সংবাদদাতা বদরগঞ্জ রংপুর থেকে জানান, দামোদপুর ইউনিয়নের শেখেরহাটে আকরাম হোসেন (১৪) নামের হোটেল শ্রমিককে খুন করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে ওই হোটেল থেকে ধারালো ছুরিসহ গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে বদরগঞ্জ থানা পুলিশ। আকরামের বাড়ি পাশর্^বর্তী তারাগঞ্জ উপজেলার চিকলাপাক মাটিয়ালপাড়া গ্রামে।
সে দিনমজুর আশরাফ উদ্দিন ছেলে। সকালে হোটেল শ্রমিকেরা শেখেরহাট বাজারের সকল মিষ্টি ও চায়ের দোকানের কাজ বন্ধ রেখে আকরাম হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করে।
শনিবার সরেজমিনে জানা যায়, আকরামের বাবা আশরাফ উদ্দিন দিনমজুর। তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তার দুই ছেলে আকরাম আনোয়ারকে শেখেরহাটের সোলায়মানের দোকানে কাজ করে। নিহত আকরামের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, হোটেলে আমরা দুই ভাই কাজ করি। দোকান বন্ধের পর রাতে দুই ভাই হোটেলে থাকি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সারাদিন হোটেলে কাজ করে আমি ২০০ টাকা এবং আমার ছোট ভাই আকরাম ১৪০ টাকা মজুরি পাই।
কিন্তু হোটেল মালিক সোলায়মান ঠিকমতো আমাদের এই টাকা দিত না। আমি তার কাছে ৫০০ টাকা পাব এবং আমার ছোট ভাই দেড় হাজার টাকা পাবে। টাকা না পেয়ে আমি গত বৃহস্পতিবার ক্ষোভে বাড়ি চলে যাই।
পরেরদিন শুক্রবার আমার ভাইও চলে আসে। কিন্তু ওইদিন বিকেলে আমার ছোট ভাইকে ফোনের মাধ্যমে ডেকে নেন হোটেল মালিক সোলেমান। আমার ধারণা ছোট ভাই আকরাম কাজ শেষে রাতে মালিকের কাছে বকেয়া টাকা চাওয়ায় মালিক সোয়ালমান ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে শ^াস রোধে হত্যা করেছে। মালিক সোলায়মান সকাল থেকে থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: