ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শ্রীলঙ্কা থেকেই আইপিএলে খেলতে ভারতে যাওয়ার আগে বলেছেন সাকিব

‘২০১৯ সালেই বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের’

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৮ এপ্রিল ২০১৭

‘২০১৯ সালেই বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নতি করছে। যথেষ্ট প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে বাংলাদেশের। আমি বিশ্বাস করি ২০২৩ সালে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিততে পারে।’ রানাতুঙ্গার কথার সঙ্গে যেন একমত নন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিব মনে করছেন সেই সুযোগ ২০১৯ সালেই বাংলাদেশের আছে। শুক্রবার সকালে শ্রীলঙ্কা সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু সাকিব দলের সঙ্গে দেশে ফেরেননি। শ্রীলঙ্কা থেকেই ভারতে আইপিএল (ইনডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ) খেলতে চলে গেছেন। এবারও কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে খেলবেন সাকিব। যাওয়ার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি২০ ম্যাচটি খেলে সাকিব জানান, ‘আমার তো মনে হয় ২০১৯ সালেই (বিশ্বকাপে) ভাল সুযোগ আছে। আমরা উন্নতির মধ্যে আছি। আমরা যদি এটা ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমাদের সম্ভাবনা অবশ্যই আছে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেই (২০১৫ সালের বিশ্বকাপ) আমরা ভাল ক্রিকেট খেলেছি। ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে লড়াই করেছি। আমাদের উন্নতিটা ওপরের দিকেই আছে।’ ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে হবে বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপ ভিন্ন কন্ডিশনে হলেও বাংলাদেশের সম্ভাবনাই দেখছেন সাকিব। সাকিবের এমন কথার পেছনে যুক্তিও আছে। বলেছেন, ‘আমাদের ভাল কিছু খেলোয়াড় আছে। ১৫০-এর বেশি ওয়ানডে খেলা ক্রিকেটার যেমন আছে, আবার ১৫-১৬ ওয়ানডে খেলা ক্রিকেটারও আছে। এই দুটির যোগসূত্রে আমরা ভাল দল হয়ে উঠছি। তরুণরা সবাই অসাধারণ লড়াকু মনোভাবের। যদি এভাবে আমরা সঠিক পথে থাকতে পারি, তাহলে অবশ্যই ২০১৯ বিশ্বকাপে আমাদের সম্ভাবনা থাকবে।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি২০তে দুর্দান্ত খেলেছেন সাকিব। ব্যাট হাতে ৩৮ রান করেছেন। বল হাতে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ১ উইকেট নেন। এরপর আরও ২ উইকেট শিকার করেন। ম্যাচ সেরাও হন। মাশরাফির বিদায়ী ম্যাচে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান সাকিব। এখন সামনে তার কাঁধেই নেতৃত্বের দায়ভার যুক্ত হচ্ছে। তবে এ নিয়ে সাকিব এখনই ভাবতে রাজি নন। তবে যদি নেতৃত্ব পান, তার জন্য প্রস্তুতও আছেন। সাকিবই যেমন বলেছেন, ‘অধিনায়কত্বের ব্যাপারে কি হবে তা এখনও আমি জানি না। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের সঙ্গে থাকা এবং অবদান রাখা। চেষ্টা করা যে দলের জন্য কতটা ভাল করা যায়। বাংলাদেশের পরের টি২০ অনেক পরে। তাই এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। যদি অধিনায়ক হই, তাহলে উজ্জীবিত তো করবেই।’
×