ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঋণাত্মক মূলধনী হিসাবের সুদ মওকুফ করেছে জনতা ক্যাপিটাল

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১৩ এপ্রিল ২০১৭

ঋণাত্মক মূলধনী হিসাবের সুদ মওকুফ করেছে জনতা ক্যাপিটাল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জনতা ক্যাপিটাল এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড তার গ্রাহকদের ঋণাত্মক মূলধনী হিসাবের সুদ মওকুফ করেছে। সুদ হিসাবকে দুটি ভাগে ভাগ করে একটির শতভাগ এবং অপরটির ৪৫ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির ৫৬তম পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জনতা ক্যাপিটাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, কোম্পানিটি ২০১৪ সালের পর থেকে নেগেটিভ ইক্যুইটির হিসাবে মার্জিন ঋণের জন্য কোন ধরনের সুদ আরোপ করেনি। এই সুদ আর গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে না। চলতি বছরের ৩০ মার্চ পর্যন্ত সময়ের সুদ শতভাগ মওকুফ করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত যে সুদ আরোপ করা হয়েছিল সেটির ৪৫ শতাংশ মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এ সুযোগটি গ্রহণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে কোম্পানিতে আবেদন করতে হবে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে করতে হবে এই আবেদন। আবেদন করার সময় মূলঋণের ৫ শতাংশ জমা দিতে হবে। ২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত আরোপিত সুদ একটি ব্লক হিসাবে রাখা হবে। এটি পরিশোধ করার জন্য গ্রাহক এক বছর সময় পাবেন। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীনা আহসান বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অবদান রাখতে বদ্ধপরিকর জনতা ক্যাপিটাল। পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জনতা ক্যাপিটাল সব সময় বিনিয়োগকারীদের সুযোগ দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে চায়। এ সিদ্ধান্তে সেটি আবারও প্রতিফলিত হলো। উল্লেখ, মার্জিন ঋণ হচ্ছে শেয়ার কেনার জন্য গ্রাহককে দেয়া মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারহাউসের ঋণ। ২০১০ সালে সূচিত ধসে শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে কমে গেলে অনেক গ্রাহকের মূলধনের পরিমাণ তার নেয়া ঋণের চেয়ে নিচে নেমে যায়। এ ধরনের হিসাবকে ঋণাত্মক মূলধনের হিসাব বলা হয়। অনেক বিনিয়োগকারী দীর্ঘদিন ধরে ঋণের সুদ পরিশোধ করছে না। এমনকি আসল ঋণও অপরিশোধিত আছে।
×