এর পর তিনি প্রেজেন্টেশনটি উপস্থাপন করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, বিগত সচিব সভায়, এসডিজি অর্জনে সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোকে তিন ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গুরুত্বানুসারে কিছু মন্ত্রণালয়কে নেতৃত্বদানকারী মন্ত্রণালয় (লিড মিনিস্ট্রি), কয়েকটিকে সহ নেতৃত্ব (কো-লিড) দানকারী এবং সহযোগী (এ্যাসোসিয়েট) মন্ত্রণালয় হিসেবে ভাগ করা হচ্ছে। এ বিষয়েও আলোচনা হয়। আগামী বৈঠকে এর পূর্ণাঙ্গ তালিকা উপস্থাপনের কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ব আর্থিক খাতের মোড়ল বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ‘ডুয়িং বিজনেস ২০১৭’ প্রতিবেদনে ব্যবসা করার পরিবেশের দিক দিয়ে বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৬ নম্বরে। গতবছর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৮ নম্বরে। সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান বলছেন, আমাদের এমন অনেক আইন আছে যেগুলোর অতি ব্যবহার হয়েছে, অপ্রয়োজনীয় বিধিবিধান রয়েছে। মাঝে মাঝে অমানবিক ও অর্থহীন প্রক্রিয়া দেখা যায় যা সময়ের সঙ্গে খাপ খায় না এবং এমন পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো জটিল। এসব জটিল প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির সবকিছু উঠে আসাতেই বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবসায় পরিবেশের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১৭৬তম হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এম আমিনুল। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সচিবদের উদ্দেশে বলেন, এসডিজি অর্জনে আমলাদের ভূমিকা অনেক বেশি। আমরা সকলে আন্তরিক হলে এ কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। সকলে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করবেন। দুর্নীতি পরিহার করবেন। দেশের প্রতি আমাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। সরকার চায় দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে। সে কাজ বাস্তবায়ন করা আমাদের বড় কাজ। তাই সকলকে তিনি স্বচ্ছতার সঙ্গে যার যার মন্ত্রণালয় পরিচালনা করতে নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেন, সকল মন্ত্রণালয়ের সিটিজেন চার্টার্ড রয়েছে। এটা পুরোপুরি অনুসরণ করবেন। পাশাপাশি উদ্ভাবনী কাজেও মনোযোগ দিবেন। নতুন নতুন পরিকল্পনা তৈরি করবেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সকল মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
×