ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সবধরনের হকি থেকে বহিষ্কৃৃত হতে পারেন এই তারকা হকি ফরোয়ার্ড

শাস্তির খড়গ নেমে আসতে পারে জিমির ওপর

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৮ এপ্রিল ২০১৭

শাস্তির খড়গ নেমে আসতে পারে জিমির ওপর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জুনিয়রদের সঙ্গে বাজে আচরণ এবং ফেডারেশন কর্তাদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য ... আবারও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ হকি তারকা ফরোয়ার্ড রাসেল মাহমুদ জিমির বিরুদ্ধে। শনিবারের মধ্যে জিমিকে কারণ দর্শাতে বলেছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে)। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠিন শাস্তি হতে পারে এই বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের অধিনায়কের। এই মুহূর্তে জিমিই বাংলাদেশ হকির সবচেয়ে বড় তারকা। অথচ তাকে নিয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ নতুন নয়। ২০১৪ সালে ক্লাবের হয়ে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। পড়তে হয়েছিল তিন বছরের নিষেধাজ্ঞায়। যদিও মুচলেকা দিয়ে ও ক্ষমা চেয়ে ওই যাত্রায় রেহাই পেয়েছিলেন তিনি। তবে এবারের অভিযোগ আরও গুরুতর। ফেডারেশন কর্তাদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী হকি দলের জুনিয়রদের নাকি শাসিয়েছেন তিনি। উপয়ান্তর না দেখে অভিযোগ আমলে আনতে বাধ্য হয়েছে বাহফে। ফেডারেশন সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ জানান, ‘একজনের জন্য দশজন নষ্ট হোক, সেটা চাই না। জিমি যদি দোষী প্রমাণিত হয়ে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ জিমিকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে ইতোমধ্যেই। দোষী প্রমাণিত হলে কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করেছে তারজন্য। সেক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারেন আসন্ন এশিয়া কাপের স্কোয়াড থেকে। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির পরও এবার দেশের মাটিতে ওয়ার্ল্ড হকি রাউন্ড টু-তে ব্যর্থ হন জিমিরা। এর প্রভাব পড়ে র‌্যাঙ্কিংয়েও। দুই ধাপ নেমে লাল-সবুজের অবস্থান ৩৪। অভিযোগ উঠেছে সিনিয়র-জুনিয়রদের সমন্বয়ের অভাবেই এই ব্যর্থতা। ২০১৩ সালে এশিয়া কাপ চলাকালে শৃংখলাভঙ্গ এবং এশিয়া কাপে বাজে খেলার অপরাধে জিমিকে তিন বছরের জন্য জাতীয় দলে এবং দুই বছরের জন্য ঘরোয়া হকি লীগে খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তৎকালীন জাতীয় দলের পাকিস্তানী কোচ নাভিদ আলম এবং তদন্ত কমিটি। ওই এশিয়া কাপে ব্যর্থতার জন্য জিমিসহ চার খেলোয়াড়ের দেশাত্মবোধ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এদিকে জাতীয় দল নির্বাচক কমিটির সমন্বয়কের নতুন দায়িত্ব পাওয়া মাহবুবুল এহসান রানা জানিয়েছেন এশিয়া কাপ হকির দলে এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে শৃঙ্খলাকে। অথচ দলের সবচেয়ে বড় তারকার বিরুদ্ধেই কিনা শৃঙ্খলাভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ। বছর তিনেক আগে স্ট্যাম্প পেপারে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর করবেন না লিখিত মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন জিমি। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। এবার অভিযোগ উঠেছে ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে টিভি টকশোতে অযাচিত বক্তব্য দেয়ার। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীর একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং মাঠে তার কথা অনুযায়ী পাস না দিলে তরুণ খেলোয়াড়দের গালিগালাজ করা। শনিবার সশরীরে এসে আপীল না করলে বড় শাস্তি অপেক্ষা করছে জিমির জন্য। এখন দেখার বিষয়, শনিবার জিমি কি করেন।
×