ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নবাববাড়ির জয়তুন গাছ রাতে কেটে নিয়েছে প্রভাবশালীরা

প্রকাশিত: ০৫:০২, ১০ এপ্রিল ২০১৭

নবাববাড়ির জয়তুন গাছ রাতে কেটে নিয়েছে প্রভাবশালীরা

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ায় নবাববাড়ির বিরল জয়তুন বৃক্ষে শেষ পর্যন্ত কাঠুরিয়ার কুড়ালের আঘাত পড়ল। রাতের অন্ধকারে বন বিভাগ, প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরকে না জানিয়েই গোপনে কেটে ফেলা হয়েছে। রবিবার সকালে লোকজন নবাববাড়ির ভেতরে গিয়ে দেখে বিশাল গাছটি কেটে রাতের অন্ধকারেই সরানো হয়েছে। এনিয়ে সাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর বগুড়ার তিন প্রভাবশালী ব্যক্তি শতাধিক বছরের পুরানো বগুড়ার ঐতিহ্যের নবাববাড়ি গোপনে কিনলে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর ওই বাড়িটি সংরক্ষণ করে। ওই নবাববাড়ির মধ্যেই আছে বিরল জয়তুন ও কর্পূরের গাছ। দেশে হাতে গোনা যে কয়টি জয়তুন বৃক্ষ আছে তার মধ্যে বগুড়ার এই জয়তুন গাছ একটি। তারও শেষ রক্ষা হলো না। প্রভাবশালীদের কুঠারের আঘাত পড়ল। নবাববাড়ির কেয়ারটেকার জাহেদুর রহমান লজে জানান, দিনা কয়েক আগে গাছের দুটি শাখা ইমারতের ওপর পড়লে তা সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর শনিবার রাতে নবাববাড়ি যারা কিনেছেন তাদের লোকজন রাতে এসে গাছ কাটা শুরু করে। প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের নির্দেশনায় বলা আছে সংরক্ষণ করা এ এলাকার অবকাঠামো স্থাপনাসহ কোন কিছুর ক্ষতি করা যাবে না। তা করা হলে আইনত দ-নীয় অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। এ নির্দেশনামূলক সাইনবোর্ড থাকার পরও রাতের অন্ধকারে প্রভাবশালীরা কাঠুরিয়া এনে বগুড়ার মানুষের অজান্তে প্রকৃতির ঐতিহ্য জয়তুন বৃক্ষটি কেটে ফেলে। জানা যায় বিরল এ জয়তুন বৃক্ষ মাত্র ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। সূত্র জানায় বর্তমানে কোনভাবেই এ সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে এ বৃক্ষ তো কাটা যাবেই না, কোথাও সামান্য আঁচর দেয়া যাবে না। প্রভাবশালীরা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে বৃক্ষটি কেটে পেলেছে। কিভাবে এই বৃক্ষটি বিক্রি করা হলো তার কোন সদুত্তর নেই। এই বিষয়ে প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর জানায়, রাতের অন্ধকারে বৃক্ষটি কাটার পর তারা জেনেছে। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবে। বগুড়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান তারও কিছুই জানে না।
×