সংসদ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদের স্পীকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় সংসদ অধিবেশনের ফ্লোরে সংসদ সদস্যদের অসংসদীয় ভাষা বন্ধ হওয়া উচিত। ভাষা প্রয়োগে তাদের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত। টিআইবি জাতীয় সংসদকে কার্যকর করার জন্য যদি কোন সুপারিশ করে সেগুলো আমরা অবশ্যই বিবেচনা করব।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র গবেষণাপত্র পার্লামেন্ট ওয়াচে এমপিদের অশালীন ও অসংসদীয় ভাষা প্রয়োগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে স্পীকারের মতামত চাইলে রবিবার জাতীয় সংসদের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এ বিষয়ে স্পীকার বলেন, সংসদ সদস্যরা তাদের বক্তব্যে কি বললেন, সেটা একান্তভাবেই তাদের বিষয়। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা কথা না বলেন ততক্ষণ পর্যন্ত বোঝা যায় না তারা কী বলছেন। তবে কার্যপ্রণালীবিধির বাইরে সংসদীয় ভাষার ব্যবহার উচ্চারিত হলে অবশ্যই আমরা ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করি এবং বলি আপনি ২৭০ বিধি অনুসরণ করে বক্তব্য দিন। পরবর্তীতে এক্সপাঞ্জ করার অধিকার তো আমার আছেই। আর সংসদ অধিবেশন কক্ষে না বললেও আমরা কিন্তু পরবর্তীতে এক্সপাঞ্জ করি। এটা হয়তো অনেকেই জানেন না।
তিনি বলেন, অনেকে মনে করেন সংসদ অধিবেশন কক্ষে এক্সপাঞ্জ যদি না বলি তাহলে হয়তো এক্সপাঞ্জ হয় না। বিষয়টি কিন্তু সে রকম নয়। আমরা কিন্তু পরেও এটি এক্সপাঞ্জ করি। সেটা করার ক্ষমতা আছে। সেটা করাও হয়।
স্পীকার বলেন, একজন স্পীকার কার্যপ্রণাল বিধি অনুযায়ী সংসদ চালান। আমার নেয়া ব্যবস্থা সম্পর্কেও আমাকে খুবই সচেতন হতে হয়। আমি যদি আমার নিয়মের মধ্যে থেকে সংসদ না চালাই তাহলে আমি কিন্তু সংসদ সদস্যদের অধিকার খর্ব করব। কোন সংসদ সদস্যের বক্তব্য আমার ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ না হলে যদি মাইক বন্ধ করে দিই, তবে কিন্তু আমি ক্ষমতার অপব্যবহার করলাম। আমি কিন্তু ওই এমপির কথা বলার ক্ষমতার ওপর হস্তক্ষেপ করলাম। তবে ভাষার অপ্রয়োগ এবং অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার বন্ধ করা উচিত এমপিদের।
স্পীকারকে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ॥ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সদ্যসমাপ্ত ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলি সুষ্ঠু ও সফলভাবে আয়োজনের জন্য সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অভিনন্দন জানিয়েছেন। রবিবার এসেম্বলির জন্য গঠিত বিভিন্ন সাব কমিটির আহ্বায়কবৃন্দ ও উইং প্রধানগণ স্পীকারকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।
