ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেনা সদস্যের স্ত্রীর মৃত্যুর রহস্য তিন দিনেও উদ্ঘাটন হয়নি

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১১ এপ্রিল ২০১৭

সেনা সদস্যের স্ত্রীর মৃত্যুর রহস্য তিন দিনেও উদ্ঘাটন হয়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর, ১০ এপ্রিল ॥ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের খলিশাডুলি গ্রামের বন বিভাগ সড়কে সেনা সদস্য জানিবুল হক সোহেলের স্ত্রী সানোয়ারা বেগম নূপুরের (৩০) মৃত্যুর তিন দিন পরও রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে নিহতের পরিবারের দাবি, নূপুরকে পিটিয়ে ও বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নূপুরের স্বামী পলাতক। নূপুরের মা হালিমা জানান, জীবন রক্ষার তাগিদে ২৭ বছর আগে মিয়ানমার থেকে নূপুর ও তার পরিবার-পরিজন বাংলাদেশে আসে। বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে তারা আশ্রয় গ্রহণ করে। আশ্রয় কেন্দ্রে থাকাবস্থায় চাঁদপুর শহরের টেকনিক্যাল স্কুলসংলগ্ন খলিশাডুলি গ্রামের মৃত এ্যাডভোকেট মোঃ ফজলুল হকের ছেলে কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত জানিবুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ২০১০ সালের ৯ জুন জানিবুল নূপুরকে বিয়ে করে। বিয়ের পর নূপুরকে নিয়ে জানিবুল ঢাকার স্বামীবাগে বসবাস করতে শুরু করে। গত তিন মাস আগে নূপুরকে চাঁদপুর বন বিভাগ সড়কে তাদের নিজস্ব বাসায় নিয়ে আসে জানিবুল। নূপুরের মা হালিমা জানান, জানিবুলের মা ও ভাইয়েরা তার মেয়েকে বিয়ের পর থেকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে আসছিল। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তিনি কোন আইনের আশ্রয় নেননি। অবশেষে ৭ এপ্রিল রাতে নূপুরকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে। নূপুরের মা জানান, তার মেয়ে শুক্রবার দিনে মোবাইল ফোনে জানায়, তার স্বামী জানিবুল তার মাথা ও শরীরে আঘাত করে। এরপর আর কিছু বলতে পারেনি। এই বলে নূপুর কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। পুলিশ জানান, প্রাথমিক তদন্তে নিহত গৃহবধূর গায়ে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর তা স্পষ্ট বোঝা যাবে। এ ব্যাপারে নূপুরের মা স্বামী জানিবুল হক সোহেল ও তার মাকে আসামি করে রবিবার মামলা দায়ের করেছেন।
×