ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফের গ্যাস হামলা হলে দামেস্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ॥ শন স্পাইসার

মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২০ ভাগ সিরীয় বিমান ধ্বংস

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ১২ এপ্রিল ২০১৭

মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২০ ভাগ সিরীয় বিমান ধ্বংস

সিরিয়ার শাইরাত বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দেশটির বিমান শক্তির ২০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের খান শিখুন শহরে সরকারী বাহিনী রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে সন্দেহে বৃহস্পতিবার হমস প্রদেশের ওই বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে রাসায়নিক হামলা চালানো কথা অস্বীকার করেছে সিরিয়া। বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেছেন, সিরিয়াকে আবারও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কু-পরামর্শ দেয়া হতে পারে। ইতালিতে জি৭ দেশগুলোর বৈঠকে ম্যাটিস এ কথা বলেছেন। দুই দিনের ওই বৈঠকে মিত্র সিরিয়ার কাছ থেকে রাশিয়াকে সরিয়ে আনতে রাজি করানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।এখানে ম্যাটিস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় সিরীয় বিমানঘাঁটির জ্বালানি ও অস্ত্রশস্ত্র রাখার স্থানগুলো, বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা এবং অভিযান চালাতে সক্ষম সিরীয় জঙ্গী বিমানগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ধ্বংস হয়ে গেছে। খবর বিবিসি/এএফপির। তিনি বলেন, সিরীয় সরকার শাইরাত বিমানক্ষেত্রে জঙ্গী বিমানে জ্বালানি ভরার ও নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত করার সামর্থ্য হারিয়েছে, তাই বিমানক্ষেত্রটির রানওয়ে সামরিক স্বার্থ বিবেচনায় অর্থহীন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, এই হামলা থেকে প্রমাণিত হয়েছে (সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ) রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে নিরপরাধ লোকজনকে খুন করলে যুক্তরাষ্ট্র নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকবে না। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার হুঁশিয়ার করে বলেছেন, আরও হামলা চালানোর পরিকল্পনা তৈরি আছে।তিনি বলেন, লোকজনের ওপর গ্যাস প্রয়োগ করা হচ্ছে ব্যারেল বোমা দিয়ে হত্যা করা হচ্ছেÑএই দৃশ্য আবার দেখতে পেলে আমরা ভবিষ্যতে আবারও ব্যবস্থা নেব। জন স্পাইসার বলেন, আপনি যদি শিশুদের ওপর গ্যাস প্রয়োগ করেন কিংবা নিরীহ রোকজনের ওপর ব্যারেল বোমা মারেন তাহলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে আপনি এর জবাব দেখতে পাবেন। যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় উল্লেখযোগ্য বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথা স্বীকার করেছে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী। কিন্তু রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিক্ষিপ্ত ৫৯টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে মাত্র ২৩টি শাইরাতে পৌঁছতে পেরেছে এবং এতে সিরীয় বিমানবাহিনীর ছয়টি মিগ-২৩ জঙ্গী বিমান ও অনেকগুলো ভবন ধ্বংস হয়েছে। এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সোমবার সিরিয়া বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে এবং জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে প্রথম পৃথকভাবে টেলিফোনে আলাপ করে। মে ও মেরকেল সিরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এই মর্মে একমত হন, সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করতে হবে। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও মে একমত হয়েছেন এখন সুযোগ এসেছে যাতে রাশিয়াকে বোঝানো যায়, আমাদের সঙ্গে তাদের মিত্রতা আর কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা করছে না। দুই নেতা এখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারদের এ সপ্তাহে মস্কো সফরের অপেক্ষায় রয়েছেন। এই সফরকে এ বিষয়ে একটি স্থায়ী রাজনৈতিক নিষ্পত্তির ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
×