ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১৪ এপ্রিল ২০১৭

করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ১৩ এপ্রিল ॥ করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে পরিষদের দু’জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১১ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনাস্থা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় সর্বসম্মতভাবে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হয় বলে জানা গেছে। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জানান, ‘আমরা দু’জন ভাইস চেয়ারম্যান থাকা সত্ত্বেও আমাদের সঙ্গে কোন পরামর্শ ছাড়াই একতরফাভাবে চেয়ারম্যান একাই পরিষদের বিভিন্ন কাজের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি সবার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এর ফলে সবাই অতিষ্ঠ। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলোয়ারা বেগম বলেন, উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভাগুলোতে চেয়ারম্যান সঠিক সময়ে উপস্থিত হন না। তাছাড়া সরকারের সব উন্নয়ন প্রকল্পসহ প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অসহযোগিতা ও বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কারণে তার প্রতি অনাস্থা দেয়া হয়েছে।’ দেহুন্দা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সঞ্জু বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যনের নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় সবাই অতিষ্ঠ। কিরাটন ইউপি চেয়ারম্যান ইবাদুর রহমান শামীম বলেন, পরিষদে বসে তিনি বিএনপির কর্মকা- বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকেন। নিয়ামতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাখদুম কবির তন্ময় বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে আমরা কোন সহযোগিতা তো পায়ইনি, বরং পেয়েছি হুমকি ধমকি এমনকি প্রাণনাশের হুমকি। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জহিরুল ইসলাম অনাস্থা প্রস্তাবের রেজুলেশনের কপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের জন্য পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় ইচ্ছা করলে বিষয়টি তদন্ত করতে পারে অথবা সিদ্ধান্ত দিতে পারে। বরিশালে শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের বাঁধা স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের বৈশাখী ভাতাসহ তিনদফা দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় নগরীতে বের হওয়া কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাঁধা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ফ্রন্টের বিভাগীয় আহ্বায়কসহ কমপক্ষে ১০ শিক্ষক আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষকরা জানান, পুলিশের হামলার পরেও ব্যারিকেড ভেঙ্গে নগরীতে বৈশাখী ভাতার দাবিতে কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে পুলিশের বাঁধা ও হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের হামলায় জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের বরিশাল বিভাগীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুলসহ ১০ শিক্ষক আহত হয়। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সকল বেসরকারী স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসার শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা, বার্ষিক পাঁচ ভাগ প্রবৃদ্ধি এবং জাতীয়করণের দাবিতে সকাল ১০টায় অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট বরিশাল বিভাগীয় কমিটি। বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খোকন, অধ্যাপক আমিনুর রহমান খসরু, শিক্ষক রেজাউল করিম, গৌরাঙ্গ চন্দ্র কুন্ডু প্রমুখ।
×