ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লিনের ইনজুরিতে সাকিবের সুযোগ

প্রকাশিত: ০৪:১২, ১১ এপ্রিল ২০১৭

লিনের ইনজুরিতে সাকিবের সুযোগ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোথায় কি, সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কি আর ক্রিস লিনের তুলনা হয়? টাইগার অলরাউন্ডার বিশ্বক্রিকেটেরই বড় তারকা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) একাধিকবার শিরোপাজয়ের সঙ্গী হওয়া কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) অতিগুরুত্বপূর্ণ সদস্য। অটোমেটিক চয়েজ। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সফর শেষ না হওয়ায় বিদেশী কোটায় পাওয়া সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগান লিন। গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে অপরাজিত ৯৩ রান করে ম্যাচ জেতানোর পর মুম্বাইর বিপক্ষে করেন ৩২ রান। মুম্বাই ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি শ্রীলঙ্কায় নিজের শেষ টি২০তে ম্যাচসেরা সাকিবের। ২৭ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ইনজুরিতে পড়ায় কেকেআরের হয়ে পরের ম্যাচেই সাকিবের মাঠে নামাটা প্রায় নিশ্চিত। মুম্বাইর বিপক্ষে ম্যাচেই অসম্ভব এক ক্যাচ ধরতে গিয়ে কাঁধে চোট পেয়েছেন লিন। সেটা বেশ গুরুতর বলেই জানা গেছে। কেকেআরের পরের ম্যাচ কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে, আগামী বৃহস্পতিবার। ইনজুরি কাটিয়ে সেদিন দলের সঙ্গে যোগ দেবেন পেসার উমেশ যাদব। খেলা হবে কেকেআরের ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে। স্পিনবান্ধব পিচে বিদেশী কোটায় তাই ট্রেন্ট বোল্ট বা ক্রিস ওকসের একজন বাদ পড়তে যাচ্ছেন, সেটা নিশ্চিত। লিনের জায়গায় খেলতে পারেন ড্যারেন ব্রাভো বা রভম্যান পাওয়েল। এমনকি কলিন ডি গ্রাান্ডহোমকে দেখলেও অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না। সমীকরণ বলে, ওই ম্যাচে সাকিবের থাকাটাও নিশ্চিত। ইডেনের পিচে সাকিবের অতীত পারফর্মেন্সই তাকে জায়গা করে দেবে, এমনটাই ভাবছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শেষ করেই আইপিএল খেলতে ভারতে রওনা হন সাকিব। সফরে নিজের শেষ ম্যাচটিতে দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরাও হয়েছিলেন। ব্যাটিংয়ে ৩৮ রান করার পর বল হাতে ৩ উইকেট। তবু দুই ম্যাচে সাইডলাইনে বসে থাকতে হয় বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে। সেটি আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লিনের ওই অতিমানবীয় ব্যাটিং এবং কম্বিনেশনের কারণে। কিন্তু রবিবার তুমুল উত্তেজনার পর দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বাইর কাছে শেষ ওভারে হেরে (৪ উইকেট) বসে নাইটরা। ম্যাচে সাকিবের অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন অধিনায়ক গৌতম গাম্ভীর। দলের প্রয়োজনের সময় সূর্যকুমার যাদব বা ইউসুফ পাঠানরা পুরোপুরি ব্যর্থ। এমনকি অলরাউন্ডার ক্রিস ওকসও কিছু করতে পারেননি। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ব্যর্থ ইংলিশম্যান। বোল্ট আর ওকস মিলে দেন ৮১ রান। স্পিনে দলটির অন্যতম ভরসা কুলদীপ যাদব দিয়েছেন ৩৫ রান। নারাইন ভাল করলেও ছিলেন উইকেটশূন্য। এ কারণেই পরের ম্যাচে অটোমেটিক চয়েস হিসেবে থাকার কথা সাকিবের। আইপিএলের এটি দশম আসর। ২০১২ ও ২০১৪ সালে কেকেআরের চ্যাম্পিয়ন হতে সাকিবের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
×