অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সংস্কারকাজে পর্যাপ্ত অগ্রগতি না থাকায় ১৪২ কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এ্যালায়েন্স। এ্যালায়েন্সের অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো এরই মধ্যে ওই সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর ব্যবসা করছে না। এ্যালয়েন্স বলছে, যেসব কারখানা নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেবে না, তাদের সঙ্গে কোন আপোস করবে না যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের এ আন্তর্জাতিক জোট।
মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আসে এ্যালায়েন্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর জেমফ এফ মরিয়ার্টি। রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। গত তিন মাসের অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরতে মূলত এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। মরিয়ার্টি বলেন, তবে গর্বের সঙ্গে আমরা বলছি, ৬৭৬টি কারখানা নিয়ে আমরা কাজ করছি। তার মধ্যে ৭১টি কারখানা পর্যাপ্ত সংস্কারকাজ শেষ করেছে। আমরা আশা করছি, এ সংখ্যা আগামী কয়েক বছরে দ্বিগুণ হবে। মরিয়ার্টি জানান, এ্যালায়েন্সভুক্ত কারাখানাগুলোর ৭৩ শতাংশের সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে, যার মধ্যে ৬৪ শতাংশ কাজ হলো উচ্চ অগ্রাধিকার সংস্কারকাজ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের নির্ধারিত মেয়াদের আগেই আমরা সব কাজ শেষ করতে পারব। তবে আমরা বাংলাদেশে পোশাক কারখানা বন্ধ করতে আসিনি। আমরা শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নতি করতে চাই। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশী কারখানাগুলো ঝুঁকিপূর্ণ থেকে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশে যাচ্ছে। এ্যালায়েন্স কারখানাগুলোর শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ২৫ হাজার নিরাপত্তাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। শ্রমিকরা এখন সরাসরি এ্যালায়েন্সের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: