ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা লীগে হার দিয়ে শুরু মোহামেডানের

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ১৪ এপ্রিল ২০১৭

ঢাকা লীগে হার দিয়ে শুরু মোহামেডানের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল গত মৌসুমে আবাহনীর হয়ে খেলেছেন। লীগ শেষে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন। এবার খেলছেন মোহামেডানের হয়ে। সেই শাস্তি মোহামেডানের হয়ে কার্যকর হলো। বৃহস্পতিবার যে মোহামেডান প্রথম ম্যাচ খেলল, তাতে খেলতে পারেননি তামিম। মোহামেডানও এবার ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে গেল। সেই হারটি হলো নাসির হোসেনের সেঞ্চুরিতেই। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ৭ উইকেটে হারল মোহামেডান। দিনটিতে পেসার রুবেল হোসেন দেখালেন তার গতির ঝলক। কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে একাই ৬ উইকেট নিয়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে জেতালেন রুবেল। একইদিন নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ২ উইকেটে জিতেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এইদিনে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে চার মৌসুম পর আবার লীগে খেলতে নামেন মোহাম্মদ আশরাফুল। কিন্তু ব্যর্থ হন। বিকেএসপি-৩ নম্বর মাঠে মোহামেডান আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২২০ রান করে। রহমত শাহ ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন। এরসঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ ৫২ রান করেন। ৭৮ রানেই মোহামেডানের চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর রহমত ও মিরাজের ১১৮ রানের জুটি না হলে এমন স্কোর গড়তে পারত না মোহামেডান। এরপর জবাব দিতে নেমে জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি গাজী গ্রুপকে। ৭৯ রানে ৩ উইকেটের পতন ঘটলেও এরপর চতুর্থ উইকেটে নাসির ও ভারতের পারভেজ রসুল মিলে ১৪৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১০৬ বলে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ১০৬ রান করেন নাসির। রসুল করেন অপরাজিত ৫৩ রান। ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৭ ওভারে ২২৩ রান করে জিতে যায় গাজী গ্রুপ। বিকেএসপি-৪ নম্বর মাঠে রুবেল ঝলক দেখান। সব আলো নিজের দিকে নিয়ে নেন। শুরুতে ম্যাচটিতে আলো ছিল আশরাফুলের ওপর। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার জন্য নিষিদ্ধ হন তিনি। চার মৌসুম ঢাকা লীগে খেলতে পারেননি। এবার যখন খেলতে নেমেছেন, তখন কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের নেতৃত্বও তার কাঁধেই দেয়া হয়েছে। কিন্তু শুরুতেই ব্যর্থ হন আশরাফুল। আগে ব্যাট করে তার দল। তিনিও মাত্র ৬ রান করেন। আউট হন রুবেলের বলে। সেই রুবেল এরপর সব আলো নিজের দিকে নিয়ে নেন। একাই ৬ উইকেট নেন। কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে ১৮৪ রানেই অলআউট করে দেন। ৪৬.২ ওভার খেলতে পারে কলাবাগান। এ রান তুলতে কি আর বেগ পেতে হত প্রাইম ব্যাংককে? তবুও ৪৬.৫ ওভার খেলতে হয়েছে। আবার ৫ উইকেট হারাতেও হয়েছে। ভারতের উন্মুক্ত চাদ (৬১*) যদি ব্যাট হাতে হাল না ধরতেন, তাহলে বিপত্তিও ঘাড়ে চাপতে পারত। শেষ পর্যন্ত ১৮৬ রান করে জিতে প্রাইম ব্যাংক। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ও ভিক্টোরিয়া মুখোমুখি হয়। ম্যাচটিতে শেখ জামাল জিততে পারে, তা আগেই ধারণা জন্মায়। এরপর কঠিন পথ পাড়ি দিয়েই যেন জিততে হলো দলটিকে। আগে ব্যাট করে ভিক্টোরিয়া ৪৮.২ ওভারে ২০৯ রান করতেই অলআউট হয়ে যায়। উত্তম সরকার ৮৮ রান করেন। স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক (৪/২৯) ও সোহাগ গাজীর (৩/২৯) স্পিন ঘূর্ণিতেই কাত হয়ে যায় ভিক্টোরিয়া। জবাব দিতে নেমে চার বল বাকি থাকতে জয় তুলে নিতে হয় শেখ জামালকে। নুরুল হাসান সোহান যদি ৮০ রানের ইনিংসটি না খেলতে পারতেন, তাহলে হারও হতে পারত শেখ জামালের। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৯.২ ওভারে গিয়ে ২১০ রান করে জিতে শেখ জামাল। স্কোর ॥ গাজী গ্রুপ-মোহামেডান ম্যাচÑ বিকেএসপি-৩ মোহামেডান ইনিংস ২২০/৮; ৫০ ওভার (রহমত ৭৮, মিরাজ ৫২, শামসুর ৩৫)। গাজী গ্রুপ ইনিংস ২২৩/৩; ৩৭ ওভার (নাসির ১০৬*, রসুল ৫৩*, বিজয় ৫৪)। ফল ॥ গাজী গ্রুপ ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাসির হোসেন (গাজী গ্রুপ)। প্রাইম ব্যাংক-কলাবাগান ম্যাচÑ বিকেএসপি-৪ কলাবাগান ইনিংস ১৮৪/১০; ৪৬.২ ওভার (তুষার ৪৭, মাসাকাদজা ৩৮; রুবেল ৬/২১)। প্রাইম ব্যাংক ইনিংস ১৮৬/৫; ৪৬.৫ ওভার (উন্মুক্ত ৬১*, আল আমিন ৩৫; সঞ্জিত ৩/২৫)। ফল ॥ প্রাইম ব্যাংক ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ রুবেল হোসেন (প্রাইম ব্যাংক)। শেখ জামাল-ভিক্টোরিয়া ম্যাচÑ ফতুল্লা ভিক্টোরিয়া ইনিংস ২০৯/১০; ৪৮.২ ওভার (উত্তম ৮৮, ফারুক ৪৪; রাজ্জাক ৪/২৯, সোহাগ ৩/২৯)। শেখ জামাল ইনিংস ২১০/৮; ৪৯.২ ওভার (সোহান ৮০, রাজিন ৩২, তানভির ৩১; মনির ৩/৩৬)। ফল ॥ শেখ জামাল ২ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নুরুল হাসান সোহান (শেখ জামাল)।
×