ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অর্বাচীনদের কথা ॥ দেশ বিক্রির সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১১ এপ্রিল ২০১৭

অর্বাচীনদের কথা ॥ দেশ বিক্রির সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারতের সঙ্গে চুক্তি সই করে সরকার দেশ বিক্রি করে দিয়েছে, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এমন সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বলে দেশ বিক্রি করে দিয়েছি, তারা অর্বাচীন। দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলো জনগণ ও আঞ্চলিক কল্যাণে সই হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। এছাড়া দিল্লীতে অপর এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে দারিদ্র্যমুক্ত করে জনগণের উন্নত জীবন নিশ্চিত করার জন্য এই অঞ্চলের দেশগুলোর পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুতারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের ভারত সফরের শেষদিন সোমবার ভারত-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অপর এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। নয়াদিল্লীর হোটেল তাজ প্যালেসে ভারত-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ সময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। বক্তব্যের একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় বলেন, যারা বলে দেশ বিক্রি করে দিয়েছি, তারা অর্বাচীন। গত শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে, যার বিরোধিতা করে আসছে বিএনপি। ওই সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে ইঙ্গিত করে রোববার রাতে আইনজীবীদের এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেন, আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার জন্য বর্তমান সরকার ‘দেশ বিক্রির চুক্তি’ করেছে। দেশে বর্তমানে সরকার যাদের বলা হয়, তারা আসলে জনগণের সরকার নয়, তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। ভবিষ্যতেও তারা একই পরিকল্পনা করছে কীভাবে আবার ক্ষমতায় আসবে। আজকে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে। সে জন্য পাঁচ বছরের জন্য এটা একটা চুক্তি করেছে। কী? পাঁচ বছর তাকে থাকতে দিতে হবে। এই চুক্তি তো তিনি সে জন্য করলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ব্যবসায়ীদের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারাই দেখে গেলেন, দেশ বেচে দিলাম, না অর্জন করলাম। বাংলাদেশে ব্যবসার বিস্তৃত সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা ভারতের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র এবং উন্নয়নের সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছে। যৌথ সমৃদ্ধির দর্শন নিয়ে চলা বাংলাদেশ ও ভারতেরও সম্পর্কও এখন চমৎকার। আমি আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাই, বিনিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশে আসুন এবং সুযোগগুলো কাজে লাগান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার এমন একটি বাস্তবঘনিষ্ঠ উদ্ভাবনমুখী অর্থনীতি গড়ে তুলতে চায়, যা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। আমি নিশ্চিত, একসঙ্গে কাজ করলে এ অঞ্চলের মানুষ ও তাদের জীবন আমরা বদলে দিতে পারব। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গোদরেজ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি আদি গোদরেজ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রতিমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। অন্যদের মধ্যে ভারতের এ্যাসোসিয়েটেড চেম্বারস অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এ্যাসোচ্যাম) প্রেসিডেন্ট সন্দীপ জাযোদিয়া, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এফআইসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট হর্ষ মারিওয়ালা। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা অনেক ধনী ব্যবসায়ী। আপনারা আসুন। বিদেশীদের জন্য ১০০ ইপিজেড করছি। আপনাদের বিনিয়োগ সফল করতে সব রকম ব্যবস্থা নেব। আপনারা আসুন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মন্ত্রিসভার সদস্য, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ মাহফুজুর রহমান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনে সংবর্ধনা ॥ এদিকে দিল্লীতে অপর এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে দারিদ্র্যমুক্ত করে জনগণের উন্নত জীবন নিশ্চিত করার জন্য এই অঞ্চলের দেশগুলোর পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুতারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সবসময়ই জনকল্যাণের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে... এখানে কোন দেশটি বড় আর কোনটি ছোটÑ এটা কোন বিবেচ্য বিষয় নয়। আমরা একটি সার্বভৌম দেশ। কাজেই আমরা সবসময় একে অপরকে সম্মান করি এবং বন্ধুত্বকে গুরুত্ব দেই, কারণ বন্ধুত্ব ছাড়া বিবাদপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকলে কিছুই অর্জন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার দিল্লীর হোটেল ইম্পেরিয়ালে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তার সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনার জবাবে এ কথা বলেন। ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ এবং তার নেতৃত্বে এই অঞ্চলের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান এল কে আদভানী এবং ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক নির্মলা সীতারমন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, দুই দেশের যে কমন জলজ সম্পদ রয়েছে সেগুলোকে একীভূতভাবে ব্যবহার করা উচিত এবং দুদেশের মধ্যে কমন নদীগুলোর পানি বণ্টনের ওপরই আমাদের উভয়ের ভবিষ্যত নির্ভর করছে। তিস্তা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও একবার এই ইস্যু সমাধানে তার সরকারের দৃঢ় আকাক্সক্ষার কথা পুনর্ব্যক্ত করে শীঘ্রই এটি সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন। আর এটি হলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় প্রচ- করতালির মধ্যে তিস্তা প্রসঙ্গে তার শঙ্কার কথা ব্যক্ত করে বলেন, দিদি মনি (মমতা ব্যানার্জি) তিস্তা ইস্যুতে আর কি করবেন তিনিই জানেন এবং আমি তার সঙ্গে কথা বলার পর তিনি আরও নতুন কিছু বিষয় আলোচনায় এনেছেন। যদিও মোদি জি (নরেন্দ্র মোদি) আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আমরা এখানে আছি এবং দেখছি তিনি কি করেন। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বাংলাদেশকে বিদ্যুত প্রদানে রাজি হওয়ার জন্য মমতা ব্যানার্জিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা পানির জন্য দাবি করে বিদ্যুত পেয়েছি। যা হোক, কিছু তো একটা পাওয়া হলো। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সেই দেশ, যারা আমাদের স্বাধীনতায় সহযোগিতা করেছে। আমাদের যে কোন দুর্দিনে সবসময় আমাদের পাশে থেকেছে। আমরা একই মর্যাদা এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আমাদের জনগণের, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। দারিদ্র্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সাধারণ শক্র উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এই দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত সম্পর্ক পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ভিত্তির ওপর এবং একই ধরনের সাধারণ আকাক্সক্ষার ওপর প্রতিষ্ঠিত। যার মূলে রয়েছে স্বাধীনতার সামগ্রিক মূল্যবোধ, গণতন্ত্র এবং মৌলিক মানবাধিকার ও আইনের শাসন। তিনি বলেন, এই সম্পর্কের ভিত্তি রচনা হয় বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রারম্ভে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। এরপর থেকে যতই দিন গেছে এই সম্পর্ক আরও গতিশীল, পরিপূর্ণ এবং কৌশলগত পূর্ণতা লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সহযোগিতার প্রায় সকল ক্ষেত্রেই উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে, বিশেষ করে যোগাযোগ, বিদ্যুত, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রগুলোতে। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের রূপকল্প ঠিক করেছি এবং আশা করছি, ভারতও আমাদের এই উন্নয়নের যাত্রার সারথি হবে। সীমান্ত চুক্তিটি ভারতের লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হওয়ায় ভারতের সকল রাজনৈতিক দলের সদস্যদের প্রতি সন্তোষ জ্ঞাপন করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এটা ঐতিহাসিক ১৯৭১ সালের মতোই বিষয়, যখন ভারতের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং ভারতের জনগণ বাংলাদেশকে দ্ব্যর্থহীনভাবে সহযোগিতা প্রদান করেছিল। বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতার বিষয়টি, বিশেষ করে বিদ্যুত খাতে সহযোগিতার উল্লেখ করে ‘মাল্টি মডেল কানেকটিভিটি’ এবং বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার জন্যই এটা জরুরী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভারত থেকে আরও বিনিয়োগ, বিশেষ করে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং ইতোমধ্যেই ভারতের বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর এ বিষয়ে আগ্রহ দেখতে পেয়েছি। ২৫ মার্চকে ‘গণহতা দিবস’ হিসেবে পালনে জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়ে ভারতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩০ লাখ প্রাণের আত্মাহুতি এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর এই গণহত্যার ইতিহাসকে মুছে ফেলার প্রচেষ্টা চলছে। পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যা স্মরণে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সম্প্রতি ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করে সর্বসম্মতভাবে একটি বিল পাস করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই এই গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃতি প্রদান করুক। তিনি বলেন, আমরা এটা ক্ষমা করতে পারলেও কোন দিন ভুলতে পারব না। অনুষ্ঠানে প্রদত্ত ভাষণে এল কে আদভানী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নিশ্চিতভাবেই তার নেতৃত্বে উন্নয়নের পথ ও পাথেয় খুঁজে পাবে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে শেখ হাসিনাকে দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আদভানী বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী, বিশেষ করে আমাদের স্বাধীনতার পূর্বে যেমনটা ছিল। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই এল কে আদভানী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শাল এবং ক্রেস্ট উপহার হিসেবে প্রদান করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে নির্মলা সীতারমন বলেন, তিনি তার (শেখ হাসিনা) জীবনের ওপর উপর্যুপরি প্রাণঘাতী হামলার পরেও অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছেন। তার নেতৃত্বের গুণেই ভারত তার মধ্যেই তাদের প্রকৃত বন্ধুকে খুঁজে পেয়েছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৭ এপ্রিল দিল্লী সফরে যান। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী, জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রমুখের সঙ্গে বৈঠক করেন। দিল্লী সফর শেষে সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় ফিরেছেন।
×