ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনা

লক্ষ্মীপুরের দুই ভাই ও মামা নিহত

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ১৩ এপ্রিল ২০১৭

লক্ষ্মীপুরের দুই ভাই ও মামা নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ১২ এপ্রিল ॥ ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের দু’সহোদর ভাই ও মামাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ওমানের মিজুয়া থেকে প্রাইভেটকারযোগে মাসকাটের সালালাহ যাওয়ার পথে প্রাইভেটকার ও অপর একটি ট্রলির মুখোমুখি সংর্ঘষে এ তিনজন নিহত হন বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, দু’সহোদর মাসুদ আলম, জুয়েল রানা ও মামা জসিম উদ্দিন। নিহতের ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারে চলছে এখন শোকের মাতম। দায়দেনা করে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে গিয়ে উল্টো এখন বোঝা হয়ে গেল পরিবারটির। তবুও সরকারী সহযোগিতাসহ লাশ ফেরত চান পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে, পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে গত চার বছর আগে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামের হতদরিদ্র সাহাব উদ্দীন খলিফা দায়দেনা করে বড় ছেলে মাসুদ আলমকে চাকরি করার জন্য ওমানে পাঠান। এর মাঝে একবার দেশে এসে মাসুদ আলম কয়েক মাস পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে পুনরায় বিদেশে চলে যায়। গত বছরের আগস্ট মাসে ছোট ভাই জুয়েল রানাকেও নিজের কাছে নিয়ে যান মাসুদ। এর দু’মাস পর মামা জসিম উদ্দিনকেও ওমানে নিয়ে তিনজনে মিলে প্রাইভেটকারের চালক হিসেবে চাকরি করতেন। তাদের ইচ্ছা ও স্বপ্ন ছিল, চাকরি করে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে। সুখে শান্তিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটানো আর মা-বাবা ভাই বোনসহ সবার মুখে হাসি ফোটাবে লেখা পড়া করে মানুষ হবে শিশু সন্তান। কিন্তু বিধি বাম, তা আর হলো না। সড়ক দুর্ঘটনায় তরতাজা তিনটি প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়ায় তাদের সে স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল। মঙ্গলবার রাতে ওমানের মিজুয়া থেকে প্রাইভেটকারযোগে মাসকাটের সালালাহ যাওয়ার পথে প্রাইভেটকার ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই সহোদর ভাই ও মামাসহ একই পরিবারের তিনজন মারা যান। আর এ খবর শুনে পরিবারের লোকজন এখন পাগলপ্রায়, নিহতদের লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের গ্রামের বাড়িতে বর্তমানে চলছে শোকের মাতম। দুই সহোদর ভাই জুয়েল ও মাসুদের বৃদ্ধ বাবা শাহাবউদ্দিন ও মা শাহেদা বেগমসহ পরিবারের লোকজনের চলছে আহাজারী। একই অবস্থা জসিমের পরিবারে। তার বাবা আলী হায়দার দায়দেনা নিয়ে বর্তমানে পুত্রশোকে দিশেহারা। তাদের সঙ্গে শোকে শামিল হয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসীও। কে ধরবে পরিবারগুলোর হাল, এ কথা বলে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন স্বজনরা। নিহতদের মধ্যে জসিম দুই বছর আগে বিয়ে করেন। তার বাড়ি একই উপজেলার চরমার্টিন গ্রামের আলী হায়দরের ছেলে। তার একটি সন্তান রয়েছে। দ্রুত লাশগুলো ফিরিয়ে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং সরকারী সহযোগিতার দাবি জানান নিহতদের স্বজনরা। খুলনায় পাটকল শ্রমিক খুলনা অফিস জানায়, খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন বি আই ডি সি রোডে বুধবার ভোরে একটি পরিবহনের বাসের চাপায় ক্রিসেন্ট জুট মিলের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তার নাম মামুন (৩৫)। তিনি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার গানকি গ্রামের মৃত সেলিম হাওলাদেরের ছেলে এবং ক্রিসেন্ট জুট মিলের শ্রমিক কলোনিতে বসবাস করতেন। আনোয়ারায় পুলিশ সদস্য স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানান, চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ট্রাক চাপায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। নিহত জহির রায়হান (৫০) চট্টগ্রাম জেলা ট্রাফিক পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। বুধবার সকালে উপজেলার চাতুরি চৌমুহনী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সকাল দশটার দিকে কনস্টেবল জহির চৌমুহনী বাজারে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি একটি বাসের পাশে দাঁড়ানো ছিলেন। এর পাশ ঘেঁষে একটি ট্রাক যাওয়ার সময় তিনি দুটি গাড়ির মাঝে চাপা পড়েন। ঈশ্বরদীতে ট্রাকচালক স্টাফ রিপোর্টার ঈশ্বরদী থেকে জানান, বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের জয়নগর বোর্ড অফিস মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক সানাউর রহমান নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাকশী থেকে বালু বোঝাই একটি মিনি ট্রাক দাশুড়িয়ার উদ্দেশে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দেশবন্ধু সিমেন্ট কোম্পানির কার্গো ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। মাগুরায় পথচারী নিজস্ব সংবাদদাতা মাগুরা থেকে জানান, বুধবার সকালে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউপির ইছাখাদা ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় যাত্রীবাহী কোচ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিরাজুল ইসলাম (৫০) নামে এক পথচারীকে চাপা দিলে সে নিহত এবং বাসটি সড়কের পাশের গাছের সাথে ধাক্কা খেলে অপর ১৫ জন আহত হয়েছে। নিহত সিরাজুল ইসলাম মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মনা উল্লাহর ছেলে।
×