ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিপাকে মাতাল স্টিভ ও’কেফে

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৮ এপ্রিল ২০১৭

বিপাকে মাতাল স্টিভ ও’কেফে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পেটে মদ পড়লে কিছুতেই নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না স্টিভ ও’কেফে। এক বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার সেটি দেখল অস্ট্রেলিয়া। ফের মদ্যপ হয়ে অভব্যতার জন্য অর্থিক জরিমানা ও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লেন ভারত সফরে দুর্দান্ত বোলিংয়ে আলোচনায় উঠে আসা এ অফস্পিনার। গ্রেট ‘স্টিভওয়াহ মেডেল’ প্রেজেন্টেশনের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় ৩২ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারকে ২০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। পাশাপাশি ঘরোয়া ওয়ানডে থেকে এক মৌসুমের জন্য নিষিদ্ধও করা হয়েছে। গত বছরই সিডনির একটি হোটেলে নেশার ঘোরে অভব্যতা করেছিলেন। পরে সেটি প্রকাশিত হয়ে পড়লে সকল ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে সাময়িকের জন্য নিষিদ্ধও হতে হয়েছিল। সম্বতি ফেরার পর নিজের বুল বুঝতে পেরে সিএÑ এবং ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ও’কেফে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার টিম পারফর্মেন্স জেনারেল ম্যানেজার প্যাট হাওয়ার্ড বলেন, ‘এ রকম অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য আমরা অত্যন্ত হতাশ। সিএ কোন ক্রিকেটারের অসংলগ্ন আচরণ একেবারেই বরদাস্ত করবে না। ওর এই নোংরা আচরণ ভারত সফরে পাওয়া সাফল্যকে ঢেকে দিয়েছে। কেফেকে এখন স্পেশাল কাউন্সিলিংয়ে পাঠানো হবে।’ ও’কেফে অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মুখে আর কোন কথা বলব না। এবার কাজ করে দেখাব। এটাই আমার কাছে চ্যালেঞ্জ। আমার কৃতকর্মের দায়ভার আমার একার, সিএ বা পরিবারে নয়। আমি কোন অযুহাতও দেখাতে চাই না। এমনটা করা আমার মোটেই উচিত হয়নি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সম্মান ধরে রাখতে আমাকে সংশোধন হতেই হবে।’ ২০১৪ সালে অভিষেক হলেও সেভাবে আলোচনায় ছিলেন না ও’কেফে। তবে নিজের শেষ ৮ টেস্টে ২৭.৩০ গড়ে ৩৩ উইকেট নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বের নজর কাড়েন। সদ্য সমাপ্ত ভারত সফরে পুনের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে ১২ উইকেট নিয়ে নায়ক বনে যান। অস্ট্রেলিয়ার ৩৩৩ রানের বিশাল জয়ের ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পকেটে পোরেন ৩২ বছর বয়সী বাঁহাতি এ অর্থোডক্স স্পিনার। শেষ পর্যন্ত ২-১এ সিরিজ হারলেও ৭ ইনিংসে ১৯ উইকেট নিয়ে সিরিজের তৃতীয় সর্বাধিক শিকারি ও’কেফে। তুখোড় নাথান লেয়ন দলে আছেন। এ্যাডাম জাম্পার মতো তরুণরা উঠে আসছেন। প্রায় ৩৩ ছোঁয়া বয়সে ভাল বল করলেও ও’কেফেকে এমন বাজে আচরণের জন্য চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। সেটি বুঝতে পেরেই হয়ত সিএ’ ও ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ২০১০ থেকে দেশের হয়ে মাত্র ৮ টেস্ট ও ৭টি টি২০ খেলেছেন ও’কেফে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে এমন ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। গ্রেট শেন ওয়ার্নারের অপর নাম বিতর্ক, মাতলামি। ড্রাগ নিয়ে নিষিদ্ধও হয়েছিলেন তিনি। আরেক তারকা এন্ড্রু সাইমন্ডসের তো ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গেছে।
×