ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভেদরগঞ্জে কর্মসংস্থান প্রকল্পের টাকা হরিলুট

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১১ এপ্রিল ২০১৭

ভেদরগঞ্জে কর্মসংস্থান  প্রকল্পের টাকা  হরিলুট

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ১০ এপ্রিল ॥ ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী প্রকল্পের ৪০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান প্রকল্পের বরাদ্দের টাকা থেকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর জন্য শতভাগের ১০ থেকে ৩০ ভাগ আর দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানরা ১০ ভাগ করে হাতিয়ে নিয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। এছাড়াও তালিকাভুক্ত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ না করিয়ে নয়-ছয় করে বিল ভাউচার জমা দিয়ে টাকা হরিলুট করা হয়েছে। এসব দুর্নীতিতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আছেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহমেদসহ স্থানীয় কয়েক দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা। জানা গেছে, ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসংস্থানের জন্য ৮৩টি প্রকল্পের বিপরীতে ২ কোটি ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা বরাদ্দ করে সরকার। এই প্রকল্পের কাজ করানোর জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে শ্রমিকদের নামের তালিকা প্রস্তুত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার। এই তালিকায় রয়েছে সীমাহীন দুর্নীতি। ছয়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ভুট্টু মজুমদার বলেন, ছয়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য শ্রমিকদের যে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে তাতে প্রকৃত শ্রমিকদের নাম বাদ পড়েছে। মজার বিষয় হলো বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে যে শ্রমিকদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে তাদের দিয়ে কাজ না করিয়ে অনেকেই বিল ভাউচার জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করে হরিলুট করেছেন। কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদে দরিদ্র পরিবারদের ঘরের ভিটি উঁচু করার প্রকল্প কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছয়গাঁও, মহিসার ও নারায়ণপুর ইউনিয়নের কয়েক মেম্বার জানান, পিআইও মোস্তফা কামাল এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন আহমেদ শতভাগের ১০ থেকে ৩০ ভাগ পর্যন্ত এবং কয়েক ইউনিয়নের দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানরা ১০ ভাগ করে প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার সঙ্গে দেখা করেন, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, পত্র-পত্রিকায় লিখে কি লাভ হবে, আজকাল পত্রিকা পড়ে কয়জন? উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল আহমেদ বলেন, দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নে রাস্তার নির্মাণ কাজ ড্রেজার মেশিন দিয়ে করা হচ্ছিল এমন অভিযোগ পেয়ে আমরা সেটির কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
×