ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির নির্বাচনভীতি এবং দিরাই-শাল্লার উপনির্বাচন

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৮ এপ্রিল ২০১৭

বিএনপির নির্বাচনভীতি এবং দিরাই-শাল্লার উপনির্বাচন

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা প্রায় ১১ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন আর জয়লাভ করেছেন বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। দ্বিতীয়বারের মতো ‘কুসিক’ মেয়র হলেন তিনি। এটাতেই প্রমাণ হলো এ সরকার চাইলেও ভোটানুষ্ঠানে কোন ‘গড়বড়’ করতে পারে না। অথচ ভোটানুষ্ঠানের দিনেও বিএনপির উদ্বেগ-আশঙ্কার শেষ ছিল না। এমনকি নির্বাচনী ফল প্রকাশের আগে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ভোট নিরপেক্ষ হবে না, বিএনপির জয় আওয়ামী লীগ ছিনিয়ে নেবে। হাস্যকর কথা বটে, যুক্তিহীন প্রলাপ। কারও কারও মতে অনেকটা উন্মাদের মতো। রাজনীতির নামে কী করছে বিএনপি এটাই এর প্রমাণ। তবে কী বিএনপির নির্বাচনভীতি যায়নি! যাক, সুনামগঞ্জের উপনির্বাচন ইস্যু নিয়ে কথা বলতে চাই। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) উপনির্বাচন নিয়ে একটি পোস্টমর্টেম করা দরকার। ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে চাই। মানুষ যাকে খুশি ভোট দিতে পেরেছে। প্রচ- বৈরী আবহাওয়া, মুষলধারে বৃষ্টি, এরপরও মানুষ ভোটকেন্দ্রে গেছে। গণমাধ্যমের সুবাদে আমরা জেনে গেছি, নৌকা প্রতীকে প্রায় ৫৫ হাজার ভোট বেশি পেয়ে ড. জয়া সেনগুপ্তা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। মৃত সুরঞ্জিত ‘সেন্টিমেন্টের’ ভোট ছিল সবচেয়ে বেশি। এটাই ব্যক্তি ইমেজ। প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অতীতে এখান থেকে যতবার জয়ী হয়েছেন তা ব্যক্তি ইমেজেই। অবশ্য এই প্রবীণ নেতার একমাত্র ছেলে সৌমেন সেনগুপ্তের গ্রামে গ্রামে পদচারণা, সাধারণ মানুষের খোঁজ নেয়া ভোটারদের মনে ইতিবাচক ‘দাগ’ কেটেছে। নৌকা প্রতীকের নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছায়েদ আলী মাহবুব হোসেন ‘সিংহ’ প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ১৭০ ভোট। এটা এখানে পরিষ্কার যে, বিএনপি-জামায়াতের ভোট সেসব। ’৭১ থেকেই এখানে জামায়াতের ভোটও আছে। জামায়াতের সঙ্গে হাত মেলানো ছাড়া কোন উপায় নেই বিএনপির। এখানেও তাই হয়েছে। উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো এ প্রার্থীর ৪২ হাজার ১৭০ ভোট পাওয়া কী সহজ কথা? তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে মনে হয়েছে, নৌকা প্রতীকের এ বিজয় আনন্দের। তবে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা ঠিক নয়। কারণ, যিনি নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তার পরিচিতি ছিল সীমিত। তিনি মূলত ব্যবসায়ী, ধনাঢ্য ব্যক্তি। জনশক্তি রফতানিকারক। বিএনপির জেলার আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী ওই প্রার্থীর পক্ষে দিরাই-শাল্লার বিভিন্ন গ্রামে বৈঠক করেছেন বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে কোন্দল, অন্তর্কোন্দল ও বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতি দেয়া হয়েছে গণমাধ্যমে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা হবার তাই হয়েছে, রেজু মিয়া হেরেছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল না। কখনও রাজনীতি করা বা ভোটের রাজনীতি করার চিন্তা ছিল না তার। এ তথ্য তিনি নিজেই ঘনিষ্ঠজনদের কাছে স্বীকার করেছেন। সুনামগঞ্জ-২ আসনে আমাদের পারস্পরিক সহানুভূতি, সম্মান প্রদান ও সহমর্মিতা ছিল যথেষ্ট। কেন্দ্র থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এ্যাডভোকেট মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেবুন্নেছা হক, জেলার সভাপতি মতিউর রহমান, সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমান বুলবুল (সাবেক মেয়র), বর্তমান পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেনসহ অনেকেই সক্রিয় তৎপর ছিলেন নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণায়। তবে শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। ব্যক্তি ইমেজ ছিল সকল ক্ষেত্রে। তবে চঞ্চল ছিল আত্মবিশ্বাস। এর কারণ ছিল অনেক। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণের মধ্যে ছিল সাধারণ মানুষের ক্ষোভ। দিরাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকা কিছু নেতার প্রতি মানুষের এত ক্ষোভ ও অভিযোগ ছিল যে, তাদের উপস্থিতিতে সাধারণ ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নেন। দিরাই উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ আওয়ামী লীগ কমিটি ছিল না, পকেট কমিটি দিয়ে কাজ চলছিল, সাংগঠনিক ত্যাগী মানুষ চাইলেও দলে ঠাঁই পায়নি। দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যথার্থই বলেছেন, ঘরের ভেতর ঘর বানানো চলবে না। মশারির ভেতর মশারি টানানো চলবে না। কিন্তু এখানে মশারির ভেতরে দীর্ঘদিন মশারি ছিল। দিরাই-শাল্লার থানা পুলিশ ছিল বিপাকে, প্রশাসন ছিল অসহায়। এ বাস্তবতা অস্বীকার করার উপায় ছিল না। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অসুস্থতারও সুযোগ নিয়েছে অনেকে। ওবায়দুল কাদের প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন দলীয় সভায় আওয়ামী লীগে প্রবেশ করা ‘কাউয়া’ নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। অন্যদের মতো রাখঢাক করে কিছু বলেন না। সরাসরি কথা বলেন। মাঝে-মধ্যে নেতাকর্মীদের হুমকি-ধমকিও দেন। কারণ, তিনি অর্থাৎ ওবায়দুল কাদের মাঠের মানুষ বলে মাঠের ভাষাতেই কথা বলেন। দিরাই-শাল্লার সাধারণ মানুষ বলছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে এসব বিষয় সামনে থাকা অবশ্যই দরকার। দিরাইয়ের বিভিন্ন ইউনিয়ন-হাটবাজারে নৌকা প্রতীকের গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশে স্থানীয় কয়েকজন নেতার উপস্থিতি ছিল ভোটারদের জন্য বিরক্তিকর। তা ছিল দলমত নির্বিশেষে। অন্যদিকে শাল্লায় আওয়ামী লীগের কর্মিসভা ছিল প্রাণের সভা। দলীয় প্রার্থীর প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিম চন্দ্র দাশ ও সেক্রেটারি আল-আমিন চৌধুরীর আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না। তবে দলের ভেতরে থাকা অনেকের কৌশলী ভূমিকা ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে। উপজেলার আগুয়াই, আছানপুর, সরষপুর, পোড়ারপার, ঘুঙ্গিয়ারগাঁও, শ্বাসকাই, আনন্দপুর এসব এলাকার গ্রামগঞ্জের মানুষের সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া গেছে, তাদের আগ্রহ নৌকা প্রতীকের প্রতি। কিন্তু তাদের এটাও প্রশ্ন, গত উপজেলা নির্বাচনে উপজেলার পুরোটাই বিএনপি নেতৃত্বে গেল কীভাবে? তারা মনে করেন, নাছির উদ্দিন চৌধুরীরও ব্যক্তি ইমেজ আছে। অশুভ শক্তি ওই ব্যক্তি ইমেজের ওপর ভর করেছে। আর তাই শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব সোবহানী, নারী ভাইস চেয়ারম্যান রেজিয়া আক্তারের। এ বিজয়ে অনেকেই অবাক হয়েছেন। স্থানীয় প্রগতিশীল নেতাদের মতে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে এটি ভাঙতে হবে। তারা মনে করেন, অসাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক শক্তির রাহুগ্রাস হয়েছে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সুযোগে। একইভাবে দিরাই উপজেলায়ও বিএনপি থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন হাফিজুর রহমান তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাপ মিঞা, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ছবি চৌধুরী। এদেশের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে শক্তিশালী করার মিশন নিয়ে যারা আগামীর স্বপ্ন দেখছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন বিএনপি নেতা নাছির উদ্দিন চৌধুরী, যিনি ’৯৬ সালে সংসদ সদস্য হয়ে পার্লামেন্টে উচ্চারণ করেছিলেন, দিরাই-শাল্লার দুই থানায় ‘হিন্দু’ ওসি থাকায় সঠিক বিচার হচ্ছে না। এটাকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্থানীয় মানুষেরা ভাল চোখে দেখেননি। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, আগামী নির্বাচনে তারা ব্যক্তি ইমেজ ‘বিবেচনা’ করবেন না, বঙ্গবন্ধুর নৌকার ঘাঁটি আরও শক্তিশালী করতে নতুন মুখ চাইবেন। ব্যক্তি ইমেজের দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ৫ ফেব্রুয়ারি মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়। প্রয়োজন হয়ে পড়ে উপনির্বাচনের। স্বামীর অসমাপ্ত কাজ করার তাগিদ অনুভব করে বক্তব্য দিয়েছিলেন ড. জয়া সেনগুপ্তা। মনোনয়ন বোর্ড ও দলের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবদিক বিবেচনায় আনেন। আওয়ামী লীগ থেকে ড. জয়া সেনগুপ্তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর উক্তি ছিলÑ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বেঁচে থাকলে বাকি সময়টুকু তিনিই সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। সুতরাং তার অসমাপ্ত কাজগুলো তার স্ত্রীর করা উচিত। ৩০ মার্চ ছিল ভোটানুষ্ঠান। এর আগের রাত টর্নেডো ও ঝড়-বৃষ্টি মানুষকে তীব্র ভোগান্তিতে ফেলে। টর্নেডোয় ঘরের চাল উড়িয়ে নিলেও ভোট দিতে ভোটারদের আগ্রহ দেখা গেছে। কারণ ‘সুরঞ্জিত দাদা’কে সম্মান জানাতেই হবে। স্থানীয় ভোটকেন্দ্র রাজানগর। এখানে একজন বৃদ্ধ ভোটার মন্তব্য করেন, ‘দুখু সেনদা নেই, তাইনের পরিবারের (স্ত্রী) ভোট দিতে আইলাম।’ এবার যেন দুঃখের ভোট উৎসব। আগের রাতের বৈরী আবহাওয়ার রেশ ছিল দিনভর। প্রকৃতি দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেঁদেছে সেদিন। বৃষ্টি ছিল ফোঁটা ফোঁটা। শিশুদেরও সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন নারী ভোটারদের কেউ কেউ। স্বতন্ত্র কিংবা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মধ্যে কোন প্রতিযোগিতা না হওয়ায় পরিবেশ ছিল ভাল। কেন্দ্রের ভোটচিত্র ছিল সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ। হয়ত সুযোগ মিলেনি। কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলব কী করে সংঘাতের সুযোগ নিতে চেষ্টা করেনি অশুভ শক্তি? আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের সদস্যরা কেন্দ্রের ভেতরে এবং বাইরে শৃঙ্খলা রক্ষায় ছিলেন সদাতৎপর। বিশেষ করে দিরাই থানার ওসি আবদুল জলিলের সার্বক্ষণিক তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও ছিলেন তৎপর। ভোটকেন্দ্রের বাইরের সড়কে আওয়ামী লীগের বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল কম। রাজনীতির বিশ্লেষকরা মনে করেন, আগামী দিনের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি কোন্দিকে যাবে, তা অনেকটা নির্ভর করছে বর্তমান নির্বাচনগুলোর ওপর। ফলাফল কি সরকারী দলের অনুকূলে থাকবে, না প্রতিপক্ষ জয়ী হবেÑ এ প্রশ্নের চেয়েও জরুরী ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’। সুন্দর পরিবেশ চাইব। বর্তমান নির্বাচন কমিশনার সেদিকেই এগোচ্ছেন বোঝা যাচ্ছে। শুরুর দিকে ভোট চুরির কথা বলেছিলাম। কেন তুলেছিলাম প্রসঙ্গটি তা উল্লেখ করছি। আমাদের অবশ্যই স্মরণ আছেÑ জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। আর যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, এমনকি জাতির পিতার খুনীদের খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে জাতীয় সংসদে পর্যন্ত বসিয়েছিলেন। এখানেই তাদের ভোট চুরির উদ্দেশ্য পরিষ্কার। সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা খুনী ও যুদ্ধাপরাধীদের পুরস্কৃত করে, মদদ দেয়, গণহত্যা দিবস পালন করে না তারা এ দেশের মানুষের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। এ দেশের মানুষের কল্যাণও তারা চায় না। এটা তাদের চরিত্র এবং এদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’ আমি মনে করি, দিরাই-শাল্লাবাসীকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক থাকতে হবে। আগামীতে সেন্টিমেন্টের ভোট নয়, কঠিন বাস্তবতা ও ষড়যন্ত্রের হুমকি সম্মুখে। ’৭৩ খ্রিস্টাব্দে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দিরাইয়ের মাটিতে পা দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার আওয়াজ শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। অতীতের কমিউনিস্ট বেল্টের জনপদ কমরেড বরুণ রায়ের (প্রসুন কান্তি রায়) সুবাদে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হয়ে ‘পার্লামেন্টের কবি’ হয়েছিলেন। তারা কেউ আজ আর আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু আজকের দিরাই-শাল্লায় অসাম্প্রদায়িক শক্তির জয় নিশ্চিত করতে এখন থেকেই কাজ করতে হবে তৃণমূলে। লেখক : সাংবাদিক ফববঢ়ধশপযড়ফিযঁৎু১০@মসধরষ.পড়স
×