ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বর্ষবরণ উৎসবে চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ১১ এপ্রিল ২০১৭

বর্ষবরণ উৎসবে চট্টগ্রাম

হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বাঙালীর বর্ষবরণ উৎসব সমাগত। মঙ্গল শোভাযাত্রায় মেতে উঠবে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর নির্বিশেষে সব বয়সের মানুষ। দিকে দিকে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় কাটছে চারুশিল্পীদের। বিপণি কেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে ভিড়। বৈশাখের আনন্দে মেতে উঠতে পছন্দের পোশাকটি বেছে নেয়ার সময় এখন। এবারের বর্ষবরণ রূপে, রঙে এবং উদ্যামতায় অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংস্কৃতিপ্রেমীরা। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতিসংঘের ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এবারই প্রথম বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। ১৪২৪ বঙ্গাব্দের প্রথম দিনটি বরণের আমেজও এবার অতীতের চেয়ে অনেকগুণ বেশি হবে বলে ধারণা করা যায়। ইতোমধ্যেই সরকারীভাবে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা করার নির্দেশনা চলে এসেছে। এর আগের বছর বর্তমান সরকার চালু করে বৈশাখী ভাতা। বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেট হাউসগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণনে দিয়েছে বৈশাখী ছাড়। সব মিলিয়ে সর্বজনীন উৎসবে নেমে পড়ার প্রস্তুতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। চট্টগ্রামে চলছে চারুশিল্পীদের কর্মব্যস্ততা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলছেন রংবেরঙের চিত্রকর্ম। বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন, মুখোশ ও প্রতিকৃতি তৈরি করা হচ্ছে মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য। শুধু ইনস্টিটিউটেই নয়, কমার্শিয়াল আর্টস প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও মঙ্গল শোভাযাত্রায় শামিল হবে, বিধায় তৈরি হচ্ছে অসংখ্য ব্যানার। চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেটসহ বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। কেনাকাটায় ব্যস্ত নারী-পুরুষসহ পরিবারের সদস্যরা। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝেও বাড়তি উচ্ছ্বাস। তারা বেছে নিচ্ছে পছন্দের পোশাক। অনেকেই বৈশাখী আমেজ আনতে আগেভাগে থান কাপড় কিনে দর্জির দোকানগুলোতে সেলাই করছে পছন্দের জামা। ফলে কারিগরদের ব্যস্ততাও যেন ঈদ এবং পূজার আগের সময়ের মতো। নির্ঘুম থেকে তারা চাহিদামাফিক তৈরি করছেন বৈশাখী জামা।
×