ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপে খেলবে আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ৯ এপ্রিল ২০১৭

বিশ্বকাপে খেলবে আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লাতিন আমেরিকার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। তাতে কী? দানি আলভেস তার সাবেক ক্লাব সতীর্থ লিওনেল মেসির পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠিকই। ব্রাজিলিয়ান ফুলব্যাক দানি আলভেসের বিশ্বাস, লিওনেল মেসিকে ছাড়াও বিশ^কাপের বাছাইপর্বের বাধা পেরিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা ঠিকই মূল পর্বে জায়গা করে নিবে। গত মাসে চিলির বিপক্ষে সহকারী রেফারির সঙ্গে অশোভন আচরণের দায়ে মেসিকে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ করে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। যে কারণেই বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি এলএম টেন। আরও তিনটি ম্যাচে খেলতে পারবেন না তিনি। বর্তমানে বাছাইপর্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে এদগার্দো বাওজার দল। হাতে থাকা বাকি ম্যাচগুলো থেকে অবশ্যই পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হবে। আর্জেন্টিনার সামনে এখন মূল পর্ব থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কা। তবে বাছাইপর্বে ১৪ ম্যাচ খেলে তার ১০টিতেই জিতে প্রথম দল হিসেবে ইতোমধ্যেই রাশিয়া বিশ^কাপের টিকেট নিশ্চিত করে ফেলেছে রাশিয়া। তবে মেসির সাবেক ক্লাব সতীর্থ আলভেস দক্ষিণ আমেরিকার দুই পরাশক্তির খেলার ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ^াসী। এ বিষয়ে এক সাক্ষাতকারে আলভেস বলেন, ‘আর্জেন্টিনা অবশ্যই এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে। তারা অবশ্যই বিশ^কাপে খেলবে। ফুটবলে তারা ঐতিহ্যবাহী দল। ইতিহাস সবসময়ই বিশেষ কিছু বয়ে নিয়ে আসে। তাদের দলে অবশ্যই দারুণ সব খেলোয়াড় আছে। বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি দলকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপ কল্পনা করাও কঠিন। যে দলে মেসি, মাসচেরানো আছে তাদের পক্ষে সবই সম্ভব।’ মূল পর্বের টিকেট নিশ্চিত করলেও ব্রাজিলের বাছাইপর্ব শুরুর চিত্রটা কিন্তু মোটেও সুখকর ছিল না। প্রথম ছয় ম্যাচ থেকে তো মাত্র ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল সেলেসাওরা। এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আলভেস বলেন, ‘এর মূল কারণ, দক্ষিণ আমেরিকার সবগুলো দলই বেশ শক্তিশালী। আমার মতে বিশে^র সবচেয়ে কঠিন লড়াই এই অঞ্চলেই হয়। এখানে নিজেকে মানিয়ে নেয়াটা জরুরী। বলিভিয়া, ইকুয়েডর, ভেনিজুয়েলা কিংবা এই ধরনের দেশে সকলকেই যেতে হবে। এই দেশগুলোতে খেলাটা বেশ কষ্টকর। এখানকার আবহাওয়া বেশ বিরূপ। সেখানে মানিয়ে নিতে বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হয়। আগেও যেমন ছিল এখনও তাই, সবসময়ই পুরো বিষয়টা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিজেকে প্রস্তুত করে তোলা। এখানে কোন অযুহাত দিলে চলবে না। বাছাইপর্বেই প্রমাণিত হয় কোন দল কতটা পরিণত।’ ২০১৪ বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ব্রাজিল। কিন্তু ঘরের মাঠের সেই বিশ্বকাপ থেকে লজ্জাজনকভাবে বিদায় নেয় সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। রাশিয়া বিশ্বকাপটা তাই ব্রাজিলিয়ানদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। কিন্তু বাছাইপর্বের শুরুটা মোটেই ভাল করতে পারেনি তারা। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামলিয়ে ব্রাজিলের এই পুনরুত্থানের পিছনে অবশ্য নতুন কোচ তিতের অবদান অনস্বীকার্য। তার অধীনে সেলেসাওরা টানা নবম ও বাছাইপর্বে অষ্টম জয় তুলে নিয়েছে। এর পেছনের মূল কারণ কঠোর পরিশ্রম। এ বিষয়ে আলভেস বলেন, ‘আমাদের দলে সেই একই খেলোয়াড় রয়েছে, দলের কৌশলে পরিবর্তন হলেও আমরা আগের মতোই কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। মূল বিষয় হচ্ছে ফলাফল যখন অনুকূলে থাকে না তখন মাঝে মাঝে পরিবর্তনটা জরুরী হয়ে পড়ে। আমাদের সাথেও তাই হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানতে পেরেছি আমাদের কি করতে হবে। আর এর ফলেই শেষ স্থান থেকে আমরা শীর্ষে উঠে এসেছি। কিন্তু আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। সময়ই বলে দিবে আমাদের কতটুকু উন্নতি হয়েছে। বিশ^কাপে যাবার লক্ষ্য আমাদের অর্জিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’
×