ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দাহ্যবস্তুর দোকান, গোডাউন আর কারখানায় পুরান ঢাকা হয়ে উঠছে ঝুঁকিপূর্ণ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৮ এপ্রিল ২০১৭

দাহ্যবস্তুর দোকান, গোডাউন আর কারখানায় পুরান ঢাকা হয়ে উঠছে ঝুঁকিপূর্ণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অপরিকল্পিতভাবে দাহ্যজাতীয় ব্যবহৃত বস্তুর দোকান, গোডাউন আর কারখানার কারণে পুরান ঢাকা হয়ে উঠছে ঝুঁকিপূর্ণ। কেমিক্যাল ও প্লাস্টিকসহ দাহ্যজাতীয় পদার্থের ব্যবহৃত কৌটা ও বস্তুর কারণে যে কোন সময় ধরে যেতে পারে আগুন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কারখানা বা দোকান দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা না করা হলে পুরান ঢাকায় বাড়বে নিরাপত্তা ঝুঁকি ও ক্ষতির পরিমাণ। ফেলে দেয়া পলিব্যাগ, প্লাস্টিকের জিনিসপত্র, বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধির ক্যান, ব্যবহৃত খাবারের প্যাকেট ও বোতলসহ সরু রাস্তায় আর অলিগলিতে এমন দোকানের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে পুরান ঢাকা। ব্যবহৃত ফেলে দেয়া ক্যানে বোঝাই পারফিউম বা এ্যারোসল তৈরি করা হয় হাইড্রোকার্বনজাতীয় পদার্থ দিয়ে, যাতে বিউটন নামে দাহ্যপদার্থ থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ ধরনের বস্তু থেকে যে কোন সময় আগুন ধরে যেতে পারে। ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বিস্ফোরক অধিদফতরের প্রধান পরিদর্শক শামসুল আলম বলেন, এ ক্যানগুলো কখনও এ ধরনের স্থানে রাখা উচিত নয়। এখান থেকে সামান্য স্পার্কেই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে পুরো বিল্ডিং ধসে যেতে পারে। এসব ব্যবসায়ী ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার কারণে পুরান ঢাকায় দিন দিন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েই চলছে- এমনটাই বলছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল নেওয়াজ বলেন, ‘এ ধরনের কিছু প্লাস্টিক খুবই বিপজ্জনক। এখানে আগুন লাগলে উদ্ধারকাজও কিন্তু জটিল হবে।’ নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলছেন, দাহ্যজাতীয় বস্তুর এমন কারখানা ও গুদাম নির্দিষ্ট পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে আসা জরুরী। তবে সরকারী ব্যবস্থাপনা ছাড়াও পুরান ঢাকার কোন ভবনে এ ধরনের কারখানা ও গুদাম ভাড়া না দেয়ার জন্য স্থানীয়ভাবেই সচেতনতা ও প্রতিরোধ তৈরি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
×