ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনে তারুণ্যের মেলা

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৯ এপ্রিল ২০১৭

ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনে তারুণ্যের মেলা

বসন্তের বিকাল। ঝলমলে রোদ থাকার কথা। কিন্তু আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন। বৃষ্টির আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। এই বুঝি বৃষ্টি ঝরতে শুরু করল। কিন্তু বৃষ্টি ঝরেনি। ঝরেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একঝাঁক তরুণ প্রাণের উচ্ছলতা। ক্যাম্পাস জুড়ে দেখা মিললো তাদের। গায়ে তাদের কেতাদুরস্ত পোশাক আর চোখে আত্মবিশ্বাসের ঝলকানি। এই তরুণেরা এসেছিলেন ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গত ৯ মার্চ থেকে ১২ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৭০ শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছিলেন এ সম্মেলনে। মোহাম্মদ জাহিন ও মলয় কুমার। দু’জনই পড়াশোনা করছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। কথা হয় তাদের সঙ্গে। এ সম্মেলনে আসার মাঝে প্রাপ্তিটা কি? প্রশ্নটি শুনে জাহিন বললেন, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলা, পাবলিক স্পিকিং ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের শক্তি অর্জনের পাশাপাশি সবার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার সক্ষমতা তৈরি হয় এখান থেকে। আর আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো সমাধানে রাষ্ট্রপ্রধানদের করণীয় কি হতে পারে সে বিষয়টাও তর্কের মধ্য দিয়ে জানা যায়। এর মধ্য দিয়ে দেশ ও দেশের বাইরের কল্যাণে নিজেদের জ্ঞানকে কাজে লাগানো যায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফিফা বিনতে অন্বেষা। গ্রুপ আলোচনা করছেন সম্মেলন সম্পর্কে। আফিফা বলেন, জাতিসংঘের আদলে ছায়া সম্মেলনে বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছি। আর কিভাবে সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব সে বিষয়টিও জানতে পারি এই সম্মেলন থেকে। এখানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এক একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করার মাধ্যমে ভবিষ্যত নেতৃত্বের সক্ষমতা অর্জন করে। আরেক শিক্ষার্থী রুবাইয়া জান্নাত সাবাহ ইউনাইটেড নেশনস সিকিউরিটি কাউন্সিলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবারের ছায়া সম্মেলনে। তিনি যেমনটি বলেন, আমরা পিসফুল রেজুলেশন ফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান ক্রাইসিস নিয়ে আলোচনা করেছি। কিভাবে আফ্রিকান ক্রাইসিস দূর করা সম্ভব সে বিষয়ে রেজুলেশন ঠিক করেছি। এ ধরনের সম্মেলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে কথা বলার সাহস অর্জন হয়। উপস্থাপন করার ভয় কেটে যায়। সবমিলিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে। রাজশাহী ইউনিভার্সিটি মডেল ইউনাইটেড নেশনসের (আরইউমুনা) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক শাহ্ আজম শান্তনু বলেন, এই কার্যক্রমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ সহ-শিক্ষামূলক। শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে কূটনৈতিক জ্ঞান ও কৌশল অর্জনে সাহায্য করে। আরইউমুনার ডিরেক্টর জেনারেল আশিবুল ইসলাম অনিক। সম্মেলন বিষয়ে তিনি বলেন, রাজশাহীতে দ্বিতীয়বারের মতো ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনে গতবারের চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। পুরনো অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নতুনভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গেছে এবারের আয়োজন। আগামীতেও শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে। আলী ইউনুস হৃদয়
×