ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৮ এপ্রিল ২০১৭

মুন্সীগঞ্জে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ জাটকা মাছ। জেলা শহর, সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রাম ও এর আশপাশের বাজারগুলোতে এখন প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছেÑ জাটকা। আর বিক্রেতারাও প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি করছেন ২শ’-৩শ’ টাকা। নিষেধ থাকা সত্ত্বেও অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জাটকা বিক্রেতারা এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। সরেজমিনে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জের নদী তীরবর্তী গ্রাম, চর-আব্দুল্লাহ, কালিরচর, বাংলাবাজার, চিতলিয়া বাজার ও বাঘেরহাটে সকাল-বিকেল বিক্রি হচ্ছে জাটকা মাছ। পহেলা বৈশাখের ইলিশের স্বাদ নেয়ার জন্য অনেক ক্রেতা সাধারণ বড় বড় জাটকা মাছগুলোকে ৩০০ টাকা কেজি দরে কিনে নিচ্ছেন। এছাড়া অপেক্ষাকৃত ছোট জাটকা বিক্রি হচ্ছে ২শ’ টাকা কেজি দরে। চিতলিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায় বিকেল ৫টার দিকে এক বিক্রেতা প্রায় ১০ মণ জাটকা নিয়ে আসেন। মুহূর্তের মধ্যে ক্রেতাদের ভিড় পড়ে যায় মাছ বাজারটিতে। ২০ মিনিটের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় সব। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাবাজারে গিয়েও একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। কথা হয় বিক্রেতা করিমের সঙ্গে তিনি জানান, আমরা অল্প পরিমাণ কিনে এনে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাই। কিন্তু প্রতিদিন এ বাজার থেকে সিএনজিযোগে শত শত মণ জাটকা শহরে যাচ্ছে। জেলেরা জানান, মৎস্য কর্মকর্তারা কোস্টগার্ডের সঙ্গে নদীতে নিয়মিত অভিযান আর বাজারগুলো মনিটরিং করলে জাটকা বিক্রি কমে আসত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাছ বিক্রেতা জানান, আমরা নদীর তীর থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে পাইকারদের কাছ থেকে কিনে আনি আর সেটাকে ফেরি করে ২শ’ টাকা ধরে বিক্রি করি। জানি এটা বিক্রি করা দ-নীয় অপরাধ। কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করি। তাই পেটের দায়ে এ কাজ করি। গজারিয়া কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার আলী ফরহাদ বলেন, আমরা নিয়মিত নদীতে অভিযান চালাচ্ছি এবং আমাদের অভিযান চলমান আছে। লোকালি যদি শহরের বিভিন্ন বাজারে জাটকা মাছ বিক্রি করে সেটা মৎস্য বিভাগ ব্যবস্থা নেবে। তারা যদি আমাদের কাছে কোন সাহায্য দরকার মনে করে তাহলে নৌপুলিশ আর আমাদের কেস্টগার্ড তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. অলিউর রহমান জানান, জাটকা নিধনের অভিযান চলছে। আমাদের অভিযান চলমান আছে। চুরি চামারি করে জেলেরা জাটকা ধরে গ্রামেগঞ্জে হাটে বাজারে বিক্রি করছে এমন কোন তথ্য পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। এ পর্যন্ত অনেক জাটকা জব্দ করা হয়েছে। কেউ জাটকা বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×