ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সতেজ থাকতে খাদ্য তালিকায় অপরিহার্য

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১০ এপ্রিল ২০১৭

সতেজ থাকতে  খাদ্য তালিকায় অপরিহার্য

খাদ্য তালিকায় রাখুন পানি জাতীয় খাবার : শরীরে পানির প্রয়োজন হয় সারাবছরই এবং গ্রীষ্মে এর প্রয়োজনটা অনেক বেশি। কারণ এ সময়ে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে আমাদের শরীর থেকে ক্রমাগত পানি বের হয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, এক গ্লাস পানি খাওয়ার চাইতে যদি আমরা এমন একটি ফল খাই যাতে পানির পরিমাণটা সমান, তবে সেটা থেকে শরীরে বেশি পরিমাণে পানি সরবরাহ হয়। এই অভ্যাসটি তাদের জন্য বেশি কার্যকরী যারা কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে চান। কারণ পানিপূর্ণ খাবার খেলে ক্ষুধা মিটে যায় এবং পানির প্রয়োজন পূরণ হয়, কিন্তু এসব খাবারে ক্যালরি খুব একটা বেশি থাকে না। তাই বলে এই নয় যে, আপনি গ্রীষ্মে পানি খাওয়া বাদ দিয়ে দেবেন। দিনে কমপক্ষে ৭-৮ গ্লাস পানি খাওয়া অত্যন্ত জরুরী এবং এর পাশাপাশি বাড়িয়ে দিন ফল খাওয়া। ডাবের পানি : ডাবের পানির পুষ্টিগুণ যে কোন এনার্জি ড্রিংকের চাইতে কম নয়, বরং অনেক গুণ বেশি এবং এটি ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল মুক্ত। এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে পটাসিয়াম যা গরম কমানোর অন্যতম একটি উপাদান। দিনে একটি করে ডাবের পানি কাজ করতে পারে স্যালাইনের বিকল্প হিসেবে। এর থেকে ক্যালরি পাওয়া যায় কম, তাই ডায়েট কোলা বাদ দিয়ে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন ডাবের পানি। তরমুজ : আমরা সবাই গ্রীষ্মে তরমুজ খেতে ভালবাসি। এটি শুধু মজাদারই নয় বরং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি। তরমুজে ৯২ শতাংশ পানি থাকার পাশাপাশি রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের অনন্য সমাহার, যা শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়া চিনি এবং লবণের অভাব পূরণ করে। মসলাদার খাবার খান নিশ্চিন্তে : সন্দেহ হচ্ছে? হতেই পারে। মসলাদার খাবার খেলে যে গরমে কান দিয়ে ধোঁয়া বের হয়ে যায় অনেকেরই তা তো সত্যি! কিন্তু এটাও সত্যি যে ঝাল/মসলা দেয়া খাবার খেলে শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়, বিশেষ করে ত্বকের নিচের রক্ত প্রবাহী জালিকাগুলোতে। এর ফলে শরীরের তাপমাত্রা সমানভাবে বণ্টন হয়। এছাড়া মসলার প্রভাব একটু কমে এলেই মনে হয় তাপমাত্রা অনেক কমে গেছে। খাবারে এমন কিছু মসলা/ফ্লেভার যোগ করতে পারেন যেগুলোর আছে শরীর ঠাণ্ডা রাখার ক্ষমতা যেমন এলাচি এবং পুদিনা পাতা। গরমে এড়িয়ে চলবেন যেসব খাবার : আইসক্রিম এবং বরফ ঠাণ্ডা ড্রিংকস খেতে যতই ভাল লাগুক না কেন, এগুলো আসলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমায় না বরং এসব খাবার হজম হতে শুরু করলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া শুরু করে। ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানির বদলে রুম টেম্পারেচারের খাদ্য/পানীয় বেছে নিন। আইসক্রিমের বদলে খেতে পারেন মিষ্টি বা টক দই। আইসড কফির বদলে খেতে পারেন হারবাল টি। কমিয়ে দিন মাংস এবং চর্বি/তেল খাওয়ার পরিমাণ। ডুবো তেলে ভাজা এবং উচ্চ তাপে রান্না করা বাদ দিয়ে কম আঁচে রান্না করা এবং সেদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। বাড়িয়ে দিন কাঁচা ফল এবং সবজি খাওয়ার পরিমাণ। সতেজ থাকুন এই গরমেও।
×