ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তিন মাসেও রহস্যের কিনারা হয়নি ॥ তদন্ত প্রশ্নবিদ্ধ

বরগুনায় ইদি আমিন খুন

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ১০ এপ্রিল ২০১৭

বরগুনায় ইদি আমিন খুন

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ তিন মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ বরগুনার ইদি আমিন হত্যা তদন্তের কোন কিনারা করতে পারেনি। কেন এবং কি কারণে এ হত্যা বা এটি আদৌ খুন কিনা, এসব প্রশ্নেরও কোন উত্তর মেলেনি পুলিশি তদন্তে। উপরন্তু কোন কোন মহলে লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। পুলিশের তৎপরতাও হচ্ছে প্রশ্নবিদ্ধ। পুলিশসহ এলাকার বিভিন্ন মহলে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। থানায় দায়ের মামলার বিবরণ অনুযায়ী, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাজারখালী গ্রামে ইদি আমিন খুনের ঘটনা ঘটেছে এ বছরের ৬ জানুয়ারি রাত এগারোটা থেকে পরদিন সকাল সাতটার মধ্যে। ইদি আমিন বাজারখালী গ্রামের মৃত আবদুর রশিদ মৃধার ছেলে। বাজারখালী সাইক্লোন শেল্টারের দ্বিতীয় তলার উত্তর পাশে গলায় মাফলার পেঁচানো ঝুলিয়ে রাখা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ইদি আমিনের ভাইয়ের দায়ের মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। এরমধ্যে আটজনই সাংবাদিক পরিবারের সদস্য। এরা হলেন দৈনিক মানবকণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত চীফ রিপোর্টার সিদ্দিকুর রহমান, দৈনিক জনকণ্ঠের পটুয়াখালীর নিজস্ব সংবাদদাতা মোখলেছুর রহমান, তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ভাই মিজানুর রহমান এবং তাদের ৮২ বছরের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বাবা আবদুল বারেক মৃধা। মামলার শুরু থেকেই এ খুনের হত্যা রহস্য উন্মোচন নিয়ে এলাকায় নানামুখী কানাঘুষা শুরু হয়। কারণ হিসেবে এলাকাবাসী জানিয়েছে, মূলত পারিবারিক বিষয় সম্পত্তির বিরোধের সুফল নিতে একটি বিশেষ মহল অতিমাত্রায় তৎপর হয়ে ওঠে। যার জের ধরে একই পরিবারের আটজনকে এ মামলায় আসামি করা হয়। গত তিন মাসে পুলিশ ওই পরিবারের দু’জনকে গ্রেফতার ছাড়া তদন্তে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। গ্রেফতার আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেও পুলিশ কোন তথ্য পায়নি বলে আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। এখন পর্যন্ত খুনের মোটিভ বের করতে না পারায় পুলিশের তদন্ত নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন উঠেছে। ইদি আমিন হৃদরোগে আক্রান্ত ছিল। তাই প্রকৃত পক্ষে এটি খুন কিনা, এ প্রশ্নও উঠেছে। খুনের কোন প্রত্যক্ষ সাক্ষী নেই। দোতলা থেকে পুলিশ ছাড়া লাশ নামানোর ঘটনাও প্রশ্নবিদ্ধ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে সঠিক তথ্য এসেছে কি না? বরিশালে কর্মরত এক প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তার অতি মাত্রার তৎপরতাও ইঙ্গিতবহ হয়ে উঠেছে। মামলার এসব বিষয় নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরুল ইসলাম বাদলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তদন্ত সঠিক পথেই এগুচ্ছে বলে দাবি করেন।
×