ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জন্মদিনে দাদাভাইকে স্মরণ কচিকণ্ঠের কবিতায়, গানে

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১০ এপ্রিল ২০১৭

জন্মদিনে দাদাভাইকে স্মরণ কচিকণ্ঠের কবিতায়, গানে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খ্যাতিমান শিশু সাহিত্যিক ও সংগঠক রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের ৯২তম জন্মবার্ষিকী ছিল রবিবার। জন্মদিনের বিকেলে নানা আয়োজনে স্মরণ করা হলো বরেণ্য এই ব্যক্তিত্বকে। তাকে নিবেদন করে পরিবেশিত হলো কচিকণ্ঠের গান ও কবিতা। সেই সঙ্গে দাদাভাইয়ের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো আলোচনা। একই আয়োজনে ছোটদের হাতে তুলে দেয়া হয় রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার। বহুমাত্রিক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দাদাভাইয়ের প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী শিশু-কিশোর সংগঠন কঁচি-কাচার মেলা। জন্মদিনের আয়োজনটির সূচনা হয় সম্মেলক গানের সুরে। খুদে শিল্পীরা গেয়ে শোনায় ‘আজ হৃদরে সব শুভ কামনা’। সেগুনবাগিচার কঁচি-কাচার মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেলার ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি দেশের শিশু-কিশোর আন্দোলনে দাদাভাইয়ের ভূমিকা তুলে ধরেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে দাদাভাইকে নিয়ে আলোচনা করেন মেলার সহ-সভাপতি দিল মনোয়ারা মনু, কর্মী সদস্য কানিতা মাঈশা এবং শিশু বক্তা দিবা ও সুকন্যা। সভাপতিত্ব করেন মেলার পরিচালক খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। আলোচনা শেষে ছিল কঁচি-কাচার মেলার কথাবিতান, সুরবিতান ও নৃত্যবিতানের ভাইবোনদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পরিবেশনা পর্বের শুরুতেই কঁচি-কাচার মেলার শিশুশিল্পীরা পরিবেশন করে দাদাভাইয়ের লেখা ছড়া গান ‘বাক বাকুম পায়রা’। এরপর মেলার নৃত্য শিল্পীরা ‘পুতুল সোনা’ গানের সুরে পরিবেশন করে দলীয় নৃত্য। এ নৃত্য পরিবেশনা শেষে শুরু হয় দলীয় আবৃত্তি। মেলার খুদে আবৃত্তি শিল্পীরা আবৃত্তি করে শোনায় রোকনুজ্জামান দাদাভাইয়ের লেখা ছড়া ‘ক্যামল সাহেব’। আবৃত্তি শেষে মঞ্চে আবার গান নিয়ে মঞ্চে আসে খুদে কণ্ঠশিল্পীরা। এ পর্যায়ে তারা পরিবেশন করে ‘ছাতা মাথায় ব্যাঙ চলেছে’ শিরোনামের গান। ‘ও মুই না শুনুম’ গানের সহযোগে পরিবেশিত হয় নাচ। গাওয়া হয় ‘হাজার শিশুর অন্তরে আজ’ শীর্ষক দাদাভাইয়ের লেখা গান। ছিল ‘প্রজাপতিটা’ শীর্ষক ছড়া গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনা। পাঠ করা হয় দাদাভাইযের লেখা ছড়া ‘হাসি’। ‘ধিমতানা’ গানের সঙ্গে মেলার নৃত্য শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় এ আনন্দ আয়োজন। বঙ্গবন্ধুর সম্মেলন কেন্দ্রে আলোর মেলা ॥ মোমের আলোর ¯িœগ্ধতা মেলে না বিদ্যুতের আলোয়। সেই আলোর সঙ্গে যদি সুগন্ধ ছড়ানো মোমটি হয়ে হয়ে আরও আকর্ষণীয়। নানা রঙের বাহারি এমন সব মোমবাতির সঙ্গে যোগ হয়েছে সিরামিকসের পণ্য। এসব পণ্যের পসরা সাজিয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রবিবার সন্ধ্যায় এ্যাঞ্জেলস হোমের আয়োজনে হয়ে গেল ‘আলোর মেলা’। গ্লাস জার ক্যান্ডেল, পিলার ক্যান্ডেল, টি লাইন ক্যান্ডেল পটস, পটপউরি, ড্রাই ফ্লাওয়ারস, সিরামিকস পটস, টেবিল ল্যাম্পস এমনই সব পণ্যের দেখা মিলল এই আয়োজনে। ঘর সাজানোর পাশাপাশি উপহার সামগ্রী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ্যাঞ্জেলস হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারহানা আহমেদ মোহনা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নিলুফার হুদা, আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শিকদার মেজবাহ্ উদ্দিন। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বৈশাখে নতুন উপহার হিসেবে এই সুগন্ধি মোমবাতি নতুন উপকরণ যোগ হলো। এ ধরনের পণ্য বাজারজাতকরণের মধ্য দিয়ে নতুন উদ্যোক্তার সৃষ্টি হবে। গ্লাস জার ক্যান্ডেলে ব্যবহার করা হয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান। রয়েছে আট ধরনের সুগন্ধযুক্ত মোমবাতি। যেমন জার ক্যান্ডেল, পিলার ক্যান্ডেল, বল শেপ, রাউন্ড ক্যান্ডেল, গ্লাস ক্যান্ডেল, পিলার ক্যান্ডেল, টি লাইট ক্যান্ডেল পট প্রভৃতি। তীরন্দাজের ‘তামসিক’ নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী ॥ এ যেন মঞ্চের ভেতরে মঞ্চ নাটক। অনেকটা গল্পের মধ্যে গল্প বলার মতো। যে থিয়েটার নিয়ে নাট্যকর্মীদের স্বপ্ন, বেঁচে থাকা, সে থিয়েটারকে পুঁজি বানাতে পুঁজিবাদের নিষ্পেষণে শিল্পীদের অস্তিত্বের যে লড়াই, তার উপাখ্যান নিয়েই তীরন্দাজ নাট্যদলের চতুর্থ প্রযোজনা ‘তামসিক’। মহড়া কক্ষের অপ্রতুলতা, সামাজিক সঙ্কট যে থিয়েটারের পিছু ছাড়ে না, তার গল্পও এসেছে, এ নাটকে। সে সঙ্গে নাটকটিতে উঠে আসে, শুধু দু-তিন ঘণ্টা রিহার্সেল আর শো করার মধ্যেই থিয়েটার সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি বিশ্বাস দিনের পর দিন চলে এর সাধনা ও চর্চা। গত ৭ এপ্রিল উদ্বোধনী মঞ্চায়নের পর রবিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে নাটকটির দ্বিতীয় মঞ্চায়ন হয়। অপু মেহেদীর রচনায় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী রাকিব। ভাওয়াইয়া অঙ্গনের যুগপূর্তি উদ্্যাপন ॥ সাংস্কৃতিক সংগঠন ভাওয়াইয়া অঙ্গনের যুগপূর্তি উপলক্ষে রবিবার শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘ভাওয়াইয়া উৎসব’। এতে ভাওয়াইয়া পদক প্রদান করা হয় ভাওয়াইয়া শিল্পী শরীফা রানীকে। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়।
×