ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে মডেল কন্যা রাউদার মৃত্যুতে হত্যা মামলা

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১১ এপ্রিল ২০১৭

অবশেষে মডেল কন্যা রাউদার মৃত্যুতে হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজে পড়তে আসা মালদ্বীপের ‘মডেল কন্যা’ রাউদা আতিফের মৃত্যুর ১০ দিন পর অবশেষে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। রাউদার বাবা ডাঃ মোহাম্মদ আতিফ বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে রাউদার সহপাঠি সিরাত পারভীন মাহামুদকে। আসামি সিরাত পারভীন ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সে কাশ্মীরের নাগরিক। সে রাউদার সহপাঠী ও বান্ধবী ছিল। রাউদার সঙ্গে বিদেশী কোটায় সিরাত পারভীনও এই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়। আইনজীবী কামরুল মনির বলেন, আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য শাহ মখদুম থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে সিরাত পারভীন ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে রাউদাকে ফলের রস খেতে দেয়। ওইদিন বিষয়টি রাউদা তার মাকে জানায়। এছাড়া কাউকে জানানোর আগে সিরাত পারভীন রাউদার রুমে গিয়ে লাশ নিজেই নামিয়েছে বলে সে সবাইকে জানায়। কিন্তু দরজা ভেঙ্গে রাউদার রুমে প্রবেশের কথা বললেও দরজা বা তার ছিটকানি ভাঙ্গার কোন চিহ্ন নেই। এছাড়া সেখানে কোন টেবিল ছিল না। যে চেয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে রাউদা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলেছে সে চেয়ারে উঠে ফ্যান হাতে পাওয়ার কথা নয়। এছাড়া রাউদার মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা সচল থাকলেও ওই রাতে তা অকেজো ছিল। বিষয়টি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ রাউদার পরিবারকে জানায়। এসব থেকে রাউদাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর আদালত চত্বরে রাউদার বাবা ডাঃ মোহাম্মদ আতিফ বলেন, তিনি নিজেও ফরেনসিক বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। সে অভিজ্ঞতা থেকে তার মনে হয়েছে রাউদার গলায় যে দাগ রয়েছে তা ওড়না পেঁচানোর নয়, সেটি দড়ির দাগ। তার গলায় দড়ি পেঁচিয়ে বাইরে হত্যা করে লাশ তার বেডে রাখা হয়েছে। এরপর হত্যাকারী আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। তিনি সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
×