ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শাহেদ রেজা পরিষদের নিরঙ্কুশ জয়

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৯ এপ্রিল ২০১৭

শাহেদ রেজা পরিষদের নিরঙ্কুশ জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন সম্মিলিত ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ সবকটি পদে জয়ী হয়েছে। শনিবার ৮০ কাউন্সিলরের মধ্যে ৭৪ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, কোন ভোটই নষ্ট হয়নি। এই নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বর্তমান সভাপতি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোঃ শফিউল হক এবং মহাসচিব পদে সৈয়দ শাহেদ রেজা নির্বাচিত হন। যেসব পদে নির্বাচন হয় সেগুলো হলো : সহ-সভাপতি (তিনটি), উপ-মহাসচিব (দুটি), কোষাধ্যক্ষ (একটি) এবং সদস্য (১৭টি)। বিওএ ভবনের নীচতলায় মিডিয়া রুমে সকাল ৯টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে এই ভোটগ্রহণ। পাঁচ সহ-সভাপতি পদের মধ্যে পেট্রোন কোটা ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কোটায় যথাক্রমে অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু ও মাহবুব আরা গিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বাকি তিনটি সহ-সভাপতি পদে বাদল রায় সর্বোচ্চ ৭০ ভোট পান। একইপদে শেখ বশির আহমেদ ও নাজিম উদ্দিন চৌধুরী সমান ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এই পদে ১৯ ভোট পেয়ে হারেন বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান মানু। উপ-মহাসচিবের তিন পদে নির্ধারিত কোটায় নজিব আহমেদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। উপ-মহাসচিব পদে আশিকুর রহমান মিকু সর্বোচ্চ ৬৮ ভোট লাভ করেন। একইপদে আসাদুজ্জামান কোহিনূর পান ৫৮ ভোট। এই পদে বিদ্রোহী প্রার্থী ইন্তেখাবুল হামিদ অপু পান ২০ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এই পদে বিদ্রোহী প্রার্থী এসএম ইমতিয়াজ খান বাবুল পান ১৪ ভোট। ২৩টি সদস্য পদের মধ্যে ৬ জন নির্বাচনের আগেই সংরক্ষিত কোটায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। শনিবার বাকি ১৭ জন নির্বাচিত হন। এর মধ্যে অলিম্পিক ফেডারেশনভুক্ত ১৪টি ও আঞ্চলিক ক্যাটাগরিতে ৩টি সদস্য পদে ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে (ফেডারেশন কোটায় ১৪ জন) হলেন : এ. কে. এম. নুরুল ফজল বুলবুল (৭১), আবদুস সাদেক (৬৯), এম বি সাইফ (৭০), আমির হোসেন বাহার (৬৭), মোহাম্মদ আলী দ্বীন (৬৮), তাবিউর রহমান পালোয়ান (৭১), শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর (৭১), এম. এ কুদ্দুস খান (৭১) লে. কমা. (অবঃ) এ কে সরকার (৭১), আব্দুর রকিব (মন্টু) (৭০), মাহমুদুল ইসলাম রানা (৭০), হাজী খোরশেদ আলম (৬৯), আহমেদুর রহমান (৭০) এবং এ কে এম সেলিম (৬৭)। এই ক্যাটাগরিতে খন্দকার হাসান মুনীর ১৭ ভোট পেয়ে হেরে যান। আঞ্চলিক ক্যাটাগরিতে সদস্য পদে সিরাজউদ্দিন মোঃ আলমগীর (৬৯), এস এম মোর্তজা রশিদী দারা (৬৮), মাহমুদ জামাল (৬৭) নির্বাচিত হন। একই পদে দেওয়ান শফিউল আরেফীন টুটুল ১২ ভোট পেয়ে হেরে যান।
×