ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সেই পাকিস্তানেরই দাপুটে জয়

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১১ এপ্রিল ২০১৭

সেই পাকিস্তানেরই দাপুটে জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাকিস্তান কেন ‘আনপ্রেডিক্টেবল’, দুই ম্যাচের ফল সেটি আরও একবার প্রমাণ করল। প্রথম ওয়ানডেতে ৩০৮ রানের স্কোর গড়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যাওয়া সরফরাজ আহমেদের দল দ্বিতীয় ম্যাচে ২৮২ রান করে জিতল ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে। অপরাজিত ১২৫ রানের দারুণ এক সেঞ্চুরি ইনিংস উপহার দিয়ে অতিথিদের সমতায় (১-১) ফেরানোর ‘নায়ক’ বাবর আজম। ৪৪.৫ ওভারে প্রতিপক্ষকে ২০৮ রানে গুড়িয়ে দেয়ার পথে দুর্দান্ত বল করেছেন হাসান আলি। ১৫ ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী ডানহাতি মিডিয়াম পেসার। একই ভেন্যু গায়ানায় সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে আজ। ১৯৯২ সালের পর থেকে পাকীদের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় কোন সিরিজ না জেতা ক্যারিবিয়দের সামনে দুঃখ ঘোচানের সুযোগ। র‌্যাঙ্কিংয়ে পাশাপাশি থাকায় (৮ম ও ৯ম) সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার হিসেবে মেলাতে সিরিজটা দু-দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও টস জেতেন জেসন হোল্ডার। উইন্ডিজ অধিনায়ক এবারও প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। আগের ম্যাচে দারুণ শুরু এনে দেয়া দুই ওপেনার আহমেদ শেহজাদ (৫) ও কামরান আকমলকে (২১) ফিরিয়ে স্বাগতিকদের শুরুটাও ছিল আশাজাগানিয়া। তবে তৃতীয় উইকেটে বাবর ও মোহাম্মদ হাফিজ গড়েন ৬৯ রানের জুটি। রানের গতি যদিও খুব একটা ভাল ছিল না। বাবর ইনিংস গড়েছেন ধীরে সুস্থে। হাফিজ বরাবরের মতোই মন্থরÑ ৫০ বলে ৩২ করে এ্যাশলি নার্সের অফস্পিনে স্টাম্পড হয়েছেন এই তারকা। শোয়েব মালিকও (৯) এদিন ফিরলে ১২৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু এরপরই। বাবর-সরফরাজের জুটিতে পঞ্চম উইকেটে ৫৫ রান তোলে সফরকারীরা। ম্যাচের মোড় পাল্টে দেয়া জুটি অবশ্য তারও পর। সপ্তম উইকেটে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন বাবর ও ইমাদ ওয়াসিম। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় বাবর অপরাজিত থাকেন ১২৫ রানে। ২৫ ওয়ানডেতেই ৫ সেঞ্চুরি হয়ে গেল ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের। আরেকপাশে দারুণ সঙ্গ দিয়ে ইমাদ অপরাজিত ৩৫ বলে ৪৩ রানে। ৬৮ বলে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ৯৯ রানের। রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসলে ছিটকে যায় শুরুর দিকেই। নতুন বলে জুনাইদ খান ও মোহাম্মদ আমির এনে দেন ব্রেক থ্রু। হাসান বোলিংয়ে এসে পরপর দুই ওভারে নেন উইকেট। মিডল অর্ডারে জোড়া ধাক্কা দেন হাফিজ। যার মধ্যে ছিল আগের ম্যাচের নায়ক জেসন মোহাম্মেদের (১) উইকেটও। উইন্ডিজ তখন ৬ উইকেটে ৭৫। এরপর ক্যারিবিয়দের লড়াইটা ছিল কেবলই পরাজায়ের ব্যবধান কমানোর। ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরির পথে অধিনায়ক হোল্ডার করেছেন ৬৮। বোলার নার্স ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখিয়ে ৪৩ বলে ৪৪। হাসান ৫, হাফিজ ২, আমির ও জুনাইদ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
×