স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ এইচএসসি পরীক্ষা শেষে হল থেকে বেরনোর পর কৌশলে স্ত্রীর প্রবেশপত্র নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে স্বামী। স্বামী ও শ^শুরবাড়ির লোকজনের অমতে পরীক্ষায় অংশ নেয়ায় এ কা- ঘটানো হয়েছে। তানোর উপজেলা সদরের একে সরকার ডিগ্রী কলেজের গেটে শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় ঘটায় স্বামী সেতাবুর রহমান। তবে স্বামীর সঙ্গী আবদুস সাত্তারকে আটক করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীর মা জানান, তাদের বাড়ি মাসিন্দা গ্রামে। একই উপজেলার কালীগঞ্জ হাট ডিগ্রী কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী তার মেয়ে রিতু। তিনমাস আগে তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েল হাট গ্রামের সেরাফতের ছেলে সেতাবুর রহমান বাবুর। বিয়ের পর থেকেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে শ^শুরবাড়ির লোকজনের বারণ ছিল। তবে রিতু সবকিছু উপেক্ষা করে চলতি বছরের এএইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
তিনি জানান, বিয়ের পর পরীক্ষা না দিতে বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা করে স্বামীর পরিবার। তাদের অমতেই আগের তিনটি পরীক্ষা দেয় রিতু। শনিবারেও ইংরেজী ২য় পত্র বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেয়। রিতু জানান, পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার স্বামী, দুলাভাই জামাল ও আব্দুস সাত্তার প্রশ্নপত্র দেখার নাম করে প্রবেশপত্র হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সেতাবুর ও জামাল পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পরীক্ষার্থী ও তার মা আব্দুস সাত্তারকে ধরে ফেলেন। রিতু বলেন, প্রথম তিনটি পরীক্ষা শ্বশুরবাড়ি থেকে দিয়েছে সে। এরপর শুক্রবার বাবার বাড়ি চলে আসে। শনিবার মাকে সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা হলে গিয়ে যথারীতি পরীক্ষা দেয়। হল থেকে বের হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। সে যাতে আর পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারে এ কারণে এ কা- ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে রিতু। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রিতুর শ্বশুর সেরাফাত জানান, পুত্রবধূ সবার অমতে পরীক্ষা দিচ্ছে।
প্রথম তিনটি পরীক্ষা তাদের বাড়ি থেকে দিলেও কাউকে না বলে হাঠাৎ বাবার বাড়ি থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে এ কারণে হয়ত ছেলে প্রবেশপত্র নিয়ে গেছে। তার বাড়িতে পুত্রবধূ ফিরে না আসলে প্রবেশপত্র ফেরত দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শওকাত আলী জানান, মেয়েটি যদি পরীক্ষা দিতে চায়, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: